বিশ্ববেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আসল বিজয়ী অস্ত্র ব্যবসায়ী

যুদ্ধ-সংঘাত
আসল বিজয়ী অস্ত্র ব্যবসায়ী

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত শনিবার ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ও কার্যকর হয়। গত রোববারকে পাকিস্তান সরকার ‘ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা’ জানানোর দিন বলে ঘোষণা করে। দেশটির জনগণও বীর সেনাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে নানাভাবে উদযাপন করে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিকভাবে ভঙ্গুর দেশটির প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক অর্থায়নের কট্টর সমালোচকরাও মেনে নিয়েছেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রতিবেশী থাকলে এমনটি ছাড়া গত্যন্তর নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে কার? চলমান সংঘাতে যারা প্রাণ খুইয়েছেন তাদের পরিবার এখনো শোকের মাতম থেকে বেরোতে পারেনি। এমনকি অর্থনৈতিক সংকটের সময় সামরিক খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করা সামরিক বাহিনীরও ক্ষতির পাল্লা বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত লাভবান হয়েছে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৫৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারত সামরিক খাতে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের ব্যয়ের পরিমাণ ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারত বিশ্বের প্রথম পাঁচ সামরিক ব্যয়কারী রাষ্ট্রের একটি। তুলনামূলকভাবে কম ব্যয় করলেও পাকিস্তান অতীতে বহুবার তাদের সামরিক শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়েছে। তবে সংঘাতে কোনো রাষ্ট্রই লাভের পাল্লা ভারি করতে পারে না। জয়ী হয় অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই সংঘাত বেড়ে চলেছে। চলতি বছর বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয় ২ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। সিপরির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্নায়ুযুদ্ধের পর এবারই প্রথম সামরিক খাতে ব্যয় এত বেড়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক রাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রমে ব্যয় কমিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে। ফলে ২০২৩ সালে বিশ্বের প্রথম সারির ১০০ অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আয় ৬৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে বেড়েছে দারিদ্র্য, শিশু অপুষ্টিসহ নানাবিধ রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক সংকট।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ১০০ প্রতিষ্ঠানের আয়ের পরিমাণ থেকে অস্ত্রের চাহিদার বাস্তব চিত্র পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এ পরিমাণ থেকে এটুকু আন্দাজ করা যায়, সংঘাতময় বিশ্বে অস্ত্র উৎপাদনের পরিমাণের বাস্তব চিত্র না পাওয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সম্পর্কোন্নয়নের পথ খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের (আইএইচএল) ভিন্ন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকাংশ অস্ত্র প্রযুক্তি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও পরিষেবা যুদ্ধকালীন এলাকার কাছাকাছি গড়ে তোলা হয়। এভাবে অনেক সময় বেসামরিক প্রযুক্তিকে আড়ালে সামরিক অভিযানে ব্যবহার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকরাও দীর্ঘদিন ধরে শঙ্কিত। তবে এখনো উল্লেখযোগ্য সমাধান মেলেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এনবিআর সদস্য বেলালকে সরিয়ে প্রজ্ঞাপন

কোরআনের একাধিক আয়াতে যে ভূখণ্ডকে বরকতময় বলা হয়েছে

রিফাইন্ড আ.লীগ তৈরিতে কাজ করছে খুলনার আলোচিত ডা. শেখ বাহারুল

মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো ড্রাম ড্রাম চোলাই মদ

শামুকখোল পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে যে গ্রামের

বাদ গেলেন তিশা, যুক্ত হলেন সৃজিতের বান্ধবী সুস্মিতা

রাজশাহীতে রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের হানা

ট্রাম্প কি নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন?

জন্ম নিবন্ধন ছাড়াও পাওয়া যাবে টাইফয়েডের টিকা

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

১০

সারা দেশের ২০ অঞ্চলের জন্য আবহাওয়ার সতর্কবার্তা

১১

শহিদুল আলমকে নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া

১২

১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ উপদেষ্টার

১৩

‘বিভিন্ন দেশের ভিসা জটিল হয়ে গেছে, আমাদের ঘর গোছাতে হবে’

১৪

প্রজ্ঞাপন জারি, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না যারা

১৫

‘নবী শব্দের অর্থ সংবাদবাহক তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) সাংবাদিক ছিলেন’

১৬

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হকের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দ 

১৭

নদীভাঙনে বদলে যাচ্ছে জামালপুরের মানচিত্র!

১৮

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নতুন নির্দেশনা

১৯

সাবের হোসেনের বাসায় ৩ রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া

২০
X