আমজাদ হোসেন হৃদয়
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ডাকসুর ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপা হলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় পাঁচ ধাপে

ভোট কাস্টিং অনুপাতে মিলেছে স্বাক্ষর
ডাকসুর ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপা হলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় পাঁচ ধাপে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোকে কেন্দ্র করেই মূলত এই বিতর্কের সূত্রপাত। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানো হলেও নির্বাচনে কারচুপির কোনো সুযোগ ছিল না। বিতর্কের পর ভোট কাস্টিং এবং ভোটারদের স্বাক্ষর পুনর্মিলন করা হলেও কোনো অমিল পাননি তারা। ব্যালট সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মোট ৮৮ হাজার ব্যালট নীলক্ষেতে ছাপানো হয়েছিল ঠিকই, তবে সেগুলো পাঁচ ধাপে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। এদিকে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা বিএনপিপন্থি শিক্ষকরাও জানিয়েছেন, তারা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম বা কারচুপির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেননি।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের ২৩টিতে জিতেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। প্রচারের শুরু থেকে ভোটগ্রহণ ও ফল ঘোষণা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। অবশ্য ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন প্রার্থী কিছু অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। ডাকসুর নির্বাচিতরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যালট পেপার অরক্ষিত অবস্থায় ছাপানোর বিষয়টি সামনে আসে। এর জবাবে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, যেভাবে ব্যালট ছাপানো হয়েছে, তা নীলক্ষেতের কোনো দোকানে সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই বক্তব্যের পর নীলক্ষেতে ছাপানোর ঘটনা স্পষ্ট হলে বিতর্ক বাড়তে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে, নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে জানায়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর গুরুত্ব দিয়েই তারা দেখছেন। ভোট কাস্টিং এবং ভোটারদের স্বাক্ষর ফের গণনা করা হয়েছে, তাতে কোনো অমিল তারা পাননি। নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর দায়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা তার উত্তরও দিয়েছেন। আজ রোববার সংবাদ সম্মেলন বা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, অতিরিক্ত ব্যালট ছাপানো হয়নি। মোট ভোটার সমানুপাতে ব্যালট পেপার নেওয়া হয়েছে। মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ২৯ হাজার ৮২১ অর্থাৎ ৭৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। স্বাক্ষরও সমপরিমাণ আমরা পেয়েছি। প্রাথমিক একটা প্রক্রিয়ায় নীলক্ষেতে ছাপানো হলেও তদন্ত করে কোনো ধরনের অনিয়ম আমরা পাইনি। এর জন্য নির্বাচন বা ফলে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

নীলক্ষেতে ছাপানো এমআরএম ইঞ্জিনিয়ারিং লি. কোম্পানির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, যেহেতু ব্যালটটি কয়েকটি ধাপে তৈরি হয় এবং এতে সিকিউরিটি কোড থাকে, তাই এটি নকল করা সম্ভব নয়। ধাপগুলো হলো: ছাপানো, সঠিক মাপে কাটিং করা, সিকিউরিটি কোড বসানো, মেশিনে প্রি-স্ক্যান করা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের স্বাক্ষর ও সিল। সর্বমোট ২২ রিম কাগজ ছাপানো হয়। ২২ রিমে ব্যালট হয় ৮৮ হাজার। জালাল প্রেস হিসাব না করে ভুলে ৯৬ হাজার বলেছে। পরে তিনি ভুল বুঝতে পেরেছেন। ব্যস্ততার কারণে এই বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে জানাতে ভুলে যাই।

ডাকসুর মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪। প্রত্যেক ভোটারের ছয়টি করে ব্যালটের হিসাবে মোট ব্যালট সংখ্যা হয় ২ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৪টি। ব্যালট সরবরাহের কাজ করেছে আনজা করপোরেশন এবং এমআরএন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। আনজা করপোরেশন গণমাধ্যমকে জানায়, তারা ১ লাখ ৫৩ হাজার ব্যালট ছাপানোর কাজ করেছে। এ ছাড়া নীলক্ষেতে বাকি ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায় এমআরএন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। নীলক্ষেতে প্রাথমিক ছাপা শেষে আরও গোপন পাঁচ ধাপে ব্যবহার উপযোগী ব্যালটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় বলে জানান সরবরাহকারী ফেরদৌস ওয়াহিদ।

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়টি জানতে সরেজমিন যায় কালবেলা। সেখানে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের কাজে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ব্যালট প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়ে কথা হয়। মক্কা পেপার হাউসের কর্মচারী মোহাম্মদ দ্বীপু বলেন, প্রথমে আমার কাছে ২২ রিম পেপার আনা হয়। ব্যালট পেপারের শিটের প্রতিটির সাইজ ২৩ বাই ৩৬ ইঞ্চি। এটাকে কেটে সাড়ে ১১ বাই ১৮ ইঞ্চি করেছি। ১ রিম কাগজে ৫০০ শিট থাকে, ২২ রিমে ১১ হাজার শিট ছিল। একটা শিট কেটে চারটি ব্যালটের সাইজ করা হয়। ১১ হাজার শিট কেটে ৪৪ হাজার ব্যালট করা হয়। পরে জালাল ভাইয়ের দোকানে প্রিন্টিংয়ের কাজ করা হয়। শুকানোর পরে দ্বিতীয় ধাপে ৪৪ হাজারকে কেটে দুই ভাগ করে ৮৮ হাজার ব্যালট করি।

নীলক্ষেত থেকে ব্যালট সরবরাহকারী এমআরএন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কর্মচারী ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমাদের কাটিং মেশিনের সমস্যার জন্য শেষ মুহূর্তে সময় কম থাকায় নীলক্ষেত থেকে কাজ করতে হয়েছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এক দিন আগে ব্যালটগুলো দিতে হবে। ব্যালট সংখ্যা ৯৬ হাজার মোটেও নয়। সাংবাদিক ভুলভাবে উপস্থাপন করায় জালাল ভুল করে এ কথা বলেছে। আমাদের ৮৬ হাজার সামথিং ব্যালট দরকার ছিল। তাই আমরা ২২ রিম ছাপাইছিলাম, ২২ রিমে সাধারণত ৮৮ হাজার হয়। এ ছাড়া কিছু ব্যালট যদি নষ্ট হয়ে যায়, সেই বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল।

কোনো অনিয়ম দেখেননি বিএনপিপন্থি রিটার্নিং কর্মকর্তা:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল গত শুক্রবার ডাকসু নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ উল্লেখ করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে যেসব ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে ঢাবি প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নির্বাচনের ফল স্থগিত করে ফের একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনের দাবি জানান তারা। ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বেশিরভাগ শিক্ষকই ছিলেন বিএনপিপন্থি। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বিএনপিপন্থি রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা কেউই নির্বাচনে অনিয়ম বা কারচুপির কোনো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেননি। বরং নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা ছিল বলে জানান তারা।

এফএইচ হল কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা জীববিজ্ঞান অনুষদ সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান কালবেলাকে বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছ ছিল। সব সাংবাদিক এবং এজেন্টদের সামনে ভালোভাবে মনিটর করা, গণনার সময় সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হয়েছে। এখানে যদি বিন্দুমাত্র প্রভাবিত করা হতো, তা ছাত্রদলের পক্ষে যেত। বেশিরভাগ রিটার্নিং অফিসার বিএনপিপন্থি শিক্ষক ছিল, বেশিরভাগ হলের প্রভোস্টরাও বিএনপিপন্থি। কিন্তু শিক্ষকরা এখানে সৎ ছিলেন। কারচুপি বা অনিয়মের কোনো সুযোগ ছিল না।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার কলা অনুষদ সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন কালবেলাকে বলেন, আমাদের কেন্দ্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। আমরা সবকিছু স্বচ্ছতার সঙ্গেই করেছি। কেউ কেউ অভিযোগ করেছে তবে আমি কোনো ধরনের অনিয়ম দেখিনি।

সাদা দলের একটি অনুষদের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক কালবেলাকে বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ, ভোট গণনা এবং ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীদের এজেন্ট, সাংবাদিক, কর্মকর্তা সবার সামনেই সবকিছু করা হয়েছে। কেউই এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেনি। ভোটগ্রহণের আগে খালি বক্স দেখানো হয়েছে, গ্রহণ শেষে অব্যবহিত ব্যালট সবার সামনেই সিলগালা করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনিয়ম আমরা দেখিনি।

পরিচালনার দায়িত্বে থেকেও অনিয়মের অভিযোগ দ্বিচারিতা বলছে ইউটিএল

ডাকসু নির্বাচন পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্বে থেকেও নির্বাচন নিয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিবৃতিকে দ্বিমুখী আচরণ বলে মনে করছে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক।

গতকাল শনিবার ডাকসু ভবনের সামনে নির্বাচনকেন্দ্রিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে সংগঠনটি। এতে লিখিত বক্তব্য দেন ইউটিএলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শিক্ষকগণের সংগঠন সাদা দল ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক হতাশাজনক বিবৃতি প্রদান করেছে। জুলাই- পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোতে সংগতকারণে সাদা দল নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং ১৮টি হলের মধ্যে ১৬টি হলের প্রভোস্টরা সরাসরি সাদা দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের ১০ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জনই সাদা দল ও ২ জন পিংক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের অধিকাংশই সাদা দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। নির্বাচন পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্ব যখন সাদা দলের শিক্ষকদের হাতে ছিল; তখন নিজেদের বিবৃতিতে দাবি করা নির্বাচনে ‘জালিয়াতি ও অনিয়ম’ প্রসঙ্গটি এটি দ্বিচারিতা ও দ্বিমুখী আচরণের পর্যায়ে পড়েছে। এতে করে বিবৃতিদানকারী শিক্ষকদের নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে ইউটিএলের পক্ষ থেকে ৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো—বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উত্থাপিত অযৌক্তিক প্রশ্নের সুরাহা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর কোনো ধরনের হ্যারেসমেন্ট কিংবা তাদের ম্যান্ডেট কেড়ে নেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; সাদা দলের বিবৃতি প্রত্যাহার করতে হবে।

সন্দেহের অবসান চান প্রার্থীরা

ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ছাত্রদল, বাগছাসসহ অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা নির্বাচন নিয়ে যে অসংগতি ও নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর যে বিষয়টি এসেছে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তারা বলছেন, নির্বাচনের ফল তারা মেনে নিয়েছেন; কিন্তু গণতন্ত্রের স্বার্থে, স্বচ্ছতার স্বার্থে এ বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করা দরকার এবং যেসব সন্দেহ তৈরি হয়েছে তার অবসান জরুরি।

বাগছাস সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের কালবেলাকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের আহামরি কোনো দাবি নেই। যেসব অভিযোগ, অসংগতি উঠে এসেছে এবং নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর যে বিষয়টি এসেছে, সেগুলো সুস্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছি।

ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম কালবেলাকে বলেন, এ যে অসংগতিগুলো উঠে এসেছে সেগুলোর জবাব দেওয়া দরকার। অভিযোগগুলো পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হিতে বিপরীত হচ্ছে। আমরা চাই খুব দ্রুত ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সব ধরনের সন্দেহের অবসান ঘটুক। এ অভিযোগগুলো সত্য কি মিথ্যা—সেগুলো নির্বাচন কমিশন আমাদের জানাক।

ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েমও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, যেসব অভিযোগ প্রার্থীরা করছেন সেগুলো আমলে নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। তাদের সেটা করা উচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিমানের টিকিট প্রতারণায় পেতে হবে যে শাস্তি

পাকিস্তান নির্ভরতা কমাতে কঠোর অবস্থানে আফগানিস্তান

মানবিক বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যের আহ্বান আমিনুল হকের

আশাশুনিকে ইকোনমিক জোনে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি কাজী আলাউদ্দিনের

আইভীর ৫ মামলার গ্রেপ্তার শুনানি পেছাল

খালেদা জিয়ার নামে স্কুল-বৃদ্ধাশ্রম বানাতে জমি দিলেন বিএনপি নেতা

ভুলবশত ১ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, তাৎক্ষণিক বিএনপির বিজ্ঞপ্তি

যে আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

যত ধরনের সংস্কার সবই বিএনপির ৩১ দফায় আছে : ডা. জাহিদ

সিলেটে তাইজুলের নতুন ইতিহাস

১০

ঢাবির ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

১১

রাজধানীতে আ.লীগের ২ সদস্য আটক

১২

প্রধান উপদেষ্টা দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন : সামান্তা শারমিন

১৩

তোমাদের আপা আর আসবে না, আ.লীগকে লায়ন ফারুক

১৪

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে ২১৮ পদে বড় নিয়োগ, আবেদন যেভাবে

১৫

মোদির মায়ের চরিত্রে রাভিনা ট্যান্ডন

১৬

লকডাউনের নামে আ.লীগ মানুষ পুড়িয়ে মারছে : রিজভী

১৭

করোনায় অতিরিক্ত মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায়, বরখাস্ত ইমামকে বহালের নির্দেশ

১৮

উদ্বোধনের পর ধসে পড়ল সেতু

১৯

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

২০
X