একজন-দুজন নয়, ক্যান্সার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত প্রায় ছয় হাজার রোগীর নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাতের আয়োজন চূড়ান্ত করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এসব রোগীর নামে সরকারি অনুদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মন্ত্রণালয় থেকে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। বিপুলসংখ্যক এই আবেদনের ৯৫ শতাংশই ভুয়া বলে কালবেলার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালীদের যোগসাজশে একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা অনুদানের এই তালিকা তৈরি করেছেন। নিয়মানুসারে জটিল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য করা আবেদনপত্রে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সুপারিশ থাকতে হয়। তবে সুপারিশে স্বাক্ষর থাকা ১০ জন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তাদের কেউই এসব রোগীর আবেদনপত্রে সুপারিশ করেননি। অনেক চিকিৎসকের স্বাক্ষর, এমনকি বিএমডিসি নিবন্ধন নম্বরও জাল করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগীর নাম-ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর ভুয়া। হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগীর কাগজপত্র সংগ্রহ করে নাম টেম্পারিং করে আবেদনপত্রে অন্য নাম বসানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন জটিল ও ব্যয়বহুল রোগে আক্রান্ত অসচ্ছল রোগীদের চিকিৎসার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এককালীন অনুদান দেয় সরকার। এই কর্মসূচির আওতায় ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত হলে আবেদনের ভিত্তিতে রোগীপ্রতি ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনুদান বিতরণের প্রক্রিয়াটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
অনুদান পাওয়ার জন্য রোগীর আবেদনপত্রে অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রত্যয়ন থাকতে হবে। এ ছাড়া ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বায়োপসিসহ অন্যান্য টেস্ট রিপোর্ট এবং কিডনি রোগের ক্ষেত্রে অ্যাকিউট রেনাল ফেইলিওর কিংবা করনিক রেনাল ফেইলিওরে আক্রান্ত হয়ে ডায়ালাইসিস সেবা নিচ্ছেন—এমন রোগীদের বিবেচনা করা হয়। তবে যেসব এলাকায় ডায়ালাইসিস সেবা নেওয়ার সুযোগ নেই, সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়নের ভিত্তিতে অনুদান দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা সত্যায়িত জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মসনদের ফটোকপিও জমা দিতে হয়। প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের একটি বাছাই কমিটি রয়েছে। এই কমিটি বাছাই করে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে সুপারিশ পাঠায়।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, এ খাতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১০ কোটি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২০ কোটি, ২০১৬-১৭-এ ৩০ কোটি, ২০১৭-১৮-এ ৫০ কোটি, ২০১৮-১৯-এ ৭৫ কোটি, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২-এ ১৫০ কোটি করে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ বছর ৪০ হাজার রোগীকে এ খাতে অনুদান দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুসারে বরাদ্দের ৭৫ ভাগ সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তবে বাকি ২৫ ভাগ মন্ত্রণালয়ের সংরক্ষিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মন্ত্রণালয় থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৯৮টি আবেদনপত্র অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে—যার ৯৫ শতাংশই ভুয়া।
কালবেলার হাতে আসা চার শতাধিক আবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, হাতেগোনা কয়েকটি বাদে বাকি সব আবেদনপত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। যথাযথ তথ্য দেওয়া হয়নি। যেসব আবেদনে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাও মিথ্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীর তথ্য সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে তাদের নাম মুছে নতুন নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য আবেদনপত্রে রোগীর ধরন ও মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল একই রকম দেখানো হয়েছে।
কালবেলার হাতে থাকা তথ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করা রোগীর অন্তত ৪০টি আবেদনপত্র রয়েছে। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, ৪০ রোগীর টেস্টের ফলাফল একই রকম। সুগার টেস্ট, লিপিড প্রোফাইল, কিডনি ফাংশন টেস্ট, ইলেকটোলাইটসসহ যেসব পরীক্ষা করানো হয় তার সবগুলোর ফলাফল সবার ক্ষেত্রে একই ধরনের।
এ রোগীদের আবেদনপত্রে সুপারিশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। সেখানে আহমেদুল কবিরের বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে এ-৬৩১৬৫। যদিও আহমেদুল কবির সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন বহু বছর আগে। তিনি ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। আহমেদুল কবির বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএমডিসিতে যাচাই করে দেখা গেছে, বিএমডিসির যেই নিবন্ধন নম্বরটি উল্লেখ করা হয়েছে, তা আহমেদুল কবিরের নয়। এই নম্বরটি মোহাম্মদ মাইনুল হাসান চিশতি নামে এক চিকিৎসকের। তিনি ২০১৩ সালে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এই সিল, স্বাক্ষর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়া। আমি ২০১৮ সাল থেকে অধ্যাপক। অথচ তারা সহযোগী অধ্যাপকের ভুয়া সিল বানিয়ে এই প্রতারণা করেছে।’
এ চক্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তিনি সহায়তাও কামনা করেন।
অসচ্ছল রোগীকে অনুদান দেওয়ার বেশ কিছু আবেদনে ডা. এ টি এম রফিকুল হক নামে এক চিকিৎসকের সুপারিশ রয়েছে। তার পরিচয় লেখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক বারমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তবে বিএসএমএমইউ মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক সুব্রত বিশ্বাস কালবেলাকে জানিয়েছেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পেডিয়াট্রিক বারমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি নামে কোনো বিভাগই নেই। আর পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগে এ টি এম রফিকুল হক নামে কোনো চিকিৎসক নেই। আবেদনপত্রগুলোতে ওই চিকিৎসকের বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর দেওয়া হয়েছে এ-৬৪১২০। অথচ এই রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি মো. ইমরান নামে এক চিকিৎসকের। তিনি ২০১৩ সালে বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন সনদ নিয়েছেন।
বিপুলসংখ্যক আবেদনপত্রে জটিল রোগী হিসেবে অর্থ সহায়তার জন্য সুপারিশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক স্পেশালিস্ট হিসেবে ডা. মো. সাইদুল ইসলাম নামে এক চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর হিসেবে এ-৫৪১৩১ নম্বর ব্যবহার করেছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে যাচাই করে দেখা গেছে, এই নম্বরটি ফারজানা আইরিন নামে এক চিকিৎসকের। তিনি ২০১১ সালে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্থোপেডিক অ্যান্ড ট্রমাটোলজি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ডা. মো. সাইদুর রহমান নামে এক চিকিৎসক রয়েছেন। তবে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া আবেদনপত্রগুলো সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। সেখানে তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা ২৫ জনের বেশি রোগী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিনোভায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তবে এর মধ্যে অন্তত ২০ জনের সব রকম রিপোর্টের ফলাফল একই রকম। একটি রিপোর্ট ফটোকপি কৌশলে ভিন্ন ভিন্ন নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ রোগীদের আবেদনপত্রে মিটফোর্ড হাসপাতালের ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক চিকিৎসকের সুপারিশ রয়েছে। তার নিবন্ধন নম্বর দেখানো হয়েছে এ-৩৬৭০১। কিন্তু বিএমডিসিতে এই নম্বরটি ডা. লায়লা নাসরিন নামে আরেক চিকিৎসকের। তিনি ২০০৪ সালে বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন নিয়েছেন।
একইভাবে জটিল রোগে আক্রান্ত হিসেবে আবেদন জমা দেওয়া ৩০ জনের জন্য সুপারিশ করেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আজহারুল ইসলাম। তার বিএমডিসির নিবন্ধন নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে এ-৪৮৯৭০। বিএমডিসিতে যাচাই করে দেখা গেছে, এই নম্বরটি মোসা. মৌসুমি মার্জিয়ারা বেগম নামে এক নারী চিকিৎসকের। তিনি ২০০৮ সালে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন।
মন্ত্রণালয় অনুদানের জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে ১১৩ জনের মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে কালবেলা। তবে প্রত্যেকের নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে। এর বাইরে জহুরা নামে একজনের নম্বর খোলা পাওয়া গেলেও তিনি জানান, মন্ত্রণালয়ে সাহায্যের আবেদন সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
রাজধানীর পূর্ব বাসাবোতে অপর এক আবেদনকারীর ঠিকানায় সরেজমিন গিয়ে আবেদনপত্রের নামানুসারে কাউকে পাওয়া যায়নি। একইভাবে অপর এক রোগীর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে পুরাতন ধানমন্ডির বশিরউদ্দীন রোডে। সেই ঠিকানা গিয়ে জানা যায়, এখানেও আবেদনপত্রের নামানুসারে কেউ সেখানে থাকেন না।
এ ছাড়া উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আবেদন ঘেঁটে দেখা যায়, বেশিরভাগ আবেদনপত্রই অসম্পূর্ণ। রিপোর্ট সত্যায়িত নয়, ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মিল নেই, অনেকের আবার ছবি নেই, জাতীয় পরিচয়ত্রের ব্যক্তি এবং আবেদনপত্রের ব্যক্তি ভিন্ন, ভোটার আইডি এবং আবেদনপত্রে ঠিকানা আলাদাসহ নানা অসংগতি রয়েছে।
এর আগে ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রকৃত রোগী না হওয়া, অন্যের ব্যবস্থাপত্র ফটোকপি, সংশ্লিষ্ট রোগের টেস্ট রিপোর্ট না থাকার পরও ৩০২ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এ ছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র এবং টেস্ট রিপোর্ট ছাড়াই অর্থ সহায়তা, একই অর্থবছরে ডাক্তারের স্বাক্ষর জাল করা আবেদনপত্রে অর্থ সহায়তার বিষয়ে অডিট আপত্তি জানানো হয়েছিল।
এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাছাই কমিটির আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের যাওয়ার পরামর্শ দেন।
বাছাই কমিটির প্রধান হিসেবে তার দায়ের বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘এটি লোকজন নিয়েই তো বাছাই করা হয়েছে।’
সুপারিশ করা তালিকার ৯৫ শতাংশই ভুয়া—এমন তথ্য জানানো হলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, হতে পারে। ওই যে লোকজন আছে, যাচাই-বাছাই করার জন্য লোকজন আছে। তাতে ভুল হতে পারে।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল কালবেলাকে বলেন, ‘আপনারা কী পেয়েছেন সেটি আমাদের জানা নেই। পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বলতে হবে।’
এর আগে প্রতিবছরই মন্ত্রণালয়ের এই ২৫ শতাংশ কোটায় অনিয়মের বিষয়টি এসেছে এবং অডিটেও ধরা পড়েছে—তার ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে আপনারা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যে জিনিসটা আপনার জানা, আমার জানা সেই জিনিসটার কোন উত্তর আছে? অডিট অডিটের কাজ করবে। অডিটের বিষয়ে কিছু জানার থাকলে অডিটকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। অডিটের বিষয়ে কি আমি মন্তব্য করতে পারব?’ ’২০, ’২১, ‘২২, ’১৭, ’১৮ সালে যা-ই আছে, অডিটের যে ধরনের প্রক্রিয়া সেই ধরনের বিষয়ে উত্তর যাচ্ছে। এখান থেকে চিঠি যাচ্ছে। এখন পার্টিকুলার বিষয়ে জানতে চাইলে সেটি দেখে বলতে হবে। এভাবে ঢালাওভাবে জানতে চাইলে তো এ রকম ঢালাও বলা ছাড়া আমার আর কিছু বলার থাকবে না। অডিট আসছে—অডিটেরর জবাব যাচ্ছে। নিষ্পত্তি হচ্ছে।’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এমন কোনো তালিকা পাঠানো হয়নি।’