উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদের আসন্ন সফরে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদের সফর নির্বাচনকেন্দ্রিক নয়। তবে অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনায় নির্বাচনও থাকতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল নির্বাচন নিয়েই কথা বলতে আসছে—এ ধরনের তথ্য আমার কাছে নেই। এটি আমাদের মধ্যে যে মেকানিজমগুলো আছে সেটির একটি ধারাবাহিকতা। অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে এবং তার মধ্যে নির্বাচন আসতে পারে। কিন্তু এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক সফর—এটি ভাবাও ঠিক হবে না। তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা, শ্রমাধিকার, বাণিজ্যসহ আমেরিকার সঙ্গে অনেক মেকানিজম কাজ করছে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতা একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং তার কাজের ক্ষেত্র ব্যাপক। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনেও যাবেন।
এর আগে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, ১১-১৪ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলী কৌর। উজরা জেয়ার সফর মূলত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যকার যোগাযোগ জোরদার করার একটি প্রয়াস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ৮-২৩ জুলাই বাংলাদেশ সফরে আসবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় সদস্যের একটি নির্বাচনী অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল। তারা নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে। বাংলাদেশ সফরকালে তারা সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনীতিক, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহী। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই পরে ইইউ আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও জানানো হয়, ইইউর মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করবেন। জাতিসংঘের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালি থেকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
মন্তব্য করুন