আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩২ এএম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪, ১১:২৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপেক্ষিত মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ কোটা সংরক্ষণের কথা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরিদের জন্যও রাখতে হয় আলাদা কোটা। শুধু তা-ই নয়, এসব শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে পড়ানোর দায়িত্বও বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু দেশের অর্ধেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই এই বিধান মানছে না। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি কোটায় একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি করা হয়নি। নামমাত্র কয়েকজন ভর্তি করেছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। আবার ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যদের আত্মীয়-পরিজন বা এলাকার শিক্ষার্থীদের দরিদ্র দেখিয়ে কোটা পূরণ করেছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা মানা হলেও তাদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করার অভিযোগও রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ চার বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ২০২২ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। দেশের ১১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ওই সময় চারটির কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল ইউজিসি। আর ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমই তখন পর্যন্ত শুরু হয়নি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৯(৪) ধারা অনুযায়ী, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ শতাংশ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরিদের জন্য ৩ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। এই শিক্ষার্থীরা কোনো ফি ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবেন। প্রতি বছর এসব কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা ইউজিসিতে পাঠানোর বিধান রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় একজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানি করে। তাকে শর্ত দেওয়া হয়, সিজিপিএ-৩ পেতে হবে এবং সেই ফল ধরে রাখতে হবে। পরবর্তী সময়ে সেই শিক্ষার্থী ইউজিসিতে অভিযোগ জানায়। ইউজিসি বিষয়টি আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, সেমিস্টারে ৩ বা ৩ দশমিক ৫ পেতে হবে, নইলে বিনা খরচে পড়ার সুযোগ পাবে না—বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সংশ্লিষ্ট কোটায় ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এমন শর্ত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ানোর সুযোগ না দিতেই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো নিয়ম তৈরি করছে।

ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী অর্ধেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই দরিদ্র মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরি কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করেনি। এর বাইরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নামমাত্র একজন, দুজন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। সংশ্লিষ্ট দুই কোটায় একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি করেনি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং খুলনা খান বাহাদুর আহ্সানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কোটায় দুজন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি), সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসচ্ছল মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসূরি কোটায় মোট শিক্ষার্থীর ১ শতাংশেরও কম ভর্তি করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সৈয়দপুর। এই কোটায় ২ শতাংশের কম শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস), অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, খাজা ইউনূস আলী বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কাদিরাবাদ, দি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি।

ইউজিসির প্রতিবেদন বলছে, ৩ শতাংশের কম শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশালের ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটিতে। ৪ শতাংশের কম শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ৫ শতাংশের কম শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, টাইমস ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে মোট শিক্ষার্থী ২২ হাজার ৭৪৫ জন। সংশ্লিষ্ট দুই কোটায় পড়ছে ১ হাজার ২৫৩ জন। তবু বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬ শতাংশের কোটা পূরণ হয়নি। এ ছাড়া দুই কোটায় ৬ শতাংশের কম শিক্ষার্থী আছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আহ্সানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে।

জানতে চাইলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. আনওয়ারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘কোটার বিষয়টি আমরা জানি। যেসব শিক্ষার্থী আবেদন করে তাদের সবাইকেই ভর্তি করা হয়।’

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার নুসরাত মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করি। কিন্তু ইউজিসির প্রতিবেদনে কেন সে তথ্য নেই, তা বলতে পারব না। এটা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’

কোটায় ভর্তির তথ্য নিয়ে সংশয়:

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩ শতাংশ এবং দরিদ্র মেধাবীদের জন্য ৩ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা থাকলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সেটি মানছে না। অথচ কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মোট শিক্ষার্থীর ১২ থেকে ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত কোটায় ভর্তি দেখাচ্ছে। যে কারণে এটিকে অস্বাভাবিক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আশা ইউনিভার্সিটিতে মোট শিক্ষার্থী ৭০৭ জন। সেখানে বিনা খরচে পড়ছে ৪১৭ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৯ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ১ হাজার ৪৯ শিক্ষার্থী বিনা খরচে পড়ছে, যা মোট শিক্ষার্থীর ২৮ শতাংশের বেশি। একইভাবে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) মোট শিক্ষার্থীর ২৩ শতাংশ, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে মোট শিক্ষার্থীর ২২ শতাংশ, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২০ শতাংশ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসে মোট শিক্ষার্থীর ১৯ শতাংশ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ১৯ শতাংশ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে মোট শিক্ষার্থীর ১৬ শতাংশ, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মোট শিক্ষার্থীর ১৫ শতাংশ, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসে প্রায় ১৫ শতাংশ, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রায় ১৪ শতাংশ, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা), ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ শতাংশ এবং সিটি ইউনিভার্সিটিতে ১১ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বিনা খরচে পড়াশোনা করছে। এ ছাড়া সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা খরচে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের ৬ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধা কোটার। সেখানে দরিদ্র মেধাবী কোটায় শিক্ষার্থী নেই।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আশা ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. ইকবাল খান চৌধুরীর সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসনের সুযোগ খুব কম। যে কারণে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়মুখী। আবার অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই মুক্তিযোদ্ধা ও অসচ্ছল মেধাবী কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করার ক্ষেত্রে উদাসীন। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছেন। সে কারণে ইউজিসিকে নজরদারি বাড়াতে হবে।’

যোগাযোগ করা হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলি, তারা যেন মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র মেধাবী কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করায়। কিন্তু অনেকেই কোটায় ভর্তি করায় না। এটি মানসিকতার বিষয়। অনেকেই আইন অমান্য করে। তার ওপর কেউ কোটায় ভর্তি না করালে ইউজিসি তো রয়েছেই। তারা কঠোর ব্যবস্থা নিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোটায় ভর্তিতে বাধ্য হতো।’

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠানো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইউজিসি প্রতিবেদন তৈরি করে। তবে জনবলের অভাবে সবক্ষেত্রে এসব তথ্যের সত্যতা যাচাই সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন ইউজিসির কর্মকর্তারা।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলেই শুধু তা যাচাই করা হয়। তার পরও বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলাপ করা হবে। এরপর যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করছে, তাদের চিঠি দেওয়া হবে।’

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ কালবেলাকে বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র মেধাবীদের জন্য ৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করার কথা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিষয়টি বারবার স্মরণ করিয়ে দিই। কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সেটি মান্য করে না। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কেই দায়িত্ব নিতে হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

ধান ক্ষেতে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

আপেল বাগান দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষের ভীড়

জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হালিমার

আম কুড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

কর্ণফুলীর বালুচরে সবুজের বিপ্লব

বেড়া পাউবো / ৩৭ কর্মকর্তার বদলির আবেদনে তোলপার

সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব ২০ পরিবার

জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা পরিবার

১০

নিউটনের ‘ভয়ংকর’ যৌন নিপীড়নের তথ্য দিল র‍্যাব

১১

যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১২

ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

১৩

ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন

১৪

ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক কোপাল প্রতিপক্ষরা

১৫

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম

১৬

অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি

১৭

মিষ্টি বিতরণের ধুম / চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

১৮

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

১৯

টানা কয়েকদিন বৃষ্টির আভাস

২০
X