শওকত হোসেন
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ এএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যাংকিং সেক্টর: কোথায় আছি কোথায় যেতে চাই

ব্যাংকিং সেক্টর: কোথায় আছি কোথায় যেতে চাই

স্বৈরাচারী সরকারের গত সাড়ে ১৫ বছরে কোন খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নিয়ে ঋণাত্মক প্রতিযোগিতা হতে পারে। তবে নিঃসন্দেহে বলা যায়, ব্যাংকিং সেক্টরে যে ক্ষতি হয়েছে, তা অভূতপূর্ব ও অকল্পনীয়। ২০০৮ সালে মন্দ ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা আর ২০২৪ সালের মার্চে তা দাঁড়াল ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ১৬ বছরে বেড়েছে সাতগুণ। কিন্তু প্রকৃত মন্দ ঋণের পরিমাণ ঘোষিত মন্দ ঋণের কয়েকগুণ। অবশ্য কেউ বলতে পারে ২০২৪ সালে ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। ২০০৯ সালে মোট ঋণের মধ্যে মন্দ ঋণ ছিল ১০.৮ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে হলো ১০.১১ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান ব্যাংকিং সেক্টরের ক্ষতিকে সামান্যই প্রকাশ করে। এর মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতপশিল করার পরিপত্র জারি করেছে, যে সুযোগ বড় বড় গ্রুপ বা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। মন্দ ঋণের একটা বড় অংশ প্রসাধন করে ভালো ঋণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। ব্যাংক খাতের এই ধ্বংসের জন্য অনেক কারণ আছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সন্দেহজনক আচরণ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক লাইসেন্স দেওয়ার তিন-চার বছরের মাথায় একটা ব্যাংক (ফারমার্স ব্যাংক) দেউলিয়া হয়ে গেল, সেজন্য উদ্যোক্তাদের (মহীউদ্দীন খান আলমগীর) বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সরকারি ব্যাংক যাদের নিজেদের পুঁজি নেগেটিভ তাদের থেকে টাকা নিয়ে কৃত্রিমভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলো। সেই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হলো। প্রশ্ন হলো, সরকারি ব্যাংকের টাকা তো জনগণের করের টাকা। এ টাকা বেসরকারি ব্যাংকে পুঁজি হিসাবে দিয়ে লুটপাট করা হলো—এর দায় কার? কোনো জবাবদিহিতা নেই কেন? কাউকে শাস্তি পেতে হলো না কেন? সেই ব্যাংক ব্যর্থ হলে দেউলিয়া ঘোষণা না করে আবার পদ্মা ব্যাংকে রূপান্তর করা হলো। সেটিও দেউলিয়া হলে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নিল কেন? কেন পরিচালকরা শাস্তি পাননি? আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকে ব্যাপক দুর্নীতি করার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও তাকে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান করা হয়। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। দুদকে আবেদন করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক কেন এত ব্যর্থ ব্যাংকের প্রতি এত টান? কার ব্যক্তিস্বার্থ আছে—খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা: ১৫ বছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৩টি সাধারণ ব্যাংকের লাইসেন্স ও দুটি ডিজিটাল ব্যাংকের প্রাথমিক ইচ্ছাপত্র দিয়েছে। গুণগত বিচারে নয়, এ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। অবশ্য আগেও যেসব লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোও রাজনৈতিক বিবেচনায়। কিন্তু দেশে এত ব্যাংকের আদৌ প্রয়োজন আছে কি না, তা থোড়াই বিবেচনা করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বা সততা যাচাই করার কোনো পদ্ধতিগত নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। সরকারি ব্যাংকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বৈত শাসন চলে। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাদের, ব্যাংকিংয়ে পেশাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও, রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় যেমন সুভাষ সিংহ রায়, জান্নাত আরা হেনরি, সাইমুম সারোয়ার ইত্যাদি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মেনে নিয়ে পরিচালক নিযুক্ত করেছে। এসব পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সহায়তায় ব্যাপক দুর্নীতি (যেমন হলমার্ক, বিসমিল্লাহ) হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। গভর্নর ফজলে কবীর মুদ্রানীতি ঘোষণা করার পর সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে চাপের মুখে সেই নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।

পার্টনার ইন ক্রাইম: এস আলম ২০১৭ সালে অভিনব কায়দায় ইসলামী ব্যাংক দখল করে। আগেকার দিনে ব্যাংক ডাকাতি করার জন্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যাংকের ভোল্ট লুট কো হতো। তাতে হয়তো কিছু টাকা নিতে পারত ডাকাতরা। কিন্তু রক্তপাতহীন গোটা একটা ব্যাংক ডাকাতি করে নেওয়া—এটা আমার মনে হয় পৃথিবীতে বিরল। তবে এই ক্রাইমের কৃতিত্ব এস আলমের একক নয়। ইকোনমিস্টের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিএফআইর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় এ ডাকাতি ঘটে। কোনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার মেয়াদ শেষ করার আগে পদত্যাগ করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করে কারণ অনুসন্ধান করার কথা। নতুন একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়। সাধারণত এ অনুমতি পেতে দুই থেকে ছয় সপ্তাহ লাগে। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ক্ষেত্রে ২৪ ঘণ্টায় এ অনুমতি মিলে যায়। এস আলম পরবর্তীকালে এসআইবিএলও দখল করে। তখনো বাংলাদেশ ব্যাংক একই দ্রুততায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদত্যাগ গ্রহণ করে ও নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিয়োগ অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ভূমিকা রক্ষকের কিন্তু তারা ভক্ষকের সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। অন্তর্বর্তী সরকার আমলে বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের শেয়ারগুলো জব্দ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তার কর্মীদের গাফিলতি বা দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করা প্রয়োজন।

রিজার্ভ হেইস্ট: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম রিজার্ভ হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালে তৎকালীন গভর্নর ডা. আতিউর রহমানের সময়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪-৫ তারিখে এ চুরি ঘটলেও থানায় কোনো জিডি করা হয়নি। অর্থমন্ত্রীর ভাষ্যমতে, তাকেও জানানো হয়নি। ১ বিলিয়ন ডলার চুরির মতলব ছিল হ্যাকারদের। কিন্তু তারা ১০১ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করতে পারে। চুরির টাকার ৮১ মিলিয়ন ফিলিপাইনে গিয়েছিল—সেই দেশের পত্রিকায় খবর বের হওয়ার পর বাংলাদেশের পত্রিকা তা প্রকাশ করে। তারপর সবাই নড়েচড়ে বসে। থানায় কেস করা হয় প্রায় তিন সপ্তাহ পর। কেন এই লুকোচুরি? আজতক এ ঘটনার জন্য কেউ শাস্তি পায়নি। একটি তদন্ত করা হয়েছিল, কিন্তু সেই রিপোর্টও আলোর মুখ দেখেনি। চোর চুরি করলে চোর দোষী, কিন্তু গেরস্থ যখন চোরের ব্যাপারে শাস্তি দিতে অনিচ্ছুক হয়, তখন সন্দেহ জাগে চোর আসলে কে?

রিজার্ভ সংকট: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ উঠেছিল ৪৮ (আগস্ট, ২০২২) বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ বাড়ার পেছনে অনেক ব্যতিক্রমী কারণ ছিল, করোনার সময়কালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানো যাচ্ছিল না, তাই সবাই ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র তার নাগরিকদের অনেক টাকা ভাতা দিয়েছিল। তা ছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছিল, যা অনেক বাংলাদেশি গ্রহণ করে দেশে পাঠিয়েছিল। তৃতীয়ত করোনাকালে আমদানি কমে গিয়েছিল এবং দায় পরিশোধ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে রিজার্ভ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। সরকার এ রিজার্ভ অর্বাচীনের মতো ব্যবহার করেছে। যেমন রিজার্ভ থেকে টাকায় ঋণ দিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ বসিয়ে রেখে কী লাভ, তাই ব্যবহার করেছি। বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থাপনা খুব জটিল বিষয়। স্বৈরাচার নিজেকে সর্বজ্ঞানী সর্ববিষয়ে পারঙ্গম ভাবতে থাকে। তাই দুই বছর না যেতেই জুন ২০২৪-এ ডলারের রিজার্ভ নেমে এলো ২১.৭ বিলিয়ন ডলারে (বিপিএম ৬)। অথচ বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ১০০ বিলিয়নের বেশি। রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ব্যাংক কি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে?

ঋণমান অবনমন: বাংলাদেশের ঋণমান ক্রমাগত অবনমন হয়েছে। রিজার্ভ কমে যাওয়া খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে।

আইন প্রয়োগে শিথিলতা: ব্যাংকিং কোম্পানি আইনে একই পরিবারের দুজন ব্যক্তি পরিচালনা পর্ষদে থাকার নিয়ম ছিল। সংসদে আইন পরিবর্তন করে তা চারজন করা হলো। এক ব্যক্তি দুই টার্মের বেশি পর্ষদে থাকতে পারবেন না—এ নিয়ম পরিবর্তন করে তিন টার্ম করা হলো। এ নিয়মের ফলে একেকটা ব্যাংক একেকটা ব্যক্তি বা পরিবারের ‘ব্যক্তি মালিকানা দোকানে’ পরিণত হলো। জবাবদিহি নেই। করপোরেট গভর্ন্যান্সের বালাই নেই। ইউনিয়ন ব্যাংকের ভোল্টে ১৯ কোটি টাকা ঘাটতি পাওয়া গেল, সেজন্য কারও বিচার বা শাস্তি হয়েছে শুনিনি। ন্যাশনাল ব্যাংক সিকদার পরিবারের পাঁচজন পরিচালক পর্ষদে রাখল। সিকদার সাহেব জীবিত থাকা অবস্থায় কোনো ব্যবস্থা নিল না বাংলাদেশ ব্যাংক। সিকদার পুত্ররা ক্রেডিট কার্ড থেকে নিয়মের বাইরে ডলার নিল। অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কোনো শাস্তির কথা এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি। ১৯৯৯ সালের ১১ মে যাত্রা শুরু করা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে একটানা ২৫ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

নীতিমালায় শিথিলতা: ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা ছিল এক ব্যাংকের পর্ষদে একই পরিবার থেকে দুজনের বেশি পরিচালক থাকতে পারবে না। ব্যাংকের পরিচালকদের চাপে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে চারজন করা হয়। একজন পরিচালক দুই মেয়াদের বেশি পর্ষদে থাকতে পারবেন না পরিবর্তন করে তিন মেয়াদ করা হয়। প্রতি মেয়াদ তিন বছর হিসাবে একজন পরিচালক ৯ বছর থাকতে পারবেন। আমানতকারীর নয়, পরিচালকদের স্বার্থ দেখাই যেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ।

পৃথিবীতে দুষ্ট লোক ছিল, আছে, থাকবে। সেজন্যই প্রয়োজন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণকারী যদি দুষ্ট লোকের আজ্ঞাবহ বা তল্পিবাহক হয়, তাহলে করের টাকায় কেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা পোষা?

লেখক: ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিশেষজ্ঞ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভালোবেসে বিয়ে, ৫ মাসের মাথায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতাকে অব্যাহতি

২০১৮ সালের নির্বাচনের বদনাম ঘোচাতে চায় পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার

ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে চেলসির বড় জয়

নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা

কেইনের হ্যাটট্রিকে লেইপজিগকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

১০

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

১১

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

১২

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

১৩

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

১৪

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

১৫

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১৬

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১৭

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১৮

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৯

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

২০
X