কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ এএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দুঃশাসনই হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করেছে

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
দুঃশাসনই হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করেছে

শুধু সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনের কারণে ফ্যাসিবাদ তথা আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান হয়েছে, আপামর জনগোষ্ঠী কি তাই মনে করে...? এটা পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও সুবিধাভোগীদের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা। ফ্যাসিবাদ এক দিনে প্রতিষ্ঠা হয় না, নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করলেই ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা কায়েম করা যায়, এ চিন্তাটা নিরর্থক। আন্দোলন মূলত সফলতা পেয়েছে মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে। সুতরাং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগীদের অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।

একটি সামাজিক আন্দোলন একদফায় রূপ নেয় যখন তাতে রাজনৈতিক দলের সমর্থন ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। ‘একদফা’ কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। একদফার চেতনা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা, শোষিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের বিপ্লবী চেতনা। বিপ্লব এক দিনে হয় না। ইতিহাস তাই বলে। বিপ্লব সংগঠিত হয় চেতনায়, যে চেতনায় থাকে আপসহীনতা, দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ আর তিতিক্ষা।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক আল্লাহর বাণী পৌঁছানো এবং বিশ্বশান্তি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠা হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে। তিনি ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে রক্তপাতহীনভাবে মক্কা জয় করেছিলেন। কিন্তু মক্কা বিজয়ের পূর্বে উহুদ যুদ্ধে মহানবী (সা.) দন্ত মোবারক শাহাদাতবরণ হয়। বদরের যুদ্ধ, উহুদের যুদ্ধ, খন্দকের যুদ্ধের মতো অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল শান্তি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠায় এবং অগণিত সহযোদ্ধা (সাহাবি) শাহাদাত বরণ করেন।

১৯৭০ সালের মানুষের ভোটের অধিকার ভূলুণ্ঠিত, দীর্ঘকালের শোষণ, বঞ্চনার কারণেই ১৯৭১ সালে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন জাতির ক্রান্তিকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। স্বাধীনতার ঘোষণা করেই থেমে যাননি, সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে রণাঙ্গনে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এ দেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে। ১৯৭২-৭৫ শাসনামলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির আকাশছোঁয়া মূল্য, জীবনের নিরাপত্তাহীনতা সবকিছুই জনগণের জন্য ছিল অনেকটা জগদ্দল পাথরের মতো। মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ‘বাকশাল’ নামক শাসনের বেড়াজালে পড়ে আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও অন্যদের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।

৩ ও ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহি জনতার বিপ্লব ছিল আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য একটি সফল প্রয়াস, যার মাধ্যমে এ দেশের সিপাহি জনতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন। তিনি একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। শেখ মুজিবের শাসনামল নিয়ে হেনরি কিসিঞ্জারের মন্তব্য Bottomless basket-বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়িকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ১৯ দফা ঘোষণা কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যা ছিল উন্নয়নের মূলমন্ত্র।

১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনা লালদীঘি ময়দান, চট্টগ্রামে ঘোষণা করেছিলেন, এরশাদের অধীনে যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তারা জাতীয় বেইমান। পরবর্তীকালে জাতীয় বেইমান হিসেবে এরশাদের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী অংশগ্রহণ করে স্বৈরাচারকে বৈধতা দিয়েছিল।

বিপরীতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া টানা ৯ বছর আপসহীন সংগ্রাম করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ পর্যন্ত পাঁচবার যথাক্রমে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর, ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হন ও দীর্ঘ কারাবরণ করেন। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের ও ফরমায়েশি রায় দিয়ে তার দেশে প্রত্যাবর্তনের পথ রুদ্ধ করে দেয় এই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার।

দেশি-বিদেশি চক্রান্তে এক-এগারো সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দেয়। আওয়ামী দুঃশাসনের শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনাবাহিনীর ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকস সেনা অফিসারসহ ৭৪ জনকে হত্যার মধ্য দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৯ মাসেও এত সামরিক কর্মকর্তাকে জীবন দিতে হয়নি।

অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়, যা এ দেশের মানুষের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে।

২০১৩ সালে রাতের অন্ধকারে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আলেম ও মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়। বস্তুনিষ্ঠ ও সরকারের অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করায় বন্ধ করে দেওয়া হয় দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক দিনকাল, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও পিস টিভির সম্প্রচার। সাংবাদিকদের জন্য কালো আইন পাস করে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহের হোসেন এবং পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। মোটকথা, বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তোলে আওয়ামী সরকার।

এই মামলাবাজ সরকার কাউকেই রেহাই দেয়নি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও দেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রায় এক দশক ধরে হয়রানি ও ভয়ভীতির মুখোমুখি করে রাখে ক্রমান্বয়ে ১৬৮টি মামলা দিয়ে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই ১৫৩ জন সাংসদ বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, আয়নাঘরে বন্দি করে রাখার মতো ঘটনা ঘটায়। সারা দেশে নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর। গুম করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, নির্বাহী কমিটির সদস্য চৌধুরী আলম, সাবেক সাংসদ সাইফুল ইসলাম হীরুসহ প্রায় ৮০০ নেতাকর্মীকে। সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করে ফেলে আসে ভারতের শিলংয়ে। সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। বিচারের নামে জুডিশিয়াল কিলিং অর্থাৎ ফাঁসির ব্যবস্থা করে রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জাতীয়তাবাদী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনৈতিকদের।

আওয়ামী শাসনামলে মায়ের পেটে শিশুও নিরাপদ ছিল না। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরা শহরে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভূমিষ্ঠ হয় শিশু সুরাইয়া। ছাত্রলীগের গুলিতে শিশু সুরাইয়ার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। মায়ের পেটে সন্তান গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বাহিনী দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ২ হাজার ৬৯৯টি, গুম করে ৬৭৭ জনকে, আটক অবস্থায় কারাগারে মৃত্যু হয় ১ হাজার ৪৮ জনের। জেল-জুলুম-নির্যাতনের মাধ্যমে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। দেড় লাখের অধিক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে প্রায় পৌনে কোটি বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে, যারা প্রায় ১৬ বছর ঘরবাড়ি ছেড়ে মানবেতর জীবনযাপন করে হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম জারি রাখে। রাস্তাঘাট, হাটবাজার, বন-জঙ্গল, খাল-বিল, নদীনালা এমন কোথাও নেই যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের লাশ পাওয়া যায়নি।

শেখ হাসিনার টানা শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় ১৪ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইস ব্যাংকগুলোতে টাকার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি। অর্থ পাচার করে কানাডায় বেগমপাড়া, সিঙ্গাপুরে সেকেন্ড হোম গড়ে তোলে আওয়ামী লুটেরা। শেয়ারবাজার থেকে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা লুট করে বিনোয়াগকারীদের সর্বস্বান্ত করে দেওয়া হয়। বিনিয়োগকারী কাজী লিয়াকত আলী যুবরাজ আত্মহত্যা করেন।

বিসিএসসহ চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মহোৎসব, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর গুলি ও হামলা করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ।

দলীয় সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের আইন এবং দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয় গত ১৫ বছরে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নিশিরাতে ভোট-ডাকাতি, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করে ভয় আর ভীতির রাজত্ব কায়েম করে মানুষের টুঁটি চেপে ধরা হয়। চাল, ডাল, তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। মনের ভেতর চাপা ক্ষোভ পুষতে থাকে, যেন সুযোগ পেলেই সব ঢেলে দেবে।

এমনই এক সুযোগ আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। যে আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা তার সেই পুরোনো পদ্ধতি, হামলা, মামলা, নির্যাতন, হত্যা শুরু করেন। দীর্ঘ দুঃশাসনে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে প্রথম থেকেই নৈতিক সমর্থন ও নির্যাতিত ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিগত দিনে হামলা-মামলায় নির্যাতিত মুক্তিকামী লাখো-কোটি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী।

ছাত্র হত্যা ও নির্যাতনে এ দেশের আপামর জনগণ নেমে এসেছিল পিচঢালা রাজপথে তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন এবং হাজার হাজার নেতা-কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, কেউবা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদলসহ বিএনপির নেতাকর্মী নিয়ে এ আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে শহীদ হয়েছেন দুই শতাধিক নেতাকর্মী।

গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের যে পতন ত্বরান্বিত হয়েছে, তা ছিল বিএনপি, দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। হাজারো ছাত্র-জনতার বীর শহীদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে দেশ পেল এক নতুন স্বাধীনতা।

লেখক: প্রচার সম্পাদক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রিমান্ড শেষে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির কারাগারে 

সরকারের একার পক্ষে স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব না : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

আশাশুনিকে সাতক্ষীরা-৩ আসনে ফেরানোর দাবি

‘খালেদা জিয়া পেছনের দরজা নয়, সম্মুখে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন’

‘পকেট ভরানো’ রাজনীতিবিদদের জন্য দুঃসংবাদ

নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন আর নেই

কয়েদির ওজন ৩০০ কেজি, প্রতিদিন খরচ আড়াই লাখ!

পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, দাম ঊর্ধ্বমুখী

জিসান-আফিফের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ বাংলাদেশের

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে পারে : রিজভী

১০

জনগণের আকাঙ্ক্ষা না বুঝা দলের কোনো ভবিষ্যৎ নেই : আমীর খসরু 

১১

জনগণের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত রাজনীতি : শরীফ উদ্দিন 

১২

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু

১৩

‘এশিয়া কাপ জিতবে ভারত’

১৪

মৎস্য রপ্তানি বাণিজ্যে ই-ট্রেসিবিলিটি : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নতুন দিগন্ত

১৫

যে যাকে ভালোবাসে হাশরের ময়দানে তাকে পাবে?

১৬

বন্ধ হচ্ছে কুমিল্লার সেই ইউটার্ন

১৭

দুর্ভিক্ষেও থেমে নেই ইসরায়েলের হামলা, আরও ১২ মৃত্যু

১৮

যে কারণে অভিনয় ছেড়ে জ্যোতিষী হলেন টিউলিপ

১৯

‘রাগিনী এমএমএস থ্রি’ সিনেমায় তামান্না ভাটিয়া (রিপিট)

২০
X