জাকির হোসেন
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১১ এএম
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফ্যাসিবাদ: বিস্মৃতির বিরুদ্ধে স্মৃতির লড়াই

ফ্যাসিবাদ: বিস্মৃতির বিরুদ্ধে স্মৃতির লড়াই

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের ঘটনাকে এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট। এ ঘটনার ভিত্তিতে পত্রিকাটি আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে নির্বাচিত করেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণেই আমাদের এই স্বীকৃতি। ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে ভোট ডাকাতি, বিরোধীদের কারাগারে পাঠানো ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি চালানো হয়েছে। শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।’ ইকোনমিস্ট কর্তৃক ‘কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান একদিকে যেমন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তেমনি শাসক হিসেবে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা আধুনিক বিশ্বের নৃশংস ফ্যাসিস্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। শুধু শেখ হাসিনা নয়, শেখ মুজিবের মৃত্যুর পরও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাকে অযোগ্য, অথর্ব, খুনি, স্বেচ্ছাচারী এবং দুর্নীতিপরায়ণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। সেই ইতিহাস আমরা অনেকেই ভুলে গেছি। সত্যি কথা বলতে, আমাদের মস্তিষ্ক থেকে শেখ মুজিবের দুঃশাসনের স্মৃতি মুছে গেছে। এটাই হলো কর্তৃতবাদী শাসকদের ক্ষমতার রাজনীতি। তারা তাদের দুঃশাসনকে মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে ফেলে, আর সামনে নিয়ে আসে তাদের উন্নয়ন ও বীরত্বের কল্পকাহিনি। এর মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় ফিরে আসে এবং টিকে থাকে। তাই ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিস্মৃতির বিরুদ্ধে স্মৃতির লড়াইকে জারি রাখা। এই লড়াইয়ে পরাজিত হওয়ার মানে হলো ফ্যাসিবাদের উত্থান। মুজিবের পতনের পর আমাদের দেশে এটাই ঘটেছে। দীর্ঘ ২১ পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে এসেছিলেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। কায়েম করেছিলেন ফ্যাসিবাদ। তাই ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ আর যাতে ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য বিস্মৃতির বিরুদ্ধে স্মৃতির লড়াই জারি রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের ভূমিকা মূখ্য। তারাই পারেন এই লড়াই জারি রাখতে।

ফ্যাসিবাদের বিস্তারে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক বোধ বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘস্থায়ী হলে মানুষ নিজের অস্তিত্বকেও ভুলে যায়। বোধ বুদ্ধিহীন প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়। ফলে নিজস্ব সংস্কৃতিকেও তারা বিসর্জন দিতে উদ্বুদ্ধ হয় এবং ধীরে ধীরে পরিণত হয় একটি মেরুদণ্ডহীন, নিবোর্ধ জাতিতে। শেখ হাসিনা এমনটি করতে চেয়েছিলন এবং তিনি অনেকটা সফলও হয়েছেন। কিন্তু একপর্যায়ে তা আর ধরে রাখতে পারেননি। বুক ভরা আগুন নিয়ে জ্বলে ওঠে ছাত্র-জনতা। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের তখতে-তাউস জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। ফ্যাসিবাদের অনুভূতিহীন দানব শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট মধ্য দুপুরে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ ঘটনার প্রায় ৫০ বছর আগে এই আগস্ট মাসেই তার পিতা শেখ মুজিব ও পরিবারের সদস্যরা মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। শেখ মুজিবুর রহমানের পতনের পর বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম ওই ঘটনার নিরিখে যেসব বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন, নিবন্ধ এবং সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিল, সেসব প্রতিবেদন, নিবন্ধ এবং সম্পাদকীয়র অনুবাদ ওই সময় দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করেছিল। পত্রিকাটি ‘নিউজউইকের দৃষ্টিতে শেখ মুজিবের পতন’, ‘মুজিবের পতনের কারণ সম্পর্কে বিশ্বের পত্র-পত্রিকা’, “শেখ মুজিবের পতন সম্পর্কে ‘ফার ইস্টার্ন রিভিউ’ পত্রিকার সমীক্ষা” এবং ‘পরিবর্তন বাঙ্গালী জাতিকে নতুন আশায় উজ্জীবিত করিয়াছে-সানডে টাইমস’ শিরোনামে যথাক্রমে ১৯৭৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর, ৩ সেপ্টেম্বর, ১৭ সেপ্টেম্বর এবং ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে।

নিউজউইকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ দেউলিয়াপনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্নীতি, কুশাসন ও নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব। দুর্নীতি এই দেশটিকে সংক্রামক ব্যাধির মতো রোগাক্রান্ত করেছিল। যে বিপ্লবের সঙ্গে শেখ মুজিবের নাম যুক্ত, সেই বিপ্লব পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালে তিনি যখন দেশে আসেন, তখন তার নেতৃত্ব সম্পর্কে আবার প্রশ্ন দেখা দেয়। প্রথমে তিনি তার জনপ্রিয়তার ওপর ভর করে জনগণের সান্নিধ্য পান। কিন্তু শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণি ও বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা ক্রমেই চরম আকার ধারণ করে। স্পষ্টতই অযোগ্য ও তোষামুদে পরামর্শদাতাদের ওপর মুজিবের নির্ভরতা এবং চারপার্শ্বের চরম দুর্নীতির প্রতি তার সহনশীলতায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। সহকর্মীরা কী করছেন, মুজিব হয় তা শুনতে চাইতেন না অথবা তাদের বিরুদ্ধাচরণে তিনি নারাজ ছিলেন। বিরোধিতা যত বাড়তে থাকে, মুজিব ততই বিচ্ছিন্নতার অঙ্কে আশ্রয় নিতে থাকেন, যারা আস্থা হারিয়েছেন লোভীর মতো তাদের ওপর নির্ভর করতে থাকেন। পশ্চিম পাকিস্তানের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে তিনি নিজেই একনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তার কাজের ক্রমবর্ধমান অযৌক্তিকতাই বেচারা মুজিবের ভাগ্যকে রুদ্ধ করে দেয়। দেশকে তিনি নৈরাশ্যের মধ্যে ঠেলে দেন এবং শেষ পর্যন্ত তিনি হয়ে ওঠেন একজন ফ্যাসিস্ট। তার নিষ্ফল পরিকল্পনা, নিষ্কর্মা প্রশাসন ও ব্যাপক দুর্নীতি দেশের অল্প সম্পদ ক্ষয় করে দেয়। প্রতিভাবান ও প্রশাসক খুঁজে বের করার বদলে মুজিব খাদ্য বণ্টন থেকে শুরু করে রেড ক্রসের সাহায্য বিতরণ পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য তার দুর্নীতিগ্রস্ত দলীয় সদস্যদের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। তার এই সিদ্ধান্ত আইনশৃঙ্খলাকে অপ্রতিরোধ্যভাবে ভাঙিয়া দেয়। পর্বতপ্রমাণ বিশৃঙ্খলার মুখে মুজিব ফ্যাসিবাদের শাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন।

শেখ মুজিবের পতনের কারণ বিশ্লেষণ করে বিশ্বের পত্র-পত্রিকায় যেসব মন্তব্য ও সংবাদভাষ্য প্রকাশিত হয়েছিল, তার কিছু অংশ এমন—

পঁচাত্তরের ১৬ আগস্ট লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ বাংলাদেশের সরকার পতনের পটভূমি বিশ্লেষণকালে উল্লেখ করে, সেনাবাহিনীর প্রতি শেখ মুজিবুর রহমানের অনাস্থা এবং নিজের ক্ষমতা সংহত করার উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত আনুগত্যের বাহিনী পোষণই শেখ মুজিবের পতনের কারণ। ডেইলি টেলিগ্রাফ শেখ মুজিবকে শোচনীয় রকমের দুর্বল প্রশাসক বলে অভিহিত করে। পত্রিকাটি উল্লেখ করে, মুজিব নিজের চোখের সামনে তার চারপাশে এবং দেশব্যাপী চরম দুর্নীতির ব্যাপ্তি লক্ষ করেও তিনি নির্বিকার ছিলেন।

ব্রিটেনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’ ১৬ আগস্ট তাদের প্রধান প্রতিবেদনে শেখ মুজিবের পতনের কারণগুলোর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ভাবানুভূতিতে আঘাত দান, ব্যক্তিগত বাহিনী লালন এবং উহার দ্বারা দেশব্যাপী নির্মম ও নিষ্ঠুর অভিযান পরিচালনা, প্রতিপক্ষ কর্মীদের হত্যা করার ঘটনাও উল্লেখ করেন।

তিনটি কারণে মুজিবের পতন ঘটেছে মর্মে লন্ডনের ‘সানডে টাইমস’ ১৭ আগস্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক এন্থনি ম্যাসকারেনহাসের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তিনি দীর্ঘ প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলেন, মুজিবের ট্র্যাজেডি হলো চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মুজিব সর্বজননন্দিত বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গশত্রুতে পরিণত হন। তার পতনের অন্যতম কারণ, মুজিব নিজেই সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হয়ে সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখতেন না। ...শেখ মুজিবের পতনের দ্বিতীয় কারণ ইসলামের অমর্যাদা। ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ‘হাজার মসজিদের নগরী’ হিসেবে স্বীকৃত ঢাকার জনগণ গৌরবান্বিত, সাবেক পশ্চিম পাকিস্তানিদের তুলনায় বাঙালিরা অধিকতর ধর্মপ্রাণ। উপমহাদেশে মুসলমানদের পৃথক বাসভূমির দাবিতে বাঙালিরাও শরিক ছিল।...

পঁচাত্তরের ১৬ আগস্ট ‘পতিত ভাবমূর্তি’ শীর্ষক ব্রিটেনের গ্লাসগো হ্যারল্ডের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, সম্ভবত বাংলাদেশের নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান সূচনা পর্বেই ব্যর্থ হয়েছিলেন।...

একই তারিখে অন্য এক সংবাদে বলা হয়, মুজিব সরকারে অনুগত অদূরদর্শী নীতি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করে দেয়। চরম স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির দরুন মুষ্টিমেয় লোকের হাতে বিত্ত-বৈভবের পাহাড় জমে উঠে, পক্ষান্তরে জনগণের দুর্দশা চরমে পৌঁছে।

শেখ মুজিবের পতনের কারণ বিষয়ে ‘ফার ইস্টার্ন রিভিউ’-এর মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হামবড়া ভাব, অহংসর্বস্ব কর্তৃত্ববাদ, ব্যক্তিগতভাবে অতিরিক্ত ক্ষমতার মোহ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যাবলি নিরসনে অক্ষমতা শেখ মুজিবের পতন ডেকে এনেছে। হংকং থেকে প্রকাশিত পঁচাত্তরের ২১ আগস্ট সংখ্যায় শেখ মুজিবুর রহমানের পতনের পটভূমি বিশ্লেষণ করা হয়। এতে বলা হয়, স্বাধীনতা পাওয়ার পর ১৯৭৫ সালের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, শেখ মুজিব যে আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, সে আসনের জন্য তিনি উপযুক্ত নন। এমনকি পাকিস্তানি শাসনের আড়াই দশকেও এ ধরনের অহেতুক মুদ্রাস্ফীতি, দুর্ভিক্ষ এবং ‘কালোবাজারি সংস্কৃতি দেখা যায়নি। ১৯৭২ সালের পর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও চোরাকারবারি সমাজজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে পরিণত হয়, যা অতীতে কখনো এত ব্যাপক আকার ধারণ করেনি। শেখ মুজিব ক্ষমতা ও খেতাব নিয়ে তামাশা করেছেন।

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাথরকাণ্ডে দুদকের তালিকায় সেই মোকাররিম

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ, দেখবেন যেভাবে

‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলে সেই মাহিন সরকারসহ প্রার্থী হলেন যারা

জানা গেল আইসিসি র‍্যাঙ্কিং থেকে রোহিত-কোহলির নাম মুছে যাওয়ার কারণ

অনুমতি ছাড়া ছবি-ভিডিও ব্যবহার নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রভা

অভিজ্ঞতা ছাড়াই অর্ধলাখের বেশি বেতনে চাকরির সুযোগ

ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উচ্চতর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতা অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা

চ্যাটজিপিটির ভুল তথ্যে বিপাকে পড়লেন তরুণী

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১০

ইউরোপ জাপান কোরিয়ায় শ্রমিক পাঠানো নিয়ে ‘সুখবর’ দিলেন আসিফ নজরুল

১১

জুলাই সনদের মতামত জমাদানের সময় বাড়ল

১২

অসুস্থ মেয়ের জন্য ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন গাজার সাবেক খেলোয়াড়

১৩

দিল্লিতে মাথায় চুল গজানোর চেষ্টায় ঢাকার সাবেক পলাতক এমপি

১৪

কালিগঞ্জে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

১৫

রাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়ন বিতরণ ২৪ আগস্ট

১৬

টয়লেটে বসে দীর্ঘ সময় কাটান? যে ভয়াবহ রোগের ঝুঁকির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

১৭

শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করলেন বাঁধন 

১৮

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মেহেরপুরে পৌরসভা ঘেরাও

১৯

বিশ্ব মশা দিবস / মশা দমনে সচেতনতাই আনবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা

২০
X