কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৮ এএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সেই দিনটি

ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন

স্মরণ
ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন

ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন মার্ক্সবাদী রুশ বিপ্লবী এবং কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ। লেনিন ১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল জারশাসিত রাশিয়ার সিমবির্স্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৭-২৪ পর্যন্ত সোভিয়েত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯২২-২৪ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। আদর্শগতভাবে একজন সাম্যবাদী হয়েও মার্ক্সবাদের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ বিকাশ ঘটিয়েছিলেন, যা ‘লেনিনবাদ’ নামে পরিচিত। তার ধারণাগুলো মরণোত্তরভাবে মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ হিসেবে সংজ্ঞায়িত হয়। লেলিন ১৮৮৭ সালের আগস্টে কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের বিপ্লবী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে এবং স্বরাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয় তাকে তার পরিবারের কোকুশকিনো এস্টেটে নির্বাসিত করে। সেখানে তিনি নিরলসভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন। নিকোলাই চের্নিশেভস্কির ১৮৬৩-এর বিপ্লবপন্থি উপন্যাস হোয়াট ইজ টু বি ডান পড়ে মুগ্ধ হন ও বিপ্লবী চেতনায় উজ্জীবিত হন। ১৮৮৯ সালে তিনি সামারা যান এবং স্থানীয় মার্ক্সবাদীদের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৮৯৩-এর শেষের দিকে, লেনিন সেন্ট পিটার্সবার্গে চলে আসেন। দ্রুতই সেখানকার মার্ক্সবাদীদের অবিসংবাদী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এখানেই লেনিন ক্রুপস্কায়ার সঙ্গে পরিচিত হন। ক্রুপস্কায়া পরবর্তীকালে তার দাম্পত্যসঙ্গীও ছিলেন। ক্রুপস্কায়া শ্রমিক ও কৃষকদের মধ্যে সাম্যবাদ এবং বিপ্লবী আদর্শের প্রচারে ব্রতী ছিলেন। লেনিনকে বিংশ শতকের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদের পেছনের আদর্শিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন তিনি এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের ওপর একটি লক্ষণীয় প্রভাব ফেলেছিলেন। ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে লেনিনকে তার সমর্থকরা সমাজতন্ত্র এবং শ্রমিক শ্রেণির নেতা হিসেবে দেখেন। অন্যদিকে সমালোচকরা তাকে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা হিসেবে সমালোচনা করে থাকেন। তথাপি তিনি বিশ্বনেতা হিসেবেই বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এ ছাড়া লেনিন আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। মূলত ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের সময় তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে। এই বিপ্লবে অত্যাচারী স্বৈরশাসক রোমানব রাজবংশের সমাপ্তি এবং রাশিয়ায় শতাব্দীর সাম্রাজ্যবাদী শাসনের অবসান ঘটে। তার শাসনের অধীনে রাশিয়ায় বৃহত্তর সোভিয়েত ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একদলীয় সাম্যবাদী রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন রচিত ‘রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ’, ‘কী করতে হবে?’, ‘এক পা আগে, দুই পা পিছে’, ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবে সোশ্যাল-ডেমোক্রেসির দুই রণকৌশল’, ‘বস্তুবাদ ও অভিজ্ঞতাবাদী সমালোচনা’, ‘রাষ্ট্র ও বিপ্লব’ ইত্যাদি গ্রন্থসমূহ সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য বিশ্বের অমূল্য সম্পদ। বিপ্লবী লেনিন ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারি মারা যান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুয়েটে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের তিন দফা বাস্তবায়নের দাবি

শেখ হাসিনা পরিবারের বাড়ি-জমি জব্দ

সমাবেশের ঘোষণা শ্রমিক দলের

সহস্রাধিক প্রকৌশলী বেকার হওয়ার আশঙ্কা এআইওবির

পাকিস্তানি ডন পত্রিকার সম্পাদকীয় / ভিন্নমতের মুখ বন্ধে ভারতের তথ্য যুদ্ধ

‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে’

মুক্তবাণিজ্য এলাকা স্থাপনে জাতীয় কমিটি গঠন

পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১০

বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা

১০

৮ জেলায় বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা

১১

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে : নাহিদ 

১২

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন / ভারতকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে কাশ্মীর হামলায় পাকিস্তান জড়িত

১৩

অন্তর্বর্তী সরকারকে ইসলামী আন্দোলনের আমিরের হুঁশিয়ারি

১৪

ভারতে কোচিং সেন্টারে বোমা হামলা

১৫

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় আটক ১

১৬

১৪ পুলিশ সুপারের বদলি

১৭

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

১৮

এনবিআরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক

১৯

নাগরিকদের বড় সুখবর দিল সরকার

২০
X