মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

অতিসম্প্রতি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে যে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে, সে ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে শেষ খবর পাওয়া অবধি তিন হাজারের অধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতের সংখ্যা পাঁচ হাজারের মতো। ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের নিচে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের তীব্র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় থাইল্যান্ড। এ ছাড়া এই ভূমিকম্পটির প্রভাব পড়ে চীন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশেও।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি রাতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মণিপুর রাজ্যের ওয়াংজিং থেকে ১০৬ কিলোমিটার পূর্বে। এ ছাড়া চলতি বছরের শুরুতেই দেশে দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। ৩ জানুয়ারি ঢাকা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রিখটার স্কেলের ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার। সপ্তাহ না পেরোতেই ৭ তারিখ আবার রাজধানীসহ সারা দেশে ভূকম্পন অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল চীনের জিয়াং শাসিত অঞ্চলে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ ও গভীরতা ১০ কিলোমিটার। বেশ কিছুকাল ধরে দেশে বারবার মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানছে। এসবের উৎপত্তিস্থলও খুব দূরে নয়, দেশের অভ্যন্তরে অথবা খুব কাছাকাছি কোথাও।

বিশ্বে যত রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে, তার মধ্যে ভূমিকম্পকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে ধরা হয়। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পের আগাম আভাস দেওয়ার মতো প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়নি। বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে পূর্বাভাস দিতে পারে। এ সামান্য সময়ে ধ্বংসযজ্ঞ এড়ানোর কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বারবার মৃদু বা মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প আগামীতে একটি উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের লক্ষণ হতে পারে এবং বড় ধরনের ভূমিকম্পের পরিণতি এতটা ভয়াবহ হতে পারে, যা মানুষের কল্পনাতীত। সাধারণত ৭ মাত্রার ভূমিকম্পকে বড় ধরনের ভূকম্পন হিসেবে ধরা হয়। আর ৮ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পকে বিবেচনা করা হয় বড় দুর্বিপাক হিসেবে, যার ফল হবে মারাত্মক। আবার ভূকম্পনের স্থায়িত্বের ওপরও নির্ভর করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। ভূমিকম্প যত বেশি সময় স্থায়ী হবে ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণও তত বৃদ্ধি পাবে। শুধু কম্পনের মাত্রাই নয়, মাটির নিচে কোথায় কম্পন হয় সেই স্থানটির অবস্থানও ধ্বংসের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভূকম্পনের স্থানটির গভীরতা কম হলে ভূমিকম্পের শক্তি ও কাঁপন প্রশমিত করার মতো মাটি ওপরে কম থাকার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অধিক হবে। প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট সিসমিক নেটওয়ার্কের মতে, ভূমিকম্প মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে মাঝারি ও উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প কয়েক মিনিট ধরে চলতে পারে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা ও আন্দামানের কাছে ভারত মহাসাগরে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ১৪টি দেশে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যায়। তবে এটাও মিথ্যে নয় যে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি নির্ভর করে ভবনের স্থায়িত্বের শক্তির ওপর, কেননা ভবন ধসেই মানুষের মৃত্যু বেশি হয়ে থাকে। কোনো অবকাঠামো যদি ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট শক্তি পুরোটাই শোষণ করে নিতে পারে তবে সেটা ধসে পড়বে না। ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণের পারদর্শিতা জাপানের স্থপতি এবং প্রকৌশলীরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের কাতারে রয়েছে বাংলাদেশ; বিশেষ করে রাজধানী শহর ঢাকা। ২০০৩ সাল থেকে ভূমিকম্প নিয়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকের মতে, ভূতাত্ত্বিক ও টেকনোটিক কাঠামো অনুযায়ী বাংলাদেশ তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। একটা ইন্ডিয়া প্লেট এবং এর পূর্বে বার্মা প্লেট ও উত্তরে ইউরেশিয়ান প্লেট। ইন্ডিয়া ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থল বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ হাওর হয়ে মেঘনা দিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে সুমাত্রা পর্যন্ত চলে গেছে। ভূমিকম্প কখনো যদি বাংলাদেশমুখী প্লেটে ঘটে তাহলে এক অকল্পনীয় পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। বাংলাদেশসহ ভারত ও মিয়ানমারের কিছু অংশজুড়ে সুবিশাল চ্যুতি থাকায় একটি দেশে ভূমিকম্প হলে তার পাশের দেশে যে কোনো মুহূর্তে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। অভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশে সাম্প্রতিক ভূমিকম্প প্রমাণ করে বাংলাদেশ উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। যার ফলে সিলেট ও চট্টগ্রাম ছাড়াও সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে রাজধানী ঢাকা। এ ছাড়া বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ। এরপর মাঝারি ঝুঁকিতে রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগ। বলা হয়, প্লেটের সংযোগস্থলে ৮০০ থেকে ১০০০ বছর আগে ভূমিকম্প হওয়ার ফলে এ অংশে যে শক্তি জমা রয়েছে, সেটা একসঙ্গে বের হলে ৮ দশমিক ২ স্কেলের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শক্তি একবারে বের না হয়ে আংশিক বের হলে ভূমিকম্পের মাত্রা হবে কম।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা লক্ষাধিক। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এবং এর কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয়। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১টি এবং ২০২৪ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ৫৩টিতে পৌঁছায়। এটি ছিল গত আট বছরের সর্বোচ্চ। চলতি বছরের গত তিন মাসেই বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারে বিভিন্ন মাত্রার ৬০টির বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূকম্পনে বড় শক্তি বের হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। তাতে মনে করা যায় দেশে ৭ মাত্রার বড় ধরনের ভূমিকম্প ফেরত আসার সময় বেশি দূরে নয়। আর এ ধরনের ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকার ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে। অথচ ভবন ধসের মতো ভয়াবহ দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার সন্তোষজনক ব্যবস্থা বাংলাদেশে অদ্যাবধি গড়ে ওঠেনি। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা জনবহুল ঢাকা মহানগরীর সরু রাস্তাঘাট, অলিগলি পেরিয়ে ভবন ধস-পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভবপর নয়। ভবন ধসের পর স্বাভাবিক ক্রমে বিধ্বস্ত হয়ে যায় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মতো জরুরি ব্যবস্থাগুলো। এসব দ্রুত পুনঃস্থাপনের সামর্থ্য বা প্রস্তুতি কোনোটাই তেমন নেই বাংলাদেশে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনার অভাবে ভবন ধস-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো হয়ে পড়বে কষ্টকর।

উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের মধ্যে হাইতিতে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ এবং চিলিতে রিখটার স্কেলে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৫২৫ জন নিহত এবং নিখোঁজ হয় ২৫ জন। ভূমিকম্প প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকার কারণে চিলিতে এত বড় শক্তিশালী ভূকম্পনের পরও বিদ্যুৎ, টেলিফোন, টেলিভিশন সংযোগ অব্যাহত থাকে। চিলিতে প্রাণহানিও কম হয়েছে সেখানে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণের কারণে। ১৯৭৩ সাল থেকে কমপক্ষে ১৩টি ছোট-বড় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ চিলিতে ভূমিকম্প মোকাবিলায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক জনসচেতনতা। এমনকি স্কুল, কলেজেও ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়ার বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। ভূমিকম্প-পরবর্তী ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশের জনগণের মাঝে ভূমিকম্প সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ভূমিকম্প শুরু হলে ভবনে বসবাসকারী সবাইকে তাড়াহুড়া না করে বাইরে খোলা স্থানে দাঁড়াতে হবে। বন্ধ করে দিতে হবে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ। বাইরে বেরোনো সম্ভব না হলে কোনো শক্ত টেবিল, খাট বা ভবনের বিমের নিচে আশ্রয় নিতে হবে। হাতে টর্চ, পানি ও শুকনো খাবার রাখতে হবে। দেশজুড়ে অঞ্চলভিত্তিক পরিবেশ ও মাটির বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সংগতি রেখে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ না করা হলে ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয় মোকাবিলা কঠিন হবে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অতি পুরোনো জীর্ণ-শীর্ণ ভবনগুলোকে ভেঙে ফেলতে হবে। যেসব ভবন মোটামুটি বাসযোগ্য মনে হয়, সেগুলোকে রিট্রোফিটিং করে কিছুদিনের জন্য টিকিয়ে রাখা গেলে ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে প্রাণহানির সংখ্যা হ্রাস করা যাবে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রযুক্তি অদ্যাবধি বের না হওয়ায় শুধু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রকৌশলী

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এপ্রিলে সীমান্তে ১০১ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে সর্বদলীয় কনভেনশনের আহ্বান এবি পার্টির

আওয়ামী লীগসহ তাদের অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে : সপু

সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘুর ওপর নিরাপত্তা নির্ভর করে না : তারেক রহমান

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হবে না : আমিনুল হক

কেশবপুরে পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কর্মীসভা

আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে পানি ছেটানো নিয়ে যা জানাল ডিএনসিসি

স্কুল পড়ুয়া ৩৭ শিক্ষার্থী পেল বাইসাইকেল

স্বাস্থ্য পরামর্শ / হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে

বাবাকে হত্যায় মেয়ে শিফার দোষ স্বীকার

১০

সুন্দরবন দিয়ে ৬২ জনকে পুশইন বিএসএফের

১১

বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ

১২

নরসিংদীতে সাংবাদিকের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা, প্রাণনাশের হুমকি

১৩

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন নিয়ে এনসিপির বিশেষ বার্তা

১৪

পিবিপ্রবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৫

ডিআইইউসাসের দিনব্যাপী সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

১৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ

১৭

শিক্ষার্থীদের জন্য পানির ফিল্টার দিলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা

১৮

ঢাকা ছাড়াও আ.লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন হয়েছে যেসব জায়াগায়

১৯

পাক-ভারত উত্তেজনা : অতীতে কারা পেয়েছে সুবিধা, এবার সামনে কে?

২০
X