ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

ডোনার টিম নিয়ে খেলছে সরকার

ডোনার টিম নিয়ে খেলছে সরকার

স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হন। তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। মাত্র তিন মাসে নয় বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে তারা। ১৯৯১-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনো সেরা হিসেবে বিবেচিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ ও ব্যক্তিগত পাঁচ আসনে বিজয় লাভ করে চমক দেখান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফলাফলে স্তম্ভিত হয়ে যায় গণমাধ্যম ও তথাকথিত সুশীল সমাজ। বাকরুদ্ধ আওয়ামী লীগ পরাজয়ের কারণ না খুঁজে নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ আনে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আপসহীন চরিত্রের কারণে খালেদা জিয়ার প্রতি আস্থা রাখে দেশবাসী। পক্ষান্তরে এরশাদকে সহযোগিতার মাধ্যমে স্বৈরশাসন লম্বা করায় শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারেনি আপামর জনতা। সে সময় জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করে বিএনপি। সরকারকে একমুহূর্তও শান্তিতে না রাখার ঘোষণা দেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে দলীয়ভাবে হতোদ্যম হয়ে পড়লেও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ।

জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় আওয়ামী লীগ অন্য নামে ভিন্নঘরে হানা দেয়। খুঁজতে থাকে ক্লিন ইমেজের কাউকে। পেয়ে যান মহীয়সী নারী শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে। তার নেতৃত্বে গড়ে তোলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক)। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচারের জন্য ১০১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ, বামধারার রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি পেশাজীবী-সাংবাদিক-সাহিত্যিক-শিক্ষক-সাংস্কৃতিক কর্মীরা যোগ দিতে থাকেন। শহীদ জননীর পাশে থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচার চাওয়াটা নৈতিক দাবি হয়ে ওঠে অনেকের কাছে। ঘাদানিকের ডাকা বিভিন্ন কর্মসূচিতে লোক সরবরাহ করে আওয়ামী লীগ। গণআদালত গঠন করলে বেকায়দায় পড়ে জামায়াত সমর্থিত বিএনপি সরকার। আওয়ামী লীগের পালে হাওয়া লাগে। সরকারবিরোধী আন্দোলন জমিয়ে ফেলে তারা। আরও একধাপ এগিয়ে আমলাদের দিয়ে জনতার মঞ্চ গড়ে তোলে। একপর্যায়ে আন্দোলনে জামায়াতকেও পাশে পায়। আওয়ামী লীগ আন্দোলনে সফলতা পায় ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের মাধ্যমে। কিন্তু ওই মেয়াদে জামায়াতের প্রতি কৃতজ্ঞতায় যুদ্ধাপরাধের বিচারে উদ্যোগী হয় না তারা। যদিও এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয় ঘাদানিক।

২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় এসেই যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। বিচার প্রক্রিয়ায় দলীয় ও সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি অনুগত তৃতীয় শ্রেণির বিচারক ও আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। দেশ-বিদেশের সমালোচনার মুখে পড়ে বিচারকাজ। এক জামায়াত নেতার ফাঁসি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। সাক্ষ্য-তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি পূরণে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামানো হয় বরাবরের সহযোগী অনুগত ভিন্ন দলের কয়েকটি সংগঠনকে। শাহবাগ মোড়ে জন্ম নেয় গণজাগরণ মঞ্চ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এ আন্দোলন। দল-মত নির্বিশেষে উৎসুক জনতা ভিড় করে। আবেগে ভেসে যায় গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ। প্রভাবিত হয় আদালত। ফাঁসি হয় ওই জামায়াত নেতার। যদিও পরে দেশে থাকতে পারেনি মঞ্চের অনেক কুশীলব। হয়রানির শিকার হয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের জাঁতাকলে। ঘাদানিকের মতোই ঘাড় ধাক্কা খেয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হাতে। তবু তাদের বোঝাপড়ায় খুব একটা ছেদ পড়েনি। এ যেন জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক। টানা দেড় দশকের স্বৈরশাসনে আওয়ামী লীগ টুঁ শব্দ করতে দেয়নি তথাকথিত প্রগতিশীলদের। সরকার তার প্রয়োজনে কখনো কখনো বিক্ষোভ করিয়েছে গৃহপালিত বিক্ষুব্ধদের দিয়ে।

বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে একপেশে রাজনীতিতে মাঝেমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দুই ভাগ হয়ে মারামারি করেছে। লুটপাট-দখলে গ্রুপিং হয়েছে। এর মধ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি আলাদাভাবে উদযাপন করেছে। ডামি-আমি নির্বাচনে নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। এ যেন নিজের সঙ্গে নিজেরই খেলা। অনেকটা কেঁচোর মতো। একসময় সারা দেশে ফুটবল, ভলিবল, হাডুডু খেলা হতো খুব। এক গ্রাম-মহল্লা বা ক্লাবের সঙ্গে অন্য এলাকা বা ক্লাবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। খেলার নির্ধারিত দিন আমন্ত্রিত দল অনুপস্থিত থাকলে আয়োজক ক্লাব বা গ্রাম নিজেরাই দুই ভাগ হয়ে খেলত। তাতে, উপস্থিত দর্শক কিছুটা হলেও আনন্দ পেত। খেলার প্রয়োজনে সহযোগী দলটিকে বলা হতো ‘ডোনার টিম’। আওয়ামী লীগ তার ক্ষমতার মসনদকে নিষ্কণ্টক রাখতে এরকম বহু ডোনার টিম ব্যবহার করেছে। কখনো ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, কখনো গণজাগরণ মঞ্চ, কখনো ১৪ দল। এমনকি, বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন নতুন মেরূকরণ তৈরি করেছে তারা। নিজেদের পরিকল্পিতভাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। যাতে বিএনপিসহ অন্যদের ‘বিপক্ষ শক্তি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সামাজিকভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রায় নিষিদ্ধ জীবনযাপন করছে। এর মধ্যে গত শনিবার মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এ সিদ্ধান্ত নিতে সরকার বাধ্য হয়েছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), পুরোনো দল জামায়াত, গণ অধিকার পরিষদ, শিবিরসহ বিক্ষুব্ধদের আলটিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে। তাদের সঙ্গে ছিল ইনকিলাব মঞ্চ, জুলাই ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন। এরা সবাই জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান কাফেলার সৈনিক। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও গণজাগরণ মঞ্চকে অনেক দিন ধরে শাহবাগী বলে গালমন্দ করে আসছে। তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য গণ অধিকার পরিষদ ছাড়া বাকিরা শাহবাগেই দুদিনের জন্য অবস্থান নিয়েছিল। এনসিপি গঠনের আগে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের ব্যানারে সবাই জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে তারাই নিয়োগ দিয়েছে। এখন কথা হচ্ছে, নিজেদের সরকারকে কেন আলটিমেটাম দিতে হবে? এটা তো সরকারের দায়িত্ব। অভ্যুত্থানের পর থেকেই দাবি করা হচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয় নয়। অভ্যুত্থানে হতাহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, সংস্কার সবকিছুর জন্যই বারবার কর্মসূচি দিতে হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারও কি তবে আওয়ামী লীগের মতো ডোনার টিম নিয়ে খেলছে?

অনির্বাচিত বলেই কি জনচাপ তৈরির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইউনূস সরকার? স্থানীয় ও গণপরিষদ নির্বাচন এবং দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চায় এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি ছোট দল। জামায়াত তাল মিলিয়ে চললেও আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায়। সরকার কি ভবিষ্যতেও আলটিমেটামের দিকে তাকিয়ে থাকবে? দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে রাজপথে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বর্তমান সরকার গঠন এবং পরিচালনে তারাও সহযোগিতা করেছে। তাদের প্রধান দাবি, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু রুটিনওয়ার্কে ব্যস্ত সরকার এদিকে তেমন মনোযোগ দিচ্ছে না। এ নিয়ে আজকাল সরকারকে সন্দেহ করছে বিএনপি। দাবি আদায়ে তারা যদি রাজপথে নামে, তাহলে কী হবে? এনসিপির মতো গরমে শীতল পানির ছোঁয়াসহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাবে? নাকি আওয়ামী লীগ আমলের মতো প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে? বোধহয় না। সম্প্রতি এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, প্রশাসনের অনেকে বিএনপির কথা শুনে চলে। আবার, গত রোববার রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘সরকারে থাকা যেন এখন দুধারী তলোয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা। সরকার কোনো ভুল করলে, সেটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে না পড়লেও জনতার কাঠগড়ায় আমাদেরই দাঁড় করানো হয়। আবার ছাত্র-জনতা মাঠে নামলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভরকেন্দ্রগুলো আমাদের সন্দেহের চোখে দেখে, টার্গেট করে। স্টাবলিশমেন্ট মনে করে—এই কাজ আমরা করছি।’ এরকমই হওয়ার কথা। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগকে মানুষ ছুড়ে ফেলেছে তার কর্মকাণ্ডের জন্য। জীবনবাজি রাখা বিপ্লবীদের অনেক গল্পগাছা মানুষ ধীরে ধীরে জানতে পারছে। আগে সন্তানদের কারণে মন্ত্রীদের কথা শুনতে হতো। এখন হচ্ছে উল্টোটা। পারিবারিক ও দেশি-বিদেশি অভিভাবকদের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন উপদেষ্টারা।

ইউনূস সরকারের দীর্ঘায়ু কামনা করছে রাজনৈতিক দলের কাছে প্রতারিত, শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, ধর্মান্ধ, উগ্র; এমনকি স্বাধীনতাবিরোধী কোনো কোনো চক্র। তারা কেউ কেউ নারীর অবমাননা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা, ইতিহাস-ঐতিহ্যে আঘাত করছে প্রতিনিয়ত। শিরকের অভিযোগে প্রাচীন বৃক্ষও রেহাই পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। নারী ও গ্রামীণ উন্নয়নে কাঠমোল্লাদের বাধার কথা তো ড. ইউনূসকে নতুন করে বোঝাতে হবে না। এসব কূপমণ্ডূকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তো সরকারের উদ্দেশ্য-বিধেয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব তার দেশকে গণতান্ত্রিক আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবেই গড়ে তুলবে বলে আশা করে বাংলাদেশের মানুষ।

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাত্র এক দিনের প্রধানমন্ত্রী তিনি

সিলেটে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১

‘আইনি প্রক্রিয়া মেনেই আসিফ অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন, তবে’...

খামেনির আরও এক সহযোগীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল ইরান

আগামী এক বছরে ৪০ হাজার কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

পদ্মায় ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির বাগাড়

‘ভুয়া তথ্য’ রুখতে জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর সেই বিধবা পেলেন সহায়তা

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ভিসায় সময়সীমা আরোপের উদ্যোগ

তাসকিন-তানজিমে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা, কলম্বোতে শুরুতেই টাইগারদের দাপট

১০

মুদি দোকানে মিলল টিসিবির ১৪৪২ লিটার তেল 

১১

বিমানে যাত্রীদের সঙ্গে মিলল সাপ, অতঃপর...

১২

সংসদ নির্বাচনে ৪৮ লাখ ডলার দিচ্ছে জাপান

১৩

১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো 

১৪

সরকারি অফিসে ৫০ ভাগ লোক কাজ করে না : আসিফ নজরুল

১৫

গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, শ্রমিক দল-ছাত্রদলের ৩ নেতা বহিষ্কার

১৬

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতায় বিপিসির উদ্বেগ 

১৭

ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ‘মুক্তির পাঠাগার’ স্থাপন করল ছাত্রদল নেতা

১৮

চলে গেলেন জীনাত রেহানা

১৯

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রে দোয়া মাহফিল 

২০
X