কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫২ এএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চারদিক

ড্রেন আর নালা যেন মৃত্যুকূপ

ড্রেন আর নালা যেন মৃত্যুকূপ

বলছিলাম চট্টগ্রামের নালা ও ড্রেনের সংস্কার ব্যবস্থা নিয়ে। এ মাসের শুরুর দিকে চট্টগ্রাম উত্তর আগ্রাবাদে দুই বছরের ইয়াসিন হয়তো একটু খেলতে বাসা থেকে বের হয়েছে। এই বের হওয়া যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নালায় পড়ে যাওয়ার ১৭ ঘণ্টা পর মিলেছে ছোট্ট ইয়াসিনের লাশ। এলাকার মানুষ বলছেন, দীর্ঘ সময় এ নালাগুলো পরিষ্কার না করা এবং নালার ওপর স্ল্যাব না দেওয়ার কারণেই এমন দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্তারা বলছেন, মানুষের সচেতনতার অভাবে এরকম দুর্ঘটনা ঘটছে। আমার প্রশ্ন, দুই বছরের ইয়াসিন কে কি সচেতনতার শিক্ষা দেওয়া যেত? আরেকটি ঘটনা নিশ্চয়ই মনে আছে, চট্টগ্রাম মুরাদপুরের সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমদের কথা। গত বছর ২৫ আগস্ট মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান তিনি। তারপর দীর্ঘদিন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চেষ্টা করেও তার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনার এক মাস যেতে না যেতেই ২৭ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ওইদিন রাত ১০টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ জেক্স মার্কেটের সামনে নালায় পড়ে যান ওই ছাত্রী। রাত ২টা ৫০ মিনিটে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নিহত সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯) চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। চশমা কিনতে গিয়ে নালায় পড়ে প্রাণ দিয়েছেন সাদিয়া। যদিও সাদিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কেউই দায় স্বীকার করেনি। উভয় কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মেয়েটি অসাবধানতাবশত গার্ডারের ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে পা পিছলে নালায় পড়ে মারা যায় এবং এটিকে তারা দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তদন্তে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ফুটপাত সংস্কারের সময় নালার ওপরের অংশ সংস্কার করে অথবা নালাটির সম্মুখ অংশ সুরক্ষিত করলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব ছিল। তাহলে আমরা কি এসব দুর্ঘটনার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করতে পারি না? এভাবে একের পর এক তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে। তারপরও কেন কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় নিয়ে পরিকল্পিত কাজ করছেন না এটাই বিস্ময়ের। সর্বোপরি আমরা এমন একটি সুন্দর চট্টগ্রাম শহর চাই, যেখানে আর কোনো ইয়াসিন, সাদিয়ার প্রাণনাশের সম্ভাবনা না থাকে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আমরা পরিকল্পিত নগরায়ণ আশা করছি, কোনো ইয়াসিনের লাশ নয়।

মো. রাকিব, ইংরেজি বিভাগ

সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মহাকাশে আটকা পড়েছেন বোয়িং স্টারলাইনারের আরোহীরা

মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না : সেতুমন্ত্রী

আন্দোলন চলাকালে এক নেতা নুরকে চার লাখ টাকা দেন : ডিবিপ্রধান

রাতারাতি বেড়ে গেল কাঁচামরিচের দাম

হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে : পলক

কারফিউতে অবসর সময় কীভাবে কাটাবেন

বাংলাদেশি সেলিমের মৃত্যুদণ্ড মালদ্বীপের হাইকোর্টে বহাল

শিক্ষার্থীদের কোনো হয়রানি করা হবে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাশিয়ার পরে নরেন্দ্র মোদি এবার ইউক্রেন সফরে

লালাখাল ধ্বংস করে অবাধে চলে বালু উত্তোলন

১০

ইউক্রেনের সমরাস্ত্রের গোপন ডিপোতে রুশ হানা

১১

পাক হানাদার বাহিনীর দোসররাই এ হামলা চালিয়েছে : মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী

১২

কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১৩

ভিপিএন ব্যবহারে যেসব ক্ষতি হতে পারে

১৪

শাফিন আহমেদের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১৫

অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়া বলে পরিচয় করায় ‘ফুঁসছে’ দক্ষিণ কোরিয়া

১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে জ্বালানি তেলের সংকট

১৭

একদফা আন্দোলনের আহ্বান ছাত্রদলের

১৮

ডেমরার ডিএনডি খালে পড়ে থাকে কুকুর-বিড়ালের মৃতদেহ

১৯

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আপত্তি নেই যুক্তরাজ্যের

২০
X