আমীর খসরু
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বিপ্লব কেন বারবার ব্যর্থ হয়

বিপ্লব কেন বারবার ব্যর্থ হয়

এ ক্ষেত্রে সঠিক সংস্কার কমিশনগুলো নিয়ে আরও কিছু কথা বলা প্রয়োজন। সংস্কার কমিশনগুলো নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতভেদ, দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি এমনভাবে জটিল করা হয়েছে যে, এ দিয়ে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আদৌ যাবে কি না, সে নিয়েও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে একটি উদাহরণ দেওয়া প্রয়োজনীয় বলে মনে করি। ২০০১ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণ করল, তখন খুব দ্রুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে (১৯৯৬-২০০১) সংঘটিত ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতিসংক্রান্ত তিন খণ্ডের যে শ্বেতপত্র (প্রতিটি ৫০০ থেকে ৬০০ পাতার) প্রকাশিত হয়েছিল ২০০২ সালের মার্চ ও এপ্রিলে, তা পরবর্তীকালে ‘উল্টো কাজে’ ব্যবহৃত হয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ছিল এ বিষয়টি এবং ওই দপ্তরের নামেই তা প্রকাশিত হয়।

কাজেই আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং পরবর্তীকালে তা মানতে বাধ্য করার আইনি সুব্যবস্থা ছাড়া এ ‘সংস্কার কমিশনের’ প্রতিবেদনগুলোও যে বিফলে যাবে না, তার গ্যারান্টি কোথায়?

একপর্যায়ে সংস্কার কমিশন, জুলাই ঘোষণা ও সনদ নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরা এতটাই অনির্ভরযোগ্য এবং জুলাই-২৪বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লেন, যেন তারা ‘আত্মসত্তা’ বিসর্জন দিয়েছেন। জুলাই-২৪-এর আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্থাৎ, সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন, কিংবা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মানুষ যারা ফ্যাসিবাদ থেকে, বহিঃশত্রুর হাত থেকে মুক্তি কামনা করেছেন; তাদের সঙ্গে ‘জুলাই সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারীদের’ চরম বিচ্ছিন্নতা দেখা যায়। এ বিকেন্দ্রায়িত নেতৃত্বও কখনো ‘নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি’। বাস্তবে যা উচিত ছিল তা হলো— নেতৃত্বদানকারীদের ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই বিপ্লবের অংশগ্রহণকারী, সমর্থনকারী এবং ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে কর্মসূচি নেওয়া। এর কোনো উদ্যোগ বা তাগিদ তারা অনুভব করেননি। এভাবে আন্দোলন-সংগ্রামবিরোধী মতলববাজদের মতো, অংশীজনদের সঙ্গে তারাও এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। তারা কোনোদিন জানতেও চায়নি মানুষ কী চায়? কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে জানতেও চায়নি তাদের পক্ষ থেকে ‘কেমন বাংলাদেশ তারা চান?’ ‘কেমন সমাজ তারা চান?’ কোন পন্থায় ও পদ্ধতি ‘নতুন স্বপ্নের বাংলাদেশ’ তারা প্রতিষ্ঠিত করতে ইচ্ছুক? নির্বাচন, সংস্কার না আমূল পরিবর্তনের বিপ্লবী পরিকল্পনা তারা চান? নির্বাচন বা সংস্কার হলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? এমন নানা সম্ভাবনা অর্থাৎ, যার মাধ্যমে ‘জুলাই-২৪’-এর মৌল চেতনাকে অটুট রাখা যায়, তা বিসর্জন দিলেন অথবা তাদের মাথায় এগুলো ছিলই না। ‘জুলাই বিপ্লবের অনুঘটক’রা উল্টো নানা দলে বিভক্ত হয়ে পড়লেন। যেমনটা হয়েছিল ১৯৭১-পরবর্তী সময়কালে।

বরং, তারা অর্থাৎ জুলাই-২৪ রক্তাক্ত সংগ্রাম, আন্দোলনের মূল অংশ, সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করে নতুন রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি’-এনসিপি গঠন করে ২০২৫-এর ফেব্রুয়ারিতে। এনসিপির কমিটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘গুরুত্বহীন’ বলে বিবেচনা করা হলো। এ কমিটিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত নেই, শ্রমিক, কৃষক, চাকরিজীবী, খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। এর মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলল। অথচ এ কমিটিতে শহীদদের পরিবারের প্রতিনিধিত্ব, যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পৃক্ততা নেই। রক্তাক্ত সংগ্রাম-আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারীদের অথবা যারা সাহস জুগিয়েছেন সেই মা-বাবা-রক্তের সম্পর্কের নিকটাত্মীয়দের কোনো অংশগ্রহণ নেই। এটা বিচ্ছিন্নতাকে বাড়িয়ে নিজেদের দুর্বল ও চরমভাবে দুর্বল করে আত্মবিনাশী পথ। এনসিপি ২৪ দফার ইশতেহার ঘোষণা করল ২০২৫-এর ৩ আগস্ট (যাতে ২৪টি দফা রয়েছে), যা সুলিখিত এবং নয়া রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার কাঠামোর বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। এনসিপি ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’-এর দাবি জানাল। দলটি নতুন সংবিধানও দাবি করেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। নিজেদের বিচ্ছিন্নতার দৌর্বল্য থেকে মুক্তির পথ বন্ধ হতে থাকল। যার প্রয়োজন ছিল ২০২৪-এর আগস্ট-সেপ্টেম্বর, তা ঘোষিত হলো এক বছর পর। রাজনীতিতে ‘যথাসময়’ ‘লাগসই বক্তব্য বা নির্দেশনা’ ‘জনসম্পৃক্ততা’—এসব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এনসিপির এটাই সংকট। যত শিগগির ‘মাস্টারমাইন্ড’ খোঁজা হচ্ছিল, আসল কাজে তারা ঢের বেশি সময় ব্যয় করেছে অথবা রাজনৈতিক দল এবং নেতৃত্বের কাছে বেশি মাত্রায় প্রত্যাশা করেছে। এটা অবাস্তব ও অলীক কল্পনামাত্র।

এদিকে, ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটি অভিজ্ঞতাবিহীন, অন্তত বাংলাদেশের জটিল-কুটিল রাজনীতি সম্পর্কে যথাযথভাবে অবহিত নয় ও অভিজ্ঞতাহীন, এনজিও এবং তার পূর্ব পরিচিত ব্যক্তিদের নিয়ে। তবে সরকারকে মুখোমুখি হতে হয় এক জটিল পরিস্থিতির। নানা পন্থায় পতিত ফ্যাসিস্টদের উত্থান ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে দাবি-দাওয়া, ঘেরাওসহ নানা অস্থিরতার সৃষ্টি করে। এর সুযোগটি নিয়েছে অলিগার্কি আর ডিপস্টেট। রাজনৈতিক দলগুলোর নানামুখী চাপ ওই গোষ্ঠীর সুযোগ আরও সুগম করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে যে, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সদস্যরা ও সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন বাহিনী, বেসামরিক আমলাতন্ত্রে যে রীতিমতো সজল-সজীব রয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রহরেই কঠিন-কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার ব্যবস্থা। ফ্যাসিস্ট বিদায় বা চলে গেলেও তারা নানাভাবে চেষ্টা করছে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে। আর এ ক্ষেত্রে ‘একটি দেশ’ তো সর্বাত্মক শক্তি, অর্থ ও নানা কৌশলে ওই চেষ্টাটাই করছে। সরকারের যে হোমওয়ার্ক এবং কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল নেওয়া প্রয়োজন, তা নেই। ওই শক্তি একেক রূপে আবির্ভূত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।

এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃত্বের দক্ষতা-প্রজ্ঞা এবং বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া প্রয়োজন, তা অনুপস্থিত। সরকারকে সহযোগিতার বদলে তারা ‘নির্বাচন নিয়ে’ নানা চাপ এবং উত্তাপ ছড়াতে থাকে। কথিত সুশীল-বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ইতিবাচক হওয়ার বদলে সম্পূর্ণ নেতিবাচক। মানুষ এখন আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। এ কারণেই শুরু হয়েছে ‘মব জাস্টিস’ বা ‘উচ্ছৃঙ্খল গণবিচার’। মানুষ যখন নিরাশ হয় তখন অপরাধীরা, ফ্যাসিস্ট দোসররা ঘুরে বেড়ায়—সেই মানুষ বিচার হাতে তুলে নেয় এবং কথিত অপরাধীকে শক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে। এসবের ক্ষেত্রে গুজব, ভুয়া তথ্য ছড়ান এবং পতিত সরকারের ছদ্মবেশী দালাল চক্র জড়িত থাকে এবং আছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, মানবাধিকার সংগঠন ‘আইন সালিশ কেন্দ্র (আসক)’-এর হিসাবে ২০২৫-এর জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ১১১ জন মানুষ ‘মব জাস্টিস’ বা মব সহিংসতায় নিহত হয়েছে (আইন সালিশ কেন্দ্র প্রতিবেদন—১১ আগস্ট, ২০২৫-এ প্রকাশিত)। আইন সালিশ কেন্দ্র প্রতিবেদনে বলছে, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ এর জন্য দায়ী। এই মব জাস্টিস হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায়, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারসহ তাদের বিদেশি মুরুব্বি এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের সৃষ্ট সংকটের কারণে; এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল হিসেবে ‘এখনই চাই’ এমন কূটকৌশলে এবং ওই শক্তির ইন্ধনে ২০২৫-এর মে মাস থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকার রাস্তাঘাটে ৫৪ বার অবরোধ করা হয়, যার মধ্যে অন্তত ৩৬ বার সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৩টি ছাত্ররা, বাকি ১৬টি নানা দাবিতে। বিভিন্ন চাকরিজীবী সংস্থার অর্থাৎ, পেশাজীবীদের দ্বারা এবং বাকি ৭টি অন্যান্য কারণে ঘটানো হয়। বাকি ১৬টি অবরোধ চেষ্টার পেছনে কোনো দাবি বা সুস্পষ্ট কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলেও, কারণ ও কারা এগুলো করেছে; তা স্পষ্ট।

সরকার অ্যাডহকইজম অর্থাৎ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের পথ বেছে নিয়েছে। অন্যদিকে বড় রাজনৈতিক দলটির কর্মী, নেতাদের ওপরে কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না। তা ছাড়া ‘আমি ও আমার’ মানসিকতা গ্রাস করেছে পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে। এখানে জনঐক্যের মনস্তাত্ত্বিক ধারণার অনুপস্থিতির বিপরীতে এক দল আরেক দলকে ঘায়েল করার জন্য ‘দেশে দক্ষিণপন্থিদের উত্থান হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করে, প্রকারান্তরে পার্শ্ববর্তী দেশটি যারা জোরালো প্রমাণ করতে চায়—সেই বয়ান হাজির করা হয়েছে। পতিত ফ্যাসিস্ট রেজিমের টিকে থাকার অন্যতম প্রধান বয়ানটি ছিল এটাই। পশ্চিমা দেশগুলোও একটি বড় দলের সর্বোচ্চ একজন নেতার এমন বয়ানে ভীত হয়ে পড়ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ‘রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থিদের উত্থানে আমি উদ্বিগ্ন’ বলে এক ‘আত্মঘাতী’ বয়ান হাজির করেছেন। এতে দেশের কতটা লাভ-ক্ষতি হলো, এ বিষয়টি হয়তো তার মনস্তাত্ত্বিক ভাবনার মধ্যে ছিল না। অথচ ফ্যাসিবাদের আমলে কথিত দক্ষিণপন্থা ও জঙ্গিবাদের নামে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়। এক হিসাবে দেখা গেছে, ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে অন্তত ১ হাজার ৯২৬ জন মানুষকে ‘বিচারবহির্ভূত’ বা ‘এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং’-এর নামে হত্যা করা হয়। পুলিশের বিশেষ শাখার এক হিসাবে ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত অর্থাৎ, ৭ বছরে ১ হাজার ২৯৩ জনকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যা করা হয়। আইন সালিশ কেন্দ্র বলছে, এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। [প্রথম আলো (ইংরেজি অনলাইন), ৩ নভেম্বর, ২০২৪] (চলবে)

লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যস্ততার মাঝেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ৩ সহজ কৌশল

এর আগেও খুলে গিয়েছিল মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড

১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্মেলনে বিজয়ী ব্র্যাকইউ, ইউল্যাব ও এসএমইউসিটি

জাতীয় পার্টি মানেই আওয়ামী লীগ : আখতার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে নিহত পথচারীর পরিচয় মিলল

সুন্দরবনের রাঙ্গা বাহিনীর প্রধান আটক

এক সেতুর অভাবে দুর্ভোগে তিন উপজেলার মানুষ

যাত্রীদের উদ্দেশে মেট্রোরেলের বার্তা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে পে-কমিশনে ইউট্যাবের স্মারকলিপি

ক্যানসার আক্রান্ত জুলাই যোদ্ধা, চাইলেন দোয়া

১০

ট্রাম্পের এশিয়া সফর শুরু

১১

জামায়াতের এমপি প্রার্থীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১২

কফির সঙ্গে যা মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমবে

১৩

হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ১০

১৪

রাজধানীতে ট্রেনে মিলল বিপুল অস্ত্র-গুলি

১৫

নারীদের জন্য জরুরি আয়রন সমৃদ্ধ ৫ খাবার

১৬

১০ জন নিয়েই বিশ্বকাপের রানার্সআপদের হারিয়ে দিল ব্রাজিল

১৭

ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পথচারী নিহত

১৮

ডিজিকে নিয়ে মনগড়া তথ্য, ব্যাখ্যা দিল বিজিবি

১৯

৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে আর ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না : ড্যানী

২০
X