নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ২০২২ পঞ্জিকা বছরে দলটির আয় হয়েছে ১০ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬৮ টাকা। একই সময়ে ব্যয় হয়েছে ৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৯ টাকা। গতকাল নির্বাচন কমিশনে দলের পক্ষ থেকে আয়-ব্যয়ের এই হিসাব জমা দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের কাছে জমা দেয়। প্রতিনিধিদলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
আশিকুর রহমান জানান, দলটির আয়ের খাত ছিল মনোনয়ন ফরম বিক্রি, প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ফরম বিক্রি, দলের জাতীয় কমিটির সদস্যদের চাঁদা, সংসদ সদস্যদের চাঁদা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদান। ব্যয়ের প্রধান খাতগুলো হলো—কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালন ব্যয়, অফিস ভাড়া, প্রচার ও প্রকাশনা বাবদ ব্যয়। আয়-ব্যয় শেষে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের উদ্বৃত্ত ছিল ২ কোটি ৮৪ লাখ ৫১ হাজার ১৮৯ টাকা। এ ছাড়া বছর শেষে ব্যাংকে স্থিতি ছিল ৭৩ কোটি ২৮ লাখ ২১ হাজার ৩৫৫ টাকা।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, করোনাকালীন সভা-সমাবেশ কম থাকায় খরচও কম ছিল। বর্তমানে সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় দলের ব্যয় আগের চেয়ে বেড়েছে।
এর আগে ২০২১ পঞ্জিকা বছরে আওয়ামী লীগের আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা। এ হিসাবে এবার দলটির আয় কমলেও ব্যয় বেড়েছে। তবে তহবিল বেড়েছে। গত বছর আয়-ব্যয়ের পর দলটির তহবিল ছিল ৭০ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার ১৬৬ টাকা।
নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
মন্তব্য করুন