রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানার জামিন শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আমরা যখন বিচার করি, তখন আমাদের ভাবতে হয় যে, ওই ঘটনায় মারা যাওয়া প্রায় ১ হাজার ১০০ লাশ আমাদের সামনে। তাদের আত্মীয়স্বজনরাও ন্যায়বিচার চান। তাই, এখনই সোহেল রানাকে জামিন দিচ্ছি না। গতকাল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ শুনানি হয়।
শুনানির শুরুতে রানার আইনজীবী কামরুল ইসলাম জামিন চেয়ে বলেন, ১০ বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। এখন তাকে জামিন দিন। এর জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, আরও ছয় মাস থাকুক। এরপর দেখা যাবে। এরপর আপিল বিভাগ সোহেল রানার জামিন বিষয়ে শুনানি ছয় মাসের জন্য মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের প্রায় সবাই পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনের মালিক সোহেল রানা। সেই মামলায় কারাগারে আছেন তিনি। গত ৬ এপ্রিল এ মামলায় তাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। পরে তার জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ফলে রানার মুক্তিও স্থগিত হয়ে যায়। এরপর গত ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ফের তার জামিনের বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
মন্তব্য করুন