শিতাংশু ভৌমিক অংকুর
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১১ এএম
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

উচ্চমূল্যে আটকা মাছ-মাংস

গরমে বিক্রি কমেছে রাজধানীর বাজারে
উচ্চমূল্যে আটকা মাছ-মাংস

ঈদের পর প্রায় দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রাজধানীতে নিত্যপণ্যের দামে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজের মতো পণ্যের সঙ্গে মাছ-মাংসের দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি কমে গেছে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন ঘুরে বাজারে ক্রেতাও কম দেখা গেছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর রায়সাহেব বাজার, নয়াবাজার, হাতিরপুল, নিউমার্কেট এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে দিনের বেলা বাজারে ক্রেতারা আসছেন না বললেই চলে। অল্প কিছু ক্রেতা এলেও তারা মাছ-মাংসের চেয়ে সবজি কিনছেন বেশি। গরমে গরুর মাংসের চাহিদা কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। নয়াবাজারের মাংস বিক্রেতা জয়নাল বলেন, রোজার মধ্যেও প্রতিদিন একটি গরু বিক্রি করেছি। ঈদের পরে বাজারে ক্রেতা তেমন নেই। ক্রেতারা অতিরিক্ত গরমের কারণে এক-দুই কেজির বেশি মাংস নিচ্ছেন না। এখন একটি গরু জবাই দিয়ে দুই দোকানে ভাগাভাগি করে বিক্রি করছি। ক্রেতা না থাকলেও দাম কমেনি। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমেছে। আড়াইশ থেকে কমে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। সোনালি মুরগি আগের মতোই ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাদামি রঙের ডিম ১২০ টাকা ডজন; সাদা ডিম তার থেকে ১০ টাকা কম।

নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে ক্রেতা রাব্বি রহমান বলেন, মাছ-মাংসের দাম আগের মতোই আছে, এতেই স্বস্তি। রোজার মধ্যে প্রতিদিনই দাম ওঠানামা করছিল। কিন্তু ঈদের পরে এখনো মাছ-মাংসের দাম আগের চেয়ে বাড়েনি। তাই আমাদের মতো অনেকে এখনো মাছ-মাংস কিনতে পারছেন।

বাজারে মাছের দামে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি পাঙাশ আগের মতোই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩০০, কাতলা ৩৮০ থেকে ৪০০, সিলভার কার্প ২৬০ থেকে ৩০০, তেলাপিয়া ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। নয়াবাজারের মাছ বিক্রেতা গোবিন্দ মালো বলেন, ঈদের পর থেকেই বাজারে ক্রেতার ভিড় কম, গরমের কারণে আরও কমেছে। তাই বিক্রিও তেমন নেই। দাম কমেনি।

এদিকে সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গার মতো অধিকাংশ সবজি কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল ও ঝিঙের দাম পড়ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। বাজারে অবশ্য আলুর দাম চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি কমবেশি ৬০ টাকায়। কিছুটা বাড়তির দিকে আদা ও রসুনের দাম। মানভেদে মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। নতুন দামের সয়াবিন বাজারে এসেছে, যদিও সরবরাহ এখনো কম। এখন বোতলজাত ১ লিটার তেলের দাম ১৬৭ টাকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজকের নামাজের সময়সূচি

বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ 

উপজেলা চেয়ারম্যানকে হারালেন ভাইস চেয়ারম্যান

হোসেলুর জোড়া গোলে ফাইনালে মাদ্রিদ

ময়মনসিংহের ৩ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত যারা

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা

বিপুল ভোটে বিজয়ী হলেন সেই প্রতিবন্ধী সুইটি

১০

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

১১

পরিবেশ দূষণ / টায়ার গলিয়ে তেল উৎপাদন

১২

ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকা

১৩

ছায়ানট মিলনায়তনে রবীন্দ্রসন্ধ্যা

১৪

‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যবসায় মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’

১৫

নানা আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড সেন্ট দিবস’ পালিত

১৬

ফের বন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন ছালিমা হোসেন

১৭

ভাত রান্না করতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

১৮

বিয়ের দাবিতে জুয়েলের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন

১৯

অস্ট্রেলিয়ায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃসংবাদ

২০
X