চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবীর পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা মার্চ-এপ্রিল দুমাস পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও টাকার বিনিময়ে নদীতে জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ দিয়ে আসছেন নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন। চাঁদার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে সোর্সদের (টাকা তোলার নিজস্ব লোক) চাঁদার টাকার ভাগ না দিয়ে তাকে তর্কে জড়াতে দেখা গেছে।
৩ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, নিজ কার্যালয়ের চেয়ারে বসে সোর্সদের সঙ্গে দেনদরবার করছেন জাহাঙ্গীর হোসেন। টাকার ভাগ নিয়ে তাদের সঙ্গে চলছে তর্কাতর্কি। তর্কের একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর তার সোর্সদের বলেন, ‘এখানে তো কোটি কোটি টাকা না। মাত্র ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা।’ একজন বলেন, ‘দুই মাসের চাঁদার টাকা যদি এক মাসেই নিয়ে নেন, তাহলে কেমনে কী।’ উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা না। সুলতান মেম্বারের সেখানে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। ওই টাকাটা আমাকে দেয় নাই। হয়তো দেবে।’
সামনে থাকা সোর্সদের একজন তখন বলেন, ‘টাকা তো শিউর না, শিউর করে দিলে হতো।’ উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সোর্সদের টাকা আমি দিতে পারব না, দেবও না।’ তখন সোর্স বলেন, ‘দুই মাসের প্যাকেজে নৌকাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা যারা অগ্রিম দিয়েছে, তাদের কি ফের ধরতে পারব? এখন যদি পুরোটাই আপনি নিয়া যান, আমরা কী করে ধরব।’
উত্তরে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আচ্ছা শোনেন, আপনারা সব টাকা নিয়ে নেন। আর আমি যে কয় টাকা নিছি, সব প্রয়োজনে সমান ভাগ করে নেন। বাকি এক মাসের যে টাকা আছে, তা আপনারা নিয়ে নেন। আমার কোনো কনটাক্ট নাই। আপনারা যা পাবেন নিয়ে নেন।... আমি ওই ৪৫ হাজার টাকা আমার থেকে দিয়ে দেব, ঠিক আছে? আর আপনারা যেভাবে পারেন টাকা আদায় করে নিয়ে নেন। এই বিষয়ে আমার কোনো কনটাক্ট নাই।’
ভিডিওতে সোর্সদের সঙ্গে টাকার ভাগ নিয়ে কথোপকথনের বিষয়ে নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি এ নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।