চুলের স্বাস্থ্যকর খাবার একটাই—নারকেল তেল। নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করতেই হয় চুলে। তা না হলে গোড়ায় পুষ্টি মিলবে না। চুলও দিন দিন হয়ে উঠবে রুক্ষ ও শুষ্ক। তবে চুলে তেল দেওয়ারও আছে কিছু তরিকা।
# প্রথমেই খেয়াল করুন চুল পরিষ্কার কি না। ময়লা চুলে তেল দেবেন না। আগে চুল পরিষ্কার করুন। তারপর নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন। চুলে ময়লা থাকলে তেলের কারণে সেটা আরও শক্ত হয়ে গোড়ায় বসবে।
# যাদের চুল খুব তৈলাক্ত, তারা ঘন ঘন তেল দেবেন না। কারণ এ ধরনের চুলে বেশি তেল লাগালে চুলের গোড়া আটকে যায়। এর কারণে মাথার ত্বকে ব্রণ বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
# তৈলাক্ত চুলের আঠাল ভাব দূর করতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
# চুলে একদম চুপচুপে তেল দেবেন না। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই। বেশি তেল মানেই যে চুল বেশি ভালো থাকবে—এমনটা ঠিক নয়। বরং বাড়তি তেল দূর করতে বাড়তি শ্যাম্পু ও পানির প্রয়োজন হয়, যা চুলের জন্য ক্ষতিকর।
# রাতে ঘুমানোর আগে অনেকেই তেল দেওয়ার কথা বলেন। এমন পরামর্শে কান দেবেন না। গোসলের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে তেল মাখুন চুলে। এরপর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে তেল ধুয়ে ফেলুন। চুলে দিনভর তেল রেখে দিতে হয় না।
# ভেজা চুলে তেল লাগাবেন না। এতে তেল তার জায়গামতো পৌঁছাবে না। কাজের কাজও হবে না। সবসময় চুল শুকিয়ে তারপর তেল দিন।
মন্তব্য করুন