মাহমুদ হাসান টিপু, ঝিনাইদহ
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩১ এএম
আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ট্র্যাকিং করে জানা যায় ডকুমেন্টের গতিবিধি

বাড়বে গ্রহণযোগ্যতা
ট্র্যাকিং করে জানা যায় ডকুমেন্টের গতিবিধি

সেই ১৯৬৮ সাল থেকে সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করি। সেই থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পোস্ট অফিসের সঙ্গে ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তখন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ঢাকাতে সমস্ত সংবাদ পাঠাতাম। সপ্তাহে অন্তত ৬টি খাম বুক পোস্টের মাধ্যমে ১০ পয়সার টিকিট দিয়ে পোস্ট করেছি। সে সময় ঢাকা থেকে সংবাদপত্রগুলোও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠানো হতো। যে কারণে রানারের সঙ্গে ছিল আন্তরিক সম্পর্ক। পরে ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হলে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পোস্ট অফিসের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সেই থেকে পোস্ট অফিসে গুরুত্ব অনেকটা হ্রাস পায়।

ঝিনাইদহের প্রবীণ সাংবাদিক সাপ্তাহিক ঝিনুক পত্রিকার সম্পাদক মো. ইসলাম উদ্দিন কালবেলাকে এসব কথা বলেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ঝিনাইদহে জেলা পোস্ট অফিস, ৫টি উপজেলা পোস্ট অফিস, দুটি সাব পোস্ট অফিস রয়েছে। এ ছাড়া জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৯৫টি শাখা পোস্ট অফিস বা ইডিএ (এক্সট্রা ডিপার্টমেন্টাল এজেন্ট) রয়েছে। যেগুলো চুক্তিভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে পরিচালনা করা হয়। তাদের নির্দিষ্ট একটি ভাতা দেওয়া হয়।

ঝিনাইদহ জেলা প্রধান ডাকঘরের পোস্টম্যান আতিয়ার রহমান বলেন, ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এ পদে চাকরি করছেন। তার চাকরিকালে অনেক চিঠি, ডকুমেন্ট, চাকরির নিয়োগপত্র, আমেরিকার ডিবি লটারির চিঠি প্রাপকের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এর মধ্যে ২০০৫ সালে শহরের আদর্শপাড়া এলাকায় আমেরিকার ডিবি লটারি চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়ে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। চিঠির গ্রহীতা চিঠি পেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন। আনন্দে তিনি কেঁদে ফেলেন। তিনিও সে সময় কেঁদে ফেলেছিলেন। আনন্দের সংবাদের চিঠি পৌঁছে দিতে পেরে একজন ডাক বিভাগের কর্মচারী হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে চাকরির নিয়োগপত্রের চিঠি পৌঁছে দিতে গিয়েও আনন্দের ভাগীদার হয়েছেন। পেয়েছেন বকশিশও।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ আমেনা খাতুন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী আমিনুর রহমান টুকু কালবেলাকে জানান, ডাক বিভাগ ডিজিটাল সার্ভিস চালুসহ বিভিন্ন সার্ভিস চালু করেছে। যদি জনবল ও সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়, তবে আবারও মানুষ কম খরচে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে ডাক বিভাগমুখী হবেন।

এ বিষয়ে কথা হয় ঝিনাইদহ জেলা পোস্টমাস্টার রবিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, পোস্ট অফিসের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কার্যক্রম একটা সময় ভাটা পড়লেও ২০০৮ সালে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ই এম টি এস সিস্টেম চালু হলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাই। পরবর্তী সময়ে বিকাশ সার্ভিস চালু হলে সার্ভিসটির কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। পরে ডাক বিভাগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নগদ চালু হলে সেই হিত গৌরব ফিরে আসে।

এ ছাড়া ডাক বিভাগের সব কার্যক্রম ডিজিটাল সিস্টেমে চালু করা হলে জিইসিও ও রেজিস্ট্রি ডাক ডিজিটালি আপলোড করা হয়। এতে একজন গ্রাহক চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো প্রান্ত থেকে ট্র্যাকিং করে ওই ডকুমেন্ট বা চিঠির গতিবিধি জানতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ব্যবস্থা চলমান থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ডাক বিভাগ তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাবির শোক দিবসে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন

চাকসুতে জয় পেলেন সাদিক কায়েমের ভাই আবু আয়াজ

চাকসুতে ২৬ পদের ২৪টিতেই শিবিরের জয়

চাকসুতে ভিপি ও জিএস পদে শিবির, এজিএস পদে ছাত্রদল জয়ী

স্লোগানে-স্লোগানে ফের উত্তাল চবি

আরও তিন হলে ভিপি-জিএসে ছাত্রশিবির এগিয়ে

চাকসুতে কেন্দ্রীয় সংসদে দুই পদে এগিয়ে ছাত্রশিবির, একপদে ছাত্রদল

চবিতে আরও দুই হলের ফল ঘোষণা

কারচুপি হলে বাংলাদেশ অচল করে দেবে ছাত্রদল: রাকিব

সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি-জিএসে এগিয়ে শিবির

১০

সোহরাওয়ার্দী হলে পুনরায় ভোট গণনার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

১১

আরেক হলের ফল ঘোষণা, তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রদল

১২

হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৩

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন গ্রেটা থুনবার্গ

১৪

চবিতে মুখোমুখি অবস্থানে ছাত্রদল-ছাত্রশিবির

১৫

চাকসুর ফল কারচুপির চেষ্টার অভিযোগে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান

১৬

৩১ দফা বাস্তবায়নে / বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সোহাগের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

১৭

চবিতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

১৮

সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিচার নিয়ে ভলকার তুর্কের আহ্বান

১৯

বিএনপিকে ধন্যবাদ জানাল জামায়াত

২০
X