মুফতি আরিফ খান সাদ
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৪, ০২:৩৩ এএম
আপডেট : ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শান্তি কামনায় মহামিলন...

শান্তি কামনায় মহামিলন...

হজ মহান আল্লাহর একটি বিশেষ বিধান এবং ইসলামের মৌলিক পাঁচ ভিত্তির অন্যতম। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর হজ ফরজ। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই সব মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে।’ (সুরা আল ইমরান; আয়াত: ৯৭)। হজ কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত ও সময়, প্রতিটি স্থান ও অবস্থান আল্লাহর পক্ষ হতে মুমিন বান্দাদের ওপর অশেষ নেয়ামতে ভরপুর। সৌভাগ্যের জোয়ারে অবগাহন ও গ্রহণযোগ্যতার কোলে জায়গা করে নেওয়ার সেরা মৌসুম। নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচাদি ও আসবাবপত্রের অতিরিক্ত সম্পদের অধিকারী এবং হজে যাতায়াতের ব্যয় নির্বাহে সক্ষম, এমন ব্যক্তির ওপর জীবনে একবার হজ ফরজ।

আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ

হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা, সফর, ভ্রমণ করা। ইসলামী পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে বিশেষ কিছু কর্ম সম্পাদন করা। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো ‘আশহুরুল হুরুম’ বা পবিত্র মাসগুলো তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন। হজের নির্ধারিত স্থান হলো মক্কা নগরীর কাবাগৃহ, সাফা-মারওয়া পাহাড়, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ইত্যাদি এবং পবিত্র মদিনায় রাসুল (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা। হজের বিশেষ আমল বা কর্মকাণ্ড হলো ইহরাম, তাওয়াফ ও সাঈ, অকুফে আরাফা, অকুফে মুজদালিফা, অকুফে মিনা, দম ও কোরবানি, হলক ও কসর এবং জিয়ারতে মদিনা-রওজাতুন রাসুল (সা.) ইত্যাদি। আফাকি তথা দূরবর্তী হাজিদের জন্য মদিনা মুনাওয়ারায় রাসুল (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা আবশ্যক।

হজের ফজিলত ও প্রতিদান

হজ পালনকারীরা মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান। হজ পালনকারী ব্যক্তির উচিত আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ ইশক ও মহব্বত নিয়ে হজের প্রতিটি বিধান যথাযথ পালন করা। সব ধরনের পাপ পঙ্কিলতামুক্ত থাকা অবশ্য কর্তব্য। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকে সে ওইদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসে; যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে সে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।’ (বোখারি: ১৫২১)।

হজের প্রকারভেদ

হজ তিন প্রকার—ইফরাদ, কিরান ও তামাত্তু। শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করলে একে ‘ইফরাদ হজ’ বা একক হজ বলা হয়। হজ ও ওমরাহর জন্য একত্রে ইহরামের নিয়ত করে একই ইহরামে তা সম্পন্ন করলে তাকে ‘কিরান হজ’ বা যৌথ হজ বলা হয়। একই সফরে প্রথমে ওমরাহর ইহরামের নিয়ত করে, তা সম্পন্নপূর্বক হজের জন্য নতুন করে ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পাদন করাকে ‘তামাত্তু হজ’ বা সুবিধাজনক হজ বলা হয়।

হজের ফরজ ও ওয়াজিব

হজের ফরজ তিনটি—১. ইহরামের নিয়ত বা ইচ্ছা করা। ২. অকুফে আরাফা করা; ৯ জিলহজ জোহর থেকে ১০ জিলহজ ফজরের পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। ৩. তাওয়াফে জিয়ারত করা; ১০ জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে কোনো সময় কাবাঘর তাওয়াফ বা সাতবার প্রদক্ষিণ করা।

হজের ওয়াজিব সাতটি—১. আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফা নামক স্থানে ১০ জিলহজ ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় অবস্থান করা। ২. সাফা ও মারওয়া সাঈ করা বা দৌড়ানো। ৩. ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ জামরায় শয়তানকে পাথর মারা। ৪. তামাত্তু ও কিরান হজে কোরবানি করা। ৫. মাথার চুল কামিয়ে বা কেটে ইহরাম খোলা। ৬. বিদায়ী তাওয়াফ করা। ৭. মদিনা শরিফে রওজাতুন নবী (সা.) জিয়ারত করা।

হজের উদ্দেশ্যে যখন যাত্রা করবেন

পবিত্র হজে যাত্রার আগেই নিয়ত শুদ্ধ করতে হবে। লোক দেখানো কিংবা ‘হাজি’ ডাক শুনতে নয়; শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে হজে যাচ্ছেন—দৃঢ়তার সঙ্গে এ নিয়ত করতে হবে। কারণ, আমল কবুল হওয়ার প্রথম শর্ত খাঁটি অন্তরে নিয়ত করা। হাদিসে এসেছে—‘নিশ্চয়ই নিয়তের ওপর আমল নির্ভরশীল।’ (বোখারি: হাদিস ১)। তারপর হজের আহকাম ও বিধানাবলি সম্পর্কে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। হজ-সফরে কোথায় কখন কী আমল করতে হবে, কোন আমল করা ফরজ, কোন আমল ওয়াজিব, কোন আমল সুন্নত ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। একই সঙ্গে হজের তালিবায়াসহ গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলো মুখস্থ করে নিন। যদিও হজ সফরে এজেন্সির পক্ষ থেকে মুয়াল্লিম বা হজ গাইড থাকার কথা। কিন্তু আপনি যদি নিজেরটা নিজেই করতে পারেন, তাহলে আরেকজনের অপেক্ষায় বসে থাকবেন কেন! তা ছাড়া এমনও হতে পারে, উপস্থিত সময় আপনি মুয়াল্লিমকে খুঁজে পাচ্ছেন না, তখন যেন ঝামেলায় না পড়তে হয় কিংবা আপনার হজের কাজ অসম্পূর্ণ না থাকে, তাই আপনার আশপাশে কোথায় হজ প্রশিক্ষণ চলছে, সেখানে যোগাযোগ করে আজই হজের মাসায়ালাগুলো ভালোভাবে জেনে নিন। আপনার পরিচিত আলেম কিংবা ইতোপূর্বে হজ করেছেন—এমন কারও থেকেও এসব জানতে পারেন। সম্ভব হলে হজ-সংক্রান্ত বই পড়েও জানতে পারেন। হজযাত্রার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মালপত্র সঙ্গে নিন।

ইহরামের প্রস্তুতি

হজ বা ওমরায় গমণকারীর কর্তব্য হলো সৌদি আরবের কোথায় অবতরণ করবেন তা ভালোভাবে জেনে নেওয়া। মদিনায় হলে বাংলাদেশ থেকেই ইহরাম বাঁধা নয়; যখন মদিনা থেকে মক্কায় যাবেন, তখন ইহরাম বাঁধতে হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ হজযাত্রী শুরুতে মক্কায় যান। আপনার গন্তব্য সরাসরি মক্কায় হলে ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার আগে ইহরাম বাঁধা ভালো। কারণ জেদ্দা পৌঁছানোর আগেই ‘ইয়ালামলাম’ মিকাত বা ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান। বিমানে যদিও ইহরাম বাঁধার কথা বলা হয়; কিন্তু ওই সময় অনেকে ঘুমিয়ে থাকেন। তা ছাড়া বিমানে পোশাক পরিবর্তন করাটাও দৃষ্টিকটু। তাই বিমানে ওঠার আগেই ইহরাম বেঁধে নেওয়া ভালো। ইহরাম না বেঁধেই মিকাত পার হলে এজন্য দম (আলাদা কোরবানি) দিতে হবে এবং গুনাহ হবে।

ওমরাহর ফরজ ও ওয়াজিব

ওমরা হলো মিকাত অতিক্রমেরই আগেই ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করা। ওমরাহর ফরজ দুটি—১. ইহরাম বাঁধা। ২. তাওয়াফ করা। ওমরাহর ওয়াজিবও দুটি। যথা—১. সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানে সাতবার সাঈ করা। ২. মাথার চুল মুণ্ডন করা।

হজের প্রকার নির্ধারণ

আপনি কোন প্রকারের হজ পালন করছেন, সেটা নির্ধারণ করা জরুরি। তামাত্তু হলে নিয়ম হচ্ছে, মিকাত অতিক্রমের আগে শুধু ওমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওমরাহর আমল সম্পন্ন করে চুল কেটে বা মুণ্ডন করে ইহরামমুক্ত হওয়া। অতঃপর একই সফরে হজের আগমুহূর্তে হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে হজকার্য সম্পন্ন করা। তামাত্তু হজ পালনকারীর জন্য দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা ওয়াজিব। ইফরাদ হলে নিয়ম হচ্ছে, মিকাত অতিক্রমের আগে শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে সেই ইহরামে হজ সম্পন্ন করা। ইফরাদ হজ পালনকারীর জন্য হজের কোরবানি করা মুস্তাহাব। কিরান হলে নিয়ম হচ্ছে, মিকাত অতিক্রমের আগে একই সঙ্গে ওমরাহ ও হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ওই একই ইহরামে ওমরাহ ও হজ করা। কিরান হজ পালনকারী মাঝখানে ওমরাহর পর ইহরাম খুলতে পারবেন না। কিরান হজ পালনকারীর জন্যও হজের কোরবানি করা ওয়াজিব। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হাজিরা সাধারণত তামাত্তু হজ পালন করে থাকেন।

তামাত্তু হজের ১৪ আমল

১. প্রথমে ওমরাহর ইহরাম বাঁধা। ২. মক্কায় গিয়েই ওমরাহর তাওয়াফ করা। ৩. ওমরাহর তাওয়াফের পরই এর সাঈ করা। ৪. সাঈর পর মাথা মুণ্ডন করা বা চুল ছাঁটা। ৫. জিলহজের ৭ বা ৮ তারিখ হজের জন্য ইহরাম বাঁধা। ৬. জিলহজের ৯ তারিখ আরাফাতে অবস্থান করা। ৭. ১০ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাওয়াফে জিয়ারত করা। ৮. জিলহজের ১০ তারিখ বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারা। ৯. কোরবানি করা (পাথর মেরে মাথা মুণ্ডন করার আগে)। ১০. মাথা মুণ্ডন করা। ১১. ফরজ তাওয়াফ বা তাওয়াফে জিয়ারতের সঙ্গে হজের সাঈ করা। ১২. জিলহজের ১১ তারিখ তিন শয়তানকে (প্রথমে ছোট, তারপর মেজো ও শেষে বড়) সাতটি করে মোট ২১টি পাথর মারা। ১৩. পরের দিন ১২ তারিখ অনুরূপ তিন শয়তানকে সাতটি করে মোট ২১টি পাথর মারা। সব মিলিয়ে তিন দিনে ৭+২১+২১=৪৯টি পাথর নিক্ষেপ করা। ১৪. পবিত্র মক্কার বাইরের লোকজন মক্কা থেকে বিদায়ের সময় তাওয়াফ করা।

হজের পাঁচ দিনের ধারাবাহিক কর্মসূচি

৮ জিলহজ: এদিন দুটো কাজ করতে হয়—১. মক্কার হারাম শরিফ বা বাসা বা হোটেল থেকে হজের নিয়তে ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশে রওনা হওয়া এবং জোহরের নামাজের আগেই মিনায় পৌঁছা। ২. মিনায় অবস্থান করা। জোহরের নামাজসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব এবং সেখানে অবস্থান করা সুন্নত।

৯ জিলহজ: ৯ জিলহজকে বলা হয় ‘ইয়াওমে আরাফা’ বা আরাফাহ দিবস। এদিন বিশেষ ফজিলতপূর্ণ এবং এদিনেই অধিকসংখ্যক জাহান্নামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়—১. ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাত ময়দানের উদ্দেশে রওনা হওয়া। রওনার সময় তাকবির বলা—‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’। ২. জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করা। আর এটাই হলো হজের অন্যতম রোকন। ৩. আরাফাত ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং নিজ নিজ তাঁবুতে জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তাওবা-ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা। ৪. সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হওয়া। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।

১০ জিলহজ: হজের প্রধানতম কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়—১. মুজদালিফায় অবস্থান; মুজদালিফায় সারা রাত খোলা আকাশের নিচে মরুভূমির বালুর ওপর অবস্থান করা। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগে কিছু সময় অবস্থান করা এবং সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হওয়া। ২. পাথর সংগ্রহ; মিনায় জামরায় (শয়তানকে মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে কঙ্কর সংগ্রহ করা। ৩. কঙ্কর নিক্ষেপ; ১০ জিলহজ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসেই বড় জামরায় সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করা। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করা। ৪. কোরবানি করা; বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করা। ৫. মাথা মুণ্ডন করা; কোরবানির পর পরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হবে হাজি। মাথা মুণ্ডনের মাধ্যমে হাজি ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারলেও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১ ও ১২ জিলহজ: এ দুদিন মিলে মোট তিনটি কাজ করতে হয়—১. তাওয়াফে জিয়ারত; হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগপর্যন্ত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে। ২. কঙ্কর নিক্ষেপ; ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করা। তবে যদি কেউ কঙ্কর নিক্ষেপের আগে কিংবা পরে কাবা শরিফ গিয়ে তাওয়াফে জিয়ারত আদায় করে, তবে তাকে তাওয়াফের পর আবার মদিনায় চলে আসতে হবে এবং মিনায় অবস্থান করতে হবে। ৩. মিনায় রাত যাপন ও ত্যাগ; ১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনার ময়দানেই রাত যাপন করা এবং যারা মিনা ত্যাগ করবেন তারা ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করবেন। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করা। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে কিংবা থাকার ইচ্ছা করে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে।

বিদায়ী তাওয়াফ: সারা বিশ্ব থেকে আসা সব হজপালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবায় ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যে কোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।

লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবশেষ বিহারে ছিলেন এমপি আনার

‘অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু

তবুও প্রার্থী হলেন সেই নাছিমা মুকাই 

গাজীপুরে কারখানার ১০ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ বিঘার পানের বরজ

বিয়েবাড়ি থেকে কনের পিতাকে তুলে নিয়ে টাকা দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর , এলাকায় উত্তেজনা

ঈশ্বরদীতে ফেনসিডিলসহ রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সিপাহি আটক

১০

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ

১১

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী : টিআইবি

১২

রাইসির জন্য দোয়ার আহ্বান

১৩

‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুদৃঢ় হয়েছে’ 

১৪

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা সিটির কাছেই থাকল

১৫

বাংলাদেশকে লক্কড়ঝক্কড় দেশে পরিণত করেছে আ.লীগ : প্রিন্স

১৬

২০৩০ সালে সাড়ে ৫২ লাখ যাত্রী বহন করবে মেট্রোরেল  

১৭

পেনিনসুলা স্টিলের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৮

ইরানের প্রেসিডেন্টের সন্ধানে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, সাহায্য করতে চায় ইরাক

১৯

সাঈদ খোকনের বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলবেন না মেয়র তাপস

২০
X