দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি। বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানিয়েছে, শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রদর্শনী চলবে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভবে প্রদর্শিত এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিগুলো স্থান পেয়েছে। প্রিন্টেড ও ফ্রেমে বাঁধানো এ সব ছবির বিক্রিত সমুদয় অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দান করা হবে। এতে সারা দেশ থেকে অংশ নেওয়া ২০ জন পেশাদার আলোকচিত্রীদের তোলা ৩২টি ছবি প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনীতে আসাদ রাসেলের তোলা ২টি ছবি স্থান পেয়েছে। আলোকচিত্রী আসাদ রাসেল বলেন, বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। প্রদর্শনীতে ছবি দুটি যে দামে বিক্রি হবে সম পরিমাণ অর্থ বন্যার্তদের সাহায্যার্থে দান করব।
উল্লেখ্য, দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু এবং ৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে পুরুষ ৪৫, নারী সাত এবং শিশু ১৯ জন। কুমিল্লায় ১৯, ফেনীতে ২৮, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, কক্সবাজারে তিন এবং মৌলভীবাজারে একজন মারা গেছেন। মৌলভীবাজারে এখনো নিখোঁজ আছেন একজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যাকবলিত, ৫০৪টি ইউনিয়ন-পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, সিলেট, ব্রাহ্মণবড়িয়া ও কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয়দানের জন্য তিন হাজার ৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে এবং বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দুই লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৬ জন এবং ৩১ হাজার ২০৩টি গবাদি পশু রয়েছে। এ ছাড়াও, ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা প্রদানে বর্তমানে ৪৬৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
মন্তব্য করুন