নজরুল সাহিত্যের গবেষণায় সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত নজরুল পুরস্কার পেলেন অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এ পুরস্কার প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা, নজরুল পুরস্কার ২০২৪ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোবারক হোসেন। ‘নজরুলের চেতনালোক : আমাদের অবলোকন কবির কথন’- শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা প্রবাসে অবস্থান করায় তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন নিকটাত্মীয়া ডা. মোমেনা খাতুন। নজরুল পুরস্কার ২০২৪-এর সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি এবং মহাপরিচালক।
প্রবাস থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জ্ঞাপন করে অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা বলেন, নজরুল আমার সারাজীবনের চর্চা ও সাধনার বিষয়। বাংলা একাডেমির প্রদত্ত নজরুলবিষয়ক পুরস্কারপ্রাপ্তি আমার জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয়। এ পুরস্কার নজরুল গবেষণার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।
অনুষ্ঠানে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী ডালিয়া আহমেদ এবং নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী রওশন আরা সোমা, লীনা তাপসী খান এবং প্রদীপ কুমার নন্দী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, নজরুল আমাদের বাঙালি চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি আমাদের সামনে যে দিগন্ত উন্মোচন করেছেন, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
মোবারক হোসেন বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বহুমাত্রিক প্রতিভা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তার জীবন ও কর্ম আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।
অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায় ও অসাম্যের অবসান চেয়েছিলেন। ধর্মের নামে বা রাজনীতির নামে যত অনাচার সংঘটিত হয়, সেসবের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসাই তার বিদ্রোহী সত্তাকে গঠন করেছিল।
আগামী ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে ) শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধিতে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
মন্তব্য করুন