শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, চামড়া শিল্প খাতে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ট্যানারি এস্টেটে প্রশিক্ষণ ও ডিজাইন সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সরকার সমন্বিতভাবে চামড়া শিল্পের পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন, সনদপ্রাপ্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে।
রোববার (২৫ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের কৌশল নির্ধারণ, এলডিসি পরবর্তী টেকসই রপ্তানি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
ডিসিসিআই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ও এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
আদিলুর রহমান খান বলেন, চামড়া শিল্পের বিদ্যমান নানাবিধ প্রতিকূলতা নিরসনে শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়ক নীতি পরিবেশ প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যার মাধ্যমে এ খাতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ খাতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চামড়া শিল্পের সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি বিস্তৃত ইকোসিস্টেম প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তাসকীন আহমেদ বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে এ খাতের রপ্তানিতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিবেশ সুরক্ষা, মানবসম্পদের দক্ষতার উন্নয়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, নতুন পণ্যের উদ্ভাবন, ভ্যালুচেইন শক্তিশালী করা এবং ব্যাংক ওয়ার্ড লিংকেজ খাতের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি খাতের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সেমিনারে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর চামড়া শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বাজার বৈচিত্র্য, কর এবং শিল্পের আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, চামড়া খাতে সিইটিপির বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাভারে স্থাপিত সিইটিপির ক্যাপাসিটি বর্তমানে ১৪ হাজার কিউবিক মিটার এবং পিকসিজনে (কোরবানির সময়) এ খাতে চাহিদা থাকে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার কিউবিক মিটার, সিইটিপির সক্ষমতা ২০ থেকে ২৫ হাজার কিউবিক মিটারে উন্নীত করতে একটি টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ইটিপি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, আরও ৮ থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ও বে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান।
মন্তব্য করুন