কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সেমিনারে বক্তারা

আমদানিতে শুল্ক ও ট্যারিফ কাঠামোর দক্ষ ব্যবস্থাপনা জরুরি

ডিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা : এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
ডিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা : এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

বর্তমানে বাণিজ্যিক যে অবস্থা তাতে আমদানি পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি শুল্ক ও ট্যারিফ কাঠামোর দক্ষ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। শনিবার (২৪ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা : এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, আমাদের পলিসি লেভেলে যারা সরকারে আছে তারা আসলে কী ভাবছে? ব্যবসায় বর্তমানে যে পরিস্থিতি তা আরও আগেই অ্যালার্মিং হওয়া উচিত ছিল।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, শিল্প খাতের মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানিনির্ভর আমাদের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের উচ্চ মূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পারস্পরিক শুল্কারোপ, রপ্তানির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা, রিজার্ভ স্বল্পতা ও আইনশৃঙ্খলার অস্থিরতার কারণে শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতায় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার পুনর্মূল্যায়নের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আমদানি পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি শুল্ক ও ট্যারিফ কাঠামোর দক্ষ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। সে সঙ্গে বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশ ও অঞ্চলগুলোর সঙ্গে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। এছাড়াও শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন ও অনুমেয় মূল্যে জ্বালানি সরবরাহের তাগিদ দেন তাসকীন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যকার কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। তবে যে গতিতে বর্তমানে সংস্কার করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। সত্যিকার অর্থে শিল্প খাতসহ অন্য সেক্টরে আমাদের কোনো রোডম্যাপ নেই, যা হতাশার।

তিনি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, সব বন্দরগুলো অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড, তাই এগুলোর ব্যবস্থাপনা সচল রেখে নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণ করতেই হবে। এখান থেকে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের হাইভ্যালু তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের ওপর মনোযোগী হতে হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই সাবেক পরিচালক একেডি খায়ের মোহাম্মদ খান, বশির উল্ল্যাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন ইউসুফ প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাসহ সরকারি-বেসরকারি খাতের স্টেকহোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাস্থ্যকর ঘুমের ১২ অভ্যাস

বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিল ইতালি সরকার

পিআরসহ ৫ দফা মেনে নেওয়ার আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের

অবতরণের সময় মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

জানা গেল কবে দেশে ফিরবেন শহিদুল আলম

পচা চাল কিনে বাধ্যতামূলক অবসরে খাদ্য কর্মকর্তা

ভুল সময়ে ওজন মাপলে জানবেন ভুল তথ্য

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি সাইকেলিস্টদের

কোটি টাকার বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ভোট নিয়ে জামায়াত আমিরের হুঁশিয়ারি

১০

ফুটবল খেলা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩০

১১

প্রাথমিকে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবিতে খতমে নবুওয়তের বিক্ষোভ

১২

জুলাই সনদে পিআর পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দিতে হবে : গোলাম পরওয়ার

১৩

স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ গড়তে ৩১ দফার বিকল্প নেই : ড্যানী

১৪

ভারতের ১৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

১৫

অতিরিক্ত মদ্যপানে আরও চারজনের মৃত্যু

১৬

‘গণভোটের মাধ্যমেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে’

১৭

অযোধ্যায় ভয়ংকর বিস্ফোরণ, অভিযান চলছে

১৮

শরীর যথেষ্ট ফাইবার পাচ্ছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

১৯

সঙ্গী আপনাকে নিয়ে আগ্রহী নন বুঝবেন যে ৬ আচরণে

২০
X