হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গোপনে ভিডিও ধারণ, ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিলেন শিক্ষার্থীরা

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স।
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলে লুকিয়ে রুমমেটদের ছবি নেওয়া, ভিডিও করাসহ নানা অভিযোগে এক ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৪ মে) এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষার্থীর অত্যাচারে কোনো রুমমেট থাকতে পারত না। চুরি থেকে শুরু করে নানারকম অত্যাচারও করতেন রুমমেটদের। এর আগেও হল সুপারের কাছে তার নামে বিচার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রুমমেটদের মানিয়ে নিতে বলা হয়।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার সব রুমমেট তাকে সন্দেহ করত যে, সে মোবাইলফোন ব্যবহার ও ভিডিও কলের বাহানায় লুকিয়ে তাদের ছবি/ভিডিও ধারণ করে। সন্দেহের জেরে তার অনুপস্থিতে অভিযুক্তের রুমমেটরা তার ফোন চেক করলে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ের গ্যালারিতে তাদের ছবি পায়। পরবর্তীতে মেয়েরা হল সুপারসহ প্রক্টরকে জানায়। হল প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয় এবং তার ফোন জব্দ করে।

মাহফুজা মিথুন নামের এক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, দীর্ঘদিন থেকে তার সব রুমমেট তাকে সন্দেহ করত যে, ফোনে তাদের ছবি/ভিডিও নেন, ফোন সবসময় অন্যদের দিকেই তাক করা থাকত। কিন্তু বসে ফোন টিপলে তো এতটাও বোঝা যায় না। উনি রুমেই ভিডিও কলে কথা বলতেন, রুমমেটদের দিকে ক্যামেরা তাক করে দেখাতেন যা আমরা সন্দেহ করলেও সেভাবে বিশ্বাস করি নাই।

তিনি আরও লেখেন, কালরাতে সেই সন্দেহ এতটাই বাড়ে যে উনার বর্তমান রুমমেটরা উনি গোসলে গেলে ফোন চেক করেন, আল্লাহর রহমত ছিল যে উনার ফোনে লক ছিল না। হোয়াটসঅ্যাপে দেখে, প্রচুর অ্যাবিউজিং চ্যাটিং তারা খুঁজে পায়, সঙ্গে গ্যালারিতে তাদের ছবি যেগুলো তিনি তাদের অজান্তে তুলেছিলেন। আমরা হল সুপার ও প্রক্টর স্যারকে জানালে, স্যাররা আসেন, ওনাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং ফোন জব্দ করা হয়েছে, যা প্রক্টর স্যারের কাছে গচ্ছিত আছে।

শেখ সায়েরা খাতুন হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব আগেই শেষ হয়েছে, সার্টিফিকেটও তিনি তুলে নিয়েছেন। আমাদের কাছে মিথ্যা বলে হলে অবস্থান করছিল এবং অনবরত মিথ্যা বলে যাচ্ছিল। আমরা তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যাই। শিক্ষার্থীরা যে সকল অভিযোগ করেছে তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অধিক তদন্তের জন্য তার ফোন প্রশাসনের কাছে জব্দ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের

ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

মেসি নন, নতুনদের নিয়েই পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি আর্জেন্টিনা

বিএনপি কোনো দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায় না : কফিল উদ্দিন 

১০

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান হাসপাতালে ভর্তি

১১

পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে : পরওয়ার

১২

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : লায়ন ফারুক

১৩

ভারতের হারে এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

১৪

সাবেক স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

১৫

পর্তুগালসহ যেসব দল আজ নিশ্চিত করতে পারে বিশ্বকাপের টিকিট!

১৬

এক দিনের ব্যবধানে দেশে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল

১৭

সুস্থ থাকতে খেলাধুলার বিকল্প নেই : মেয়র ডা. শাহাদাত

১৮

ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ায় প্রতিবন্ধীর প্রতিবাদ

১৯

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মিরাজদের সামনে বিশাল লক্ষ্য

২০
X