মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট : ২৫ মে ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গোপনে ভিডিও ধারণ, ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিলেন শিক্ষার্থীরা

ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স।
ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শেখ সায়েরা খাতুন ছাত্রী হলে লুকিয়ে রুমমেটদের ছবি নেওয়া, ভিডিও করাসহ নানা অভিযোগে এক ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৪ মে) এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষার্থীর অত্যাচারে কোনো রুমমেট থাকতে পারত না। চুরি থেকে শুরু করে নানারকম অত্যাচারও করতেন রুমমেটদের। এর আগেও হল সুপারের কাছে তার নামে বিচার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে বরং হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রুমমেটদের মানিয়ে নিতে বলা হয়।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার সব রুমমেট তাকে সন্দেহ করত যে, সে মোবাইলফোন ব্যবহার ও ভিডিও কলের বাহানায় লুকিয়ে তাদের ছবি/ভিডিও ধারণ করে। সন্দেহের জেরে তার অনুপস্থিতে অভিযুক্তের রুমমেটরা তার ফোন চেক করলে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ের গ্যালারিতে তাদের ছবি পায়। পরবর্তীতে মেয়েরা হল সুপারসহ প্রক্টরকে জানায়। হল প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয় এবং তার ফোন জব্দ করে।

মাহফুজা মিথুন নামের এক ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, দীর্ঘদিন থেকে তার সব রুমমেট তাকে সন্দেহ করত যে, ফোনে তাদের ছবি/ভিডিও নেন, ফোন সবসময় অন্যদের দিকেই তাক করা থাকত। কিন্তু বসে ফোন টিপলে তো এতটাও বোঝা যায় না। উনি রুমেই ভিডিও কলে কথা বলতেন, রুমমেটদের দিকে ক্যামেরা তাক করে দেখাতেন যা আমরা সন্দেহ করলেও সেভাবে বিশ্বাস করি নাই।

তিনি আরও লেখেন, কালরাতে সেই সন্দেহ এতটাই বাড়ে যে উনার বর্তমান রুমমেটরা উনি গোসলে গেলে ফোন চেক করেন, আল্লাহর রহমত ছিল যে উনার ফোনে লক ছিল না। হোয়াটসঅ্যাপে দেখে, প্রচুর অ্যাবিউজিং চ্যাটিং তারা খুঁজে পায়, সঙ্গে গ্যালারিতে তাদের ছবি যেগুলো তিনি তাদের অজান্তে তুলেছিলেন। আমরা হল সুপার ও প্রক্টর স্যারকে জানালে, স্যাররা আসেন, ওনাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং ফোন জব্দ করা হয়েছে, যা প্রক্টর স্যারের কাছে গচ্ছিত আছে।

শেখ সায়েরা খাতুন হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব আগেই শেষ হয়েছে, সার্টিফিকেটও তিনি তুলে নিয়েছেন। আমাদের কাছে মিথ্যা বলে হলে অবস্থান করছিল এবং অনবরত মিথ্যা বলে যাচ্ছিল। আমরা তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যাই। শিক্ষার্থীরা যে সকল অভিযোগ করেছে তার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অধিক তদন্তের জন্য তার ফোন প্রশাসনের কাছে জব্দ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন

পরিবারকল্যাণ কর্মীদের ১০ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও সদকায়ে জারিয়া

শেবাচিম হাসপাতালে চালু হলো মৃগী রোগীদের ইইজি পরীক্ষা

রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যেসব সুবিধা পান

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহার শুরু করল চসিক

ববি শিক্ষার্থীকে রাতভর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

এনসিপির কমিটি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে, সাংবাদিকদের হেনস্তা-তালাবদ্ধ করার হুমকি

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য আ.লীগ সরকার দায়ী : মুশফিকুর রহমান

আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ছুটি চাইলেন বার্সা ডিফেন্ডার

১০

খালেদা জিয়াকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত ভারত : মোদি

১১

বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার কারণ জানালেন অস্ত্র হাতে থানায় যাওয়া যুবক

১২

প্রাইভেটকারচাপায় প্রাণ গেল সাবেক ইউপি সদস্যের

১৩

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ নরেন্দ্র মোদির

১৪

আরব আমিরাতে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন শুরু, প্রবাসীদের উচ্ছ্বাস

১৫

টিউলিপ সিদ্দিকের রায় নিয়ে যা বলছে লেবার পার্টি

১৬

সিলেট নয় ঢাকাতেই শুরু হবে বিপিএল

১৭

খালেদা জিয়ার জানের সাদকা হিসেবে ছাগল দান বিএনপি নেতা আজাদের

১৮

নগরজুড়ে আতঙ্ক, চট্টগ্রামে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে অপরাধীরা

১৯

রাজশাহীতে জিয়া পরিষদের সভাপতি ড. নেছার উদ্দিন ও সম্পাদক সালাউদ্দিন

২০
X