অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ট্রাভেল এজেন্টদের শীর্ষ সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা। তারা প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে বিক্ষোভ ও প্রশাসক নিয়োগ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন।
রোববার (১০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় আটাব অফিসের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। আটাবের সাধারণ সদস্যরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অন্যায়ভাবে, অবিচার করে ও প্রভাবিত হয়ে এই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগের মহাপরিচালকের এহেন কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ। প্রমাণ ছাড়া এভাবে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ অন্যায়।
এ সময় আটাবে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ বাতিলের দাবি উত্থাপন করেন সদস্যরা।
তারা বলেন, বাংলাদেশে কোনো অ্যাসোসিয়েশনে প্রশাসক নিয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায়নি। বরং এতে সংগঠনের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। প্রশাসক প্রত্যাহার করে নিতে পুনরায় জোরালো দাবি জানান এবং নির্বাচিত কমিটির অধীনেই আটাবের কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট ছাড়াই এয়ার টিকিট ব্লক করে অতিরিক্ত দামে বিক্রির যে অনিয়ম চলছে, তার পেছনে সক্রিয় সিন্ডিকেটের মূলহোতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানান তারা।
সদস্যরা অভিযোগ করেন, টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পাচ্ছেন না অথচ হাতেগোনা কিছু এজেন্সি টিকিট মজুত করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। ৩০ হাজার টাকার টিকিটের মূল্য ৮০ হাজার টাকা হয়েছে এবং সরকার যদি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে টিকিটমূল্য ১ লাখ টাকা অতিক্রম করবে এবং আকাশপথে যাত্রা স্বল্প আয়ের যাত্রী ও দরিদ্র বৈদেশিক শ্রমিকদের নাগালের বাইরে চলে যাবে। টিকিট মজুতকরণ বন্ধ করে আসন সংকট নিরসন করাটাও অতীব জরুরি। এই সিন্ডিকেট বন্ধকরণে জোরালো পদক্ষেপ নিতে সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান। এছাড়া ১১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্রের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করারও দাবি জাননো হয়।
সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) পরিচালনার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় ওটিএগুলো সাধারণ যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সির শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত কার্যকর ওটিএ নীতিমালা প্রণয়ন করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান তারা। এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর ও টিকিট সিন্ডিকেটের সঙ্গে অন্যতম মাস্টারমাইন্ড জুম্মন চৌধুরী ও সবুজ মুন্সীকে গ্রেপ্তার ও লাইসেন্স বাতিলের জোরালো দাবি জানান সদস্যরা।
প্রধান সমন্বয়ক শাহ আলম কবির, শরীফুল আলম দিপু, আটাব সাধারণ সদস্যরা কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং তাদের বক্তব্য ও দাবি পেশ করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- একেএম বারী, মইনুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, ইমাম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সুমন, জহিরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম রুমি, টিটু, জনি ও আটাবের সাধারণ সদস্যরা।
মন্তব্য করুন