দীর্ঘদিন অনাদায়ী ঋণ এখন থেকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবলোপনের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ী ঋণ ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটে প্রদর্শনের ফলে আর্থিক অবস্থার চিত্র অপ্রয়োজনীয়ভাবে স্ফীত হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুযায়ী এসব মন্দ ও ক্ষতিজনক শ্রেণির ঋণ নির্দিষ্ট নিয়মে অবলোপন করা হয়, যাতে ব্যাংকের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। তবে অবলোপন মানে ঋণ মওকুফ নয়, ঋণগ্রহীতা সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাকে খেলাপি হিসেবেই গণ্য করা হবে।
সংশোধিত নির্দেশনায় বলা হয়, ভবিষ্যতে আদায়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ এমন মন্দ ও ক্ষতিজনক শ্রেণির ঋণ অবলোপন করা যাবে। তবে যেসব ঋণ দীর্ঘদিন ধরে অদায়ী অবস্থায় রয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবলোপনের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি কোনো ঋণ অবলোপনের কমপক্ষে ৩০ কর্মদিবস আগে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতাকে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে সরাসরি যুক্ত কর্মকর্তাদের নগদ প্রণোদনা দেওয়ার সুযোগ থাকবে। যদি কোনো ব্যাংকে এই বিষয়ে নীতিমালা না থাকে, তবে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে তা প্রণয়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন আরও বাস্তবসম্মত হবে এবং অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের কার্যক্রম আরও জোরদার হবে।
মন্তব্য করুন