ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডি মেশিন ইনস্টল করায় এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ন্যাশনাল ভ্যাটডে উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর সদস্য ড. মঈনুল খান বলেন, যে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগে মাসে পাঁচ ছয় হাজার টাকা ভ্যাট দিত, ইএফডি বসানোর পর তারা মাসে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৮ হাজর মেশিন স্থাপন করা হয়েছে, চলতি অর্বছরের মধ্যে মোট ৬০ হাজার স্থাপন করা হবে। ইএফডি মেশিনের সাথে এনবিআরের সার্ভারের সংযোগ থাকে, ফলে যে কোনো বিক্রির তথ্য ইএফডি মেশিনে ইনপুট দিলে এনবিআরের কাছে এ তথ্য চলে যায়। যার কারণে, ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকে না। অবশ্য কোন বিক্রির তথ্য সেখানে ইনপুট না দিলে, এ তথ্য জানার সুযোগ থাকে না এনবিআরের পক্ষে, যা এনবিআরের জন্য সঠিক রাজস্ব আদায়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছে এনবিআর, যারা এ কার্যক্রম তদারকি করবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ন্যাশনাল ভ্যাট ডে উদযাপিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশাাল ভ্যাট পে উপলক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
এ বছর ভ্যাট দিবসের স্লোগান হলো, ‘আমরা ভ্যাট দেব, কেনার সময় ইনভভয়েজ নেব’ মইনুল খান বলেন, সম্প্রতি আমদানি কমে গেছে আমদানি কমে গেছে প্রায় ৩০%। তা সত্ত্বেও গত পাঁচ মাসে ভ্যাট আদায়ে গ্রোথ প্রায় ১৭%। মনিটরিং ও নেট বাড়ানোর কারণে এ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাজস্ব আদায়ে কোনো ঝুঁকি রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে রাজস্ব আদায় ভালো হয়, এটি সবাই জানেন। এর (রাজনৈতিক অস্থিরতা) কিছু পজিটিভ ইমপ্যাক্টও আছে। যেমন : সিগারেট, সফট ড্রিঙ্কস বিক্রি বেড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন