বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠানটি হবে, যেখানে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশ থেকে বড় ধরনের অংশগ্রহণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজের সম্পর্কে অন্য দেশকে অবহিত করার পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রোববার (১১ জুন) ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানিয়েছে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য এবং সিডব্লিউইআইসির ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমজি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসির কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই।
সংবাদ সম্মেলনে সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অনেক দেশ থেকে অংশগ্রহণের জন্য নিশ্চয়তা পেয়েছি। আফ্রিকান দেশ, যেমন- নাইজেরিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও ঘানা থেকে প্রতিনিধি দল আসবে। যুক্তরাজ্য থেকে আমরা বড় একটি প্রতিনিধি দল আশা করছি।
তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা খুঁজে দেখা। এটি সবার জন্য উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি হবে।
লর্ড সোয়ার কেসিএমজি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানোর একটি বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি। এফবিবিসিসিআই গত বছর বড় একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে জাপান, চীন ও ভারতের জন্য বিশেষ জোন তৈরি করা হচ্ছে।
রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কানেক্টিভিটির কারণে নেপাল, ভুটান ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজার আগের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মন্তব্য করুন