কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকার পৃথক স্থান থেকে ২ শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে দুই নবজাতক ও শনিবার সকালে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এলাকা থেকে ময়লার স্তূপে পড়ে থাকা দুই ছেলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মধ্যরাতে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ সরদার গণমাধ্যমকে জানান, রাতে আমরা খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অমর একুশে হলের পাশে শিক্ষকদের আবাসিক ভবন গেটসংলগ্ন রাস্তা থেকে আমরা মরদেহ দুটি উদ্ধার করি।
তিনি জানান, ঢাবির আনন্দবাজার এলাকার রাস্তায় ময়লার স্তূপে পুরাতন লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল মরদেহ দুটি। দেখে ধারণা করা হচ্ছে, যমজ বাচ্চা। রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনি বিভাগে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে সেখানে কোনো যমজ ছেলেসন্তানের মৃত্যু হয়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, বাইরে থেকে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে।
অপরদিকে, শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে কার্জন হলসংলগ্ন যাত্রীছাউনি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, সকাল নয়টার দিকে এক অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম জানান, সকালে আমরা খবর পেয়ে কার্জন হলসংলগ্ন যাত্রীছাউনি থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করি। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রাতে ২ নবজাতকের এবং সকালে এক যুবকের মরদেহ ঢামেকের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন