মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনের সড়কের দুইপাশই বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সড়কের দুইপাশেই বাস রেখে সড়ক বন্ধ করে দেন তারা। এ কারণে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
উত্তরা থেকে গুলিস্তান-সদরঘাটগামী বহু গণপরিবহন একের পর আটকে থেকে কাকলী মোড় ছাড়িয়ে বহুদূর গিয়ে ঠেকেছে। যে কারণে ফার্মগেটের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভারেও উঠতে পারছে না গণপরিবহনসহ ব্যক্তিগত বাহনগুলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেককে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা গেছে।
সড়ক অবরোধের বিষয়ে বনানী থানার ওসি রাসেল সারোয়ার বলেন, ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তাকারী তিতুমীর কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে একতা পরিবহনের চালক-শ্রমিকদের ঝামেলা হয়। এরপর চালক-শ্রমিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা বৈঠকে বসেন। এর মধ্যে একতা পরিবহনের আরও ৭-৮টি বাস শিক্ষার্থীরা আটকে দেয়। এর জেরে শ্রমিকরা রাস্তা আটকে দিয়েছে।
ওসি বলেন, সমস্যা সমাধানে শ্রমিক নেতা ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ আলোচনা করছে।
মোটরসাইকেল আরোহী শিমুল বলেন, সড়ক আটকে রাখার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনেও মানুষ যাতায়াত করতে পারছে না। তারা মোটরসাইকেলও যেতে দিচ্ছে না। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সকেও আটকে থাকতে দেখেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান সড়ক অবরোধের কারণে গুলশান-বনানী এলাকার সড়কগুলোতেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন