গণসংহতি আন্দোলনের নেতা আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিমের ট্রাকচাপায় নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে দলটি। শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নত্তোরে বক্তব্য দেন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জুলহাসনাইন বাবু।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সহসাধারণ সম্পাদক সৌভিক করিমের অকাল মৃত্যুতে আমরা স্তব্ধ, ব্যথিত, গভীরভাবে শোকাহত। একই সঙ্গে তাদের মৃত্যুর ধরন আমাদের ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রাকটি যদি ধাক্কা দেওয়ার পরেই থেমে যেত তাহলে বাঁচানো যেত দুটি তরতাজা প্রাণ। কিন্তু তা না করে ট্রাকটি দ্রুত চালিয়ে তাদের পিষে দেয়। পুলিশ বাদী হয়ে এ বিষয়ে মামলা করলেও এখনো পর্যন্ত ট্রাকটিকে শনাক্ত করা গেছে কি না কিংবা দায়ী চালককে আটক করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে আমরা জানি না। আমরা অবিলম্বে দায়ী চালককে গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানাই।
আরও বলা হয়, আরিফ ও সৌভিকের এই মৃত্যু কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না তা আমরা নিশ্চিত নই। কিন্তু এগুলো যে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড সেটা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। আমরা আরিফ সৌভিকসহ সড়কে মৃত্যুর প্রত্যেকটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় নিহত হন আরিফ ও সৌভিক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, কেন্দ্রীয় সদস্য আলিফ দেওয়ান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদ সেলিমুজ্জামান, যুব ফেডারেশনের আহ্বায়ক উৎসব মোসাদ্দেক, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন