পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় শত বছরের পুরোনো ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের জায়গা দখল করা স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযানকে কেন্দ্র করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া উৎসুক জনতার ভিড় সৃষ্টি হয় সেখানে। অভিযান শুরুর আগে অবৈধ দখলের পর গড়ে ওঠা দোকানের মালামাল সরাতে মাইকিং করা হয়। প্রথমে দোকানিরা মালামাল না সরালেও অভিযানের সময় বাধ্য হয়ে দোকানের মালামাল সরিয়ে নেন।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস পুকুরটি দখলমুক্ত করার ঘোষণা দেন। এরপর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।মেয়র বলেছিলেন, ‘ডিআইটি পুকুরের জমি নিয়ে এরই মধ্যে আমাদের সম্পত্তি বিভাগকে জরিপ করতে বলে দিয়েছি। সেটা সম্পত্তি বিভাগ জরিপ করে দেখবে। জমিটার স্বত্ব অনেকেই দাবি করছেন। আমার ধারণা সেটা সত্য না। যদি সত্য না হয়ে থাকে তাহলে সে বিষয়টা খতিয়ে দেখে আমরা রাজউকের সঙ্গে কথা বলে সেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেব। কেউ এটা দখল করতে পারবে না। আমরা পুরোটা আবার দখলমুক্ত করে পর্চা অনুযায়ী, মানচিত্র অনুযায়ী পুকুরের যে সীমানা তা নির্ধারণ করে আমরা পুরোটা দখলমুক্ত করব এবং সেখানে সৌন্দর্যবর্ধন করব।
এরপরই আজ বৃহস্পতিবার ডিআইটি পুকুর উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
গত ৩ জুন দৈনিক কালবেলায় ‘পুকুর দখল করে মার্কেট, কাউন্সিলরের অফিস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর দিন সোমবার পুকুরটি রক্ষায় উচ্চ আদালতে যান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পুকুরটি ভরাট-দখল ও অবকাঠামো নির্মাণের ওপর স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ এখন পুকুরটি যেমন আছে, আপাতত সেই অবস্থায়ই রাখতে হবে।
পুকুরটি রক্ষার জন্য স্থানীয় লোকজন মানববন্ধনও করেছে। পুকুর রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও পুকুর ভরাটকারী ব্যক্তিদের আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
মন্তব্য করুন