ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মারধর ও নির্যাতনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সাইফুল ইসলাম রাসেল। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন রাব্বিকে প্রধান আসামিসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ মামলায় গ্রেপ্তার রাব্বিসহ ১২ জনকে মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা রাসেলকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে রাব্বিদের নির্দোষ দাবি করেন। একইসঙ্গে সব আসামির নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্মৃতি বলেন, এতদিন রাসেলের ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারিনি। রাসেল আমাদের হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। সে গণপিটুনিতে মারা গেছে, ওর কারণে কেন ভালো লোক ফাঁসবে? আমরা রাব্বির মুক্তি চাই।
আন্না আকতার বলেন, রাসেল গত ১৫ বছর আমাদের এলাকায় এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যে সে করেনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করছে আর ভালো মানুষদের নাম বলেছে। জনগণ পিটিয়ে তাকে মারছে। কিন্তু ভালো ভালো মানুষদের হত্যাকাণ্ডে জড়ানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি রাসেল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে আসামি আলমগীর ওরফে ঠান্ডু, মো. আমির হোসেন ও মো. সজীব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া এ মামলার প্রধান আসামি আলতাফ উদ্দিন রাব্বীসহ ৯ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপর আসামিরা হলেন- শিপন, দেলোয়ার দেলু, মো. রনি, অনিক হাসান হিরা, ফিরোজ, রাজীব আহমেদ, মো. মাহফুজুর রহমান ও মো. রতন শেখ।
মন্তব্য করুন