আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাস্তা নয় যেন মরণফাঁদ

চট্টগ্রামের বন্দর সেন্টার-মোহছেন আউলিয়া সড়ক। ছবি : কালবেলা
চট্টগ্রামের বন্দর সেন্টার-মোহছেন আউলিয়া সড়ক। ছবি : কালবেলা

বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে হাঁটু পানি, কার্পেটিং ও পাথর উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। কোথাও কোথাও কাদা পানি জমে আছে। একবছর আগে কর্তৃপক্ষ কার্পেটিং সড়কে ইট দিয়ে সংস্কার করলেও সেই ইট পানিতে আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সড়কটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

সরজমিনে কর্ণফুলী টানেলের বুকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বন্দর সেন্টার-মোহছেন আউলিয়া সড়কে গেলে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন এই সড়ক বন্দর সেন্টার মহালখাঁন বাজার থেকে টানেলের সুড়ঙ্গ ব্রিজের রাস্তা পেরিয়ে জুঁইদন্ডী ইউনিয়ন পর্যন্ত দৈর্ঘ প্রায় ১০ কিলোমিটার। এরমধ্যে সড়কের বিভিন্ন অংশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকার কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা বন্দর সেন্টার, দক্ষিণ বন্দর, বটতলী রুস্তম হাট, আইরমঙ্গল ও খুরুস্কুল এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়ক দিয়ে কেইপিজেড, কাফকো, সিইউএফএল এর মালবোঝাই ট্রাক ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে। এ ছাড়া রায়পুর, বৈরাগ, বারশত ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র যাতায়াতের সড়ক এইটি। বর্ষাকালে খানাখন্দ ও কাদায় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। সড়কের আগে-পরে রয়েছে দুটি কলেজ, একাধিক মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলার বৃহত্তম বাজার রুস্তমহাট ও হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়ার মাজার।

জানা যায়, গত বছর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে যাওয়া স্থানে ইট বসিয়ে সংস্কার করলেও ওই ইট এখন আরও বিপদে ফেলেছে চালক-যাত্রীদের। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, জিপ, ট্রাক,বাসসহ রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করে। সকাল ও বিকেলে কেইপিজেডের হাজার হাজার শ্রমিকবাহী গাড়ি চলাচল করে। সড়কের বিপজ্জনক এমন পরিস্থিতিতে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। গত দুই মাসে শ্রমিকবাহী জিপ ও সিএনজি উলটে চারটি দুর্ঘটনায় ২০ জন লোক আহতের ঘটনাও ঘটেছে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, এ মুহূর্তে সড়কটি মেরামতের কোনো বরাদ্দ তাদের কাছে নেই। এ সড়কের জন্য একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হয়ে আসলেই কাজ করা হবে।

তিনি আরও জানান, সড়কের দুই পাশে দোকান ও ঘর বাড়ি গড়ে ওঠার কারণে পানি চলাচলের কোনো ব্যবস্থা নেই। ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে গর্তে পরিণত হয়। নতুন বরাদ্দ আসলে ড্রেন করে সড়ক নির্মাণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চুল পড়া রোধ করবে যে জিনিস

ডাকসু নির্বাচন, আচরণবিধি সম্পর্কিত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে টাস্কফোর্স গঠন

সাদাপাথরকাণ্ডে এবার পুলিশে বড় রদবদল

৪৫ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে থাকা সেই দম্পতির পাশে ইউএনও

শুনানিতে বিএনপি-এনসিপির মারামারির ঘটনায় ইসির জিডি

পাঁচ মাসে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রস্তাব পেল বিডা

নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই হতে হবে : চরমোনাই পীর

৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা

বিমানের নতুন চেয়ারম্যান উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

১০

এখন হয় মনোনয়ন বাণিজ্য, পিআরে হবে এমপি বাণিজ্য : খোকন

১১

ডাকসু নির্বাচন / আচরণবিধি সম্পর্কিত অভিযোগ নিষ্পত্তিতে টাস্কফোর্স গঠন

১২

দ্বিতীয় ইরান হয়ে উঠছে ইয়েমেন, হিসাব মেলাতে পারছে না ইসরায়েল

১৩

কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ জনের

১৪

দেশে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

১৫

ভিক্ষুকের বাসায় মিলল ৩ ভরি সোনা ও সাড়ে ৪ লাখ টাকা

১৬

জেলেই মারা গেলেন আসামি, কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল পুলিশ

১৭

এবার ভারতের পানিতে ডুববে পাকিস্তান!

১৮

চীন থেকে দুই জাহাজ কিনছে সরকার

১৯

ধারের টাকা শোধ না করায় এসপির পদাবনতি

২০
X