চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আরেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ফজলে করিম, নদভী ও লতিফ

বাঁ থেকে- এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও এমএ লতিফ। ছবি : সংগৃহীত
বাঁ থেকে- এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও এমএ লতিফ। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সাতকানিয়া-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ লতিফসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৫ জুন) চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত একটি হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের ৪র্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনের গ্রেপ্তার আবেদন করেন, যার মধ্যে ১০ আসামি শুনানিতে অংশ নেন। এবিএম ফজলে করিমকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত করা হয়।

শ্যোন অ্যারেস্ট মঞ্জুর হওয়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- চসিকের সাবেক কাউন্সিলর সলিম উল্ল্যাহ বাচ্চু, সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, এমরান, জিনাত সোহানা চৌধুরী, মো. আকবর আলী, রেজাউল হাসান সবুজ ও মো. আবুল বশর।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, মামলার বাদী একজন অটোরিকশাচালক। তার ছোট ভাই মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ গত বছরের ৩ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার কাঁচাবাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়ক অবরোধ করে নাশকতা সৃষ্টির উদ্দেশে আসামিরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে গুলিবিদ্ধ হন শহিদুল ইসলাম। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ১৯ আগস্ট মামলাটি চান্দগাঁও থানায় করা হয়।

গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল হাকিম উল্লেখ করেছেন, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সাবেক সরকারদলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা আসামিরা মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে মিলে নাশকতা চালিয়েছে- এমন সাক্ষ্য-প্রমাণ পাচ্ছেন তিনি। আসামিরা ঘটনার আগেও এবং ঘটনাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং অর্থায়নের মাধ্যমে এতে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে।

সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের আমলের এমপি ও নেতাকর্মীসহ মোট ১৫ জনের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানিতে ৯ জনকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে এবং একজনকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১০ জনের গ্রেপ্তার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এরপর তাদের কঠোর নিরাপত্তায় আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমির হোসেন আমুর সহকারী আজাদ গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষা এক হলে আমি কী করব : মমতা

একসঙ্গে ২২৫ কর পরিদর্শককে বদলি

আমাদের সময় বেশি দিন নাই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কুকুরের তাড়া খেয়ে ড্রেনে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সুন্দরবনে মুক্তিপণের জন্য চার জেলেকে অপহরণ

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনী অবিলম্বে পাসের দাবি

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ঘোষণা

পিআর টিআর বুঝি না, আগের পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে : বুলু

হাসিনা গেল, কিন্তু হাসিনার পুলিশ গেল না : ফাইয়াজ

১০

‘নগদ’র জন্য বিনিয়োগকারী খুঁজছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৯ গরু ও ২ লাখ টাকা লুট

১২

গাজার অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশি ৪ তরুণ

১৩

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ দুর্গাপূজা পর্যন্ত বহাল

১৪

বরিশাল নার্সিং কলেজে চোখে কালো কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৫

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় / এআই ক্যারিয়ার ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

১৬

‘র’-এর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাউকে উপদেষ্টা করা হয়নি : জুলাই ঐক্য

১৭

চবিতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

১৮

রাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট শুরু বৃহস্পতিবার 

১৯

শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন প্রধান শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল

২০
X