চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে সাগর উপকূল থেকে দুই শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধারের পাঁচ ঘণ্টা পর আরও এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর ও চরাকুল এলাকার সাগর উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেল থেকে পৃথক দুই স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া একজনের নাম নবীর হোসেন (১৭)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার মো. ইব্রাহিমের পুত্র। অপরজন মো. মান্নান (২৬)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার বালুচর গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র। দুজনই ২৫ ফেব্রুয়ারি বালুভর্তি বাল্কহেড করে সন্দ্বীপে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এখনো আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
কুমিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বালুভর্তি বাল্কহেডে করে চারজন শ্রমিকসহ সন্দীপ যাওয়ার পথে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়ার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কারোর সন্ধান পায় না। বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনের সন্ধান মিলেছে।
গাউছিয়া কমিটির মানবিক টিমের প্রধান মামুনুর রশিদ বলেন, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে গাউছিয়া মানবিক টিম ও নৌ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
কুমিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা উপকূলে পৃথক সময়ে দুটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের বিষয়টি জানান। পরে নৌ পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির যৌথ সহযোগিতায় লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বালু ভর্তি করা একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও উদ্ধার করতে পারে না। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সীতাকুণ্ড থানায় নিখোঁজসংক্রান্ত একটি জিডি করেন বাল্কহেডের মালিক সৈয়দ জুনাইদুল হক। ওই বালি বহনকারী বাল্কহেডে চারজন শ্রমিক ছিলেন। নিখোঁজ চারজনের মধ্যে নবীর ও মান্নান ছিলেন। এখনো আবদুল হান্নান ও সোনা মিয়া নামের দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মন্তব্য করুন