কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নেত্রকোনায় টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহারে আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি 

আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি : সংগৃহীত
আলোচনা সভায় বক্তারা। ছবি : সংগৃহীত

নেত্রকোনার পাবলিক হলে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ও অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি পরিবেশ অধিদপ্তর ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার (ইউনিডো) যৌথ উদ্যোগে এবং ঢাকাস্থ নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের সহায়তায় পরিচালিত পরিচ্ছন্নতা ও গণসচেতনতা কার্যক্রমের অংশ।

এ কর্মসূচি ‘বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহারের একীভূত পদ্ধতি ও সামুদ্রিক আবর্জনা প্রতিরোধ’ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) রফিকুজ্জামান।

এর আগে, বুধবার (২৮ মে) সকালে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস তরুণ পরিবেশক স্বেচ্ছাসেবকদের শপথ পাঠ করান এবং হাতে-কলমে বর্জ্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুজ্জামান বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বিধিনিষেধ কার্যকর করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি, নেত্রকোনার তরুণ প্রজন্ম টেকসই আচরণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিষ্কার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইউনিডোর জাতীয় বিশেষজ্ঞ এস. এম. আরাফাত বলেন, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় ৩টি মূলনীতি—হ্রাস (Reduce), পুনঃব্যবহার (Reuse), ও পুনঃচক্রায়ন (Recycle)—অত্যন্ত জরুরি। কক্সবাজারের উদাহরণ দিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে নেত্রকোনার তরুণরাও শহরের নদীঘেঁষা এলাকাগুলোয় দূষণ হ্রাসে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন IMED-এর পরিচালক ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কামাল হোসেন তালুকদার বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কারে তরুণ সমাজকে সক্রিয় হয়ে শুধু নিজেরাই এগিয়ে আসতে হবে না, বরং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে হবে।

স্থানীয় পরিবেশবাদী সংস্থা বারসিক (BARCIK)-এর সমন্বয়কারী ওয়াহিদুর রহমান জানান, শুধু রাজনৈতিক বক্তব্যে নয়, তরুণ শিক্ষার্থীরা দেয়ালে চিত্রকর্ম ও গ্রাফিতির মাধ্যমে একটি সবুজ ও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন তুলে ধরেছে, যা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই প্রশংসা করেছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাতিন তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, তরুণদের এই উদ্যম ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব উত্তরাধিকার গড়ে তুলবে।

এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আনন্দ বাজার, নগরা ব্রিজ ও মুটাপাড়া এলাকা থেকে প্রায় ৮০০ কেজি একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অভিনয়ের বাইরে অন্য এক কৃতি

একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম, জিততে পারল না বাংলাদেশ

শিশুর কাশি হলে সঙ্গে সঙ্গে কফ সিরাপ নয়

অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি

৬ দফায় যত বাড়ল স্বর্ণের দাম

ইলেকট্রনিকস ও কমার্শিয়াল বিভাগে চাকরি দিচ্ছে দারাজ

অ্যাটলির সিনেমায় যশ

বাংলাদেশের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে যা জানাল বিসিবি

নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে আইওএমর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

আকিজ গ্রুপে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১০

রাকসু নির্বাচন / শিবির প্যানেলের ৫ বস্তা খাবার ফেরত পাঠাল নির্বাচন কমিশন

১১

ফ্রিজে রাখা খাবার থেকে কি ইউরিন ইনফেকশন হয়, যা জানালেন চিকিৎসক

১২

দীপিকার পাশে কঙ্কনা

১৩

কতজন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেলেন, জানাল ইসরায়েল

১৪

চাঁদা না দেওয়ায় ২৯ দিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ

১৫

আমার জীবনে সালমান একজন গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল: এলি আভরাম

১৬

মধ্যরাতে হঠাৎ মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার

১৭

ঘুম থেকে উঠে যে ৫ খাবার খেলেই বিপদ

১৮

সেলস ম্যানেজার পদে নিয়োগ দিচ্ছে প্রাণ গ্রুপ

১৯

এসিআই মোটরসে চাকরির সুযোগ, দ্রুত আবেদন করুন

২০
X