বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের ইতিহাসে আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। যে মানুষগুলো আর তাদের প্রিয়জনেরা বিদেশে ছুটতেন উন্নত চিকিৎসার আশায়, তাদের জন্য আজ থেকে এক নতুন ঠিকানা তৈরি হলো।
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টার অর্জন করেছে জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (JCI) অ্যাক্রেডিটেশন, যা শুধু একটি স্বীকৃতি নয়, বরং দেশের রোগীদের প্রতি আমাদের অটুট প্রতিশ্রুতির এক সার্থক প্রতিফলন।
বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে কঠিন এবং সর্বোচ্চ মানদণ্ড হলো JCI। প্রতিটি রোগীর নিরাপত্তা, চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতিটি সূক্ষ্ম দিক এবং সেবার প্রতিটি স্তরে শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করার এক অলিখিত অঙ্গীকার। এই কঠিন পথ পাড়ি দেওয়া সহজ ছিল না। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান এবং প্রশাসনিক কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তাদের প্রত্যেকের ঘাম, মেধা আর একাগ্রতা মিশে আছে এই সাফল্যের পেছনে।
ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকিফ শামীম এই অর্জনের পেছনের গল্পটি তুলে ধরে বলেন, আমাদের যাত্রাটা শুরু হয়েছিল একটি সাধারণ স্বপ্ন নিয়ে। আমরা চেয়েছিলাম, এদেশের মানুষ যেন আর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে বাধ্য না হয়। আমরা চেয়েছিলাম, এখানেই বিশ্বমানের সেবা দেওয়া সম্ভব। JCI স্বীকৃতি সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিল। এটি প্রমাণ করে, আমাদের দেশের মাটিতেও বিশ্বসেরা স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব। এই অর্জন প্রতিটি ল্যাবএইড কর্মীর, যারা নিজের কাজকে শুধু দায়িত্ব মনে না করে, জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন।
এই অর্জন কেবল ল্যাবএইড-এর একার নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের এক সম্মিলিত বিজয়। এটি দেশের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অনুপ্রাণিত করবে, মানোন্নয়নের প্রতিযোগিতায় নামতে উৎসাহিত করবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবা একদিন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
মন্তব্য করুন