বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস, গ্রেমিও—ইউরোপের সেরা সব ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি। ছিলেন ব্রাজিল জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। সতীর্থ ছিলেন পাওলো দিবালা ও গনসালো হিগুয়াইনের মতো তারকার। কিন্তু আজকের ডগলাস কস্তার খবর আর ফুটবলীয় সাফল্যের নয়, বরং আইনি জটিলতা আর কেলেঙ্কারির।
ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রের ষষ্ঠ ফ্যামিলি কোর্টের আদেশে গ্রেফতার হয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের ভরণপোষণের টাকা পরিশোধ করেননি তিনি। প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ দেনার দায়ে কস্তার বিরুদ্ধে ৩০ দিনের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারক সোনালি দা ক্রুজ জ্লুহানের স্বাক্ষরিত রায়ে আরও বলা হয়েছে, এই আদেশ দুই বছরের জন্য কার্যকর থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি এফসি–তে খেলছিলেন কস্তা। তবে গ্রেফতারের পর ক্লাবটির সঙ্গে সম্পর্কও শেষ হয়েছে। বিদায়ী বার্তায় কস্তা বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় খেলার সুযোগ দেওয়ার জন্য সিডনি এফসিকে ধন্যবাদ। এই এক বছর ছিল দারুণ। ফিরতে না পারায় আমি দুঃখিত, তবে সিডনিতে কাটানো সময় আমার কাছে সবসময় বিশেষ হয়ে থাকবে।’
ক্লাবটির কোচ উফুক তালায় বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে আমরা ওকে সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করেছি। তবে শেষ পর্যন্ত দলের স্বার্থে এটাই সেরা সিদ্ধান্ত।’
ফুটবল ক্যারিয়ারে ডগলাস কস্তার ঝলক অস্বীকার করার উপায় নেই। বায়ার্ন মিউনিখ আর জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে তিনি খেলেছেন ২০০ ম্যাচ। করেছেন ২৫ গোল, করিয়েছেন ৫৫ গোল। ট্রফি ক্যাবিনেটে আছে ৩টি বুন্দেসলিগা, ৩টি সিরি আ, একটি করে ক্লাব বিশ্বকাপ আর দুটি ঘরোয়া কাপের শিরোপা।
কিন্তু মাঠের এই সাফল্যের ঝলক যেন ম্লান হয়ে গেল ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যায়। সতীর্থদের সঙ্গে দুর্দান্ত মুহূর্তের স্মৃতি থাকলেও এখন আলোচনায় কস্তা শুধু একটাই কারণে—ভরণপোষণের টাকা না দেওয়ার দায়ে গ্রেফতার।
মন্তব্য করুন