বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

অনিয়মের অভিযোগে ৭ শিক্ষক বহিষ্কার

বরগুনার দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি খণ্ড চিত্র। ছবি : কালবেলা
বরগুনার দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি খণ্ড চিত্র। ছবি : কালবেলা

বরগুনায় এইচএসসি পরীক্ষার হলে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে একজন অধ্যক্ষসহ মোট সাতজন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযুক্ত ওই সাত শিক্ষককে বহিষ্কার করেন হল সুপার।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে (এসিল্যান্ড) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম। তবে, অনৈতিক সুবিধা নেওয়া ৮০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বরগুনার দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের তিনটি হলে অভিযুক্ত ওই সাত শিক্ষক চলতি এইসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বহিষ্কারকৃত শিক্ষকরা হলেন বদরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আশরাফ আলী, কেওড়াবুনিয়া ইসহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম, পূর্ব গুদিঘাটা কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক সগির হোসাইন ও সহকারী অধ্যাপক বেলাল হোসাইন এবং চরকগাছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক বেলাল হোসেন, খাকবুনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল ও কেওড়াবুনিয়া ইসহাকিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

পরীক্ষা কেন্দ্র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় সদরের আলিয়া মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের ৬, ৭ ও ৯ নম্বর হলে ৮০ জন পরীক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নৈর্ব্যত্তিকের কোড পরিবর্তন করে প্রশ্নপত্র দিয়েছিলেন ওই সাত শিক্ষক। এ সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হল সুপারকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বরগুনা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা কালবেলাকে বলেন, তথ্য পেয়ে তিনটি কক্ষের সাত শিক্ষকের অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি এবং তাদের বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছি। পরে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেন হল সচিব।

বরগুনার দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল (আলিয়া) মাদ্রাসার হল সুপার ও অধ্যক্ষ মুহাঃ মামুনুর রশিদ কালবেলাকে বলেন, আদেশ পেয়ে তাদের বহিষ্কার করেছি। চাকরি জীবনে তারা আর কোনোদিন পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

অনৈতিক সুবিধা নেওয়া ৮০ জন শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে, তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মুহা. রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ বিষয়ে বরগুনা সদর এসিল্যান্ডকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। হল সচিবের কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার আগে ভুলবেন না যেসব কাজ

সিইসির সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক আজ

মক্কার ঢোকার আগেই আড়াই লাখের বেশি মুসল্লিকে ফেরত সৌদির

ঘুম থেকে ওঠার পরই সারা শরীরে ব্যথা হয়? ভয়াবহ রোগের লক্ষণ নয় তো

এবারের বাজেটে কমতে পারে যেসব পণ্যের দাম

০২ জুন : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

ফ্রান্সে পিএসজির জয় উদযাপনে শত শত সমর্থক গ্রেপ্তার

বাজেটে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম

যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ

ফিরতি ঈদযাত্রায় আজ মিলবে ১২ জুনের টিকিট 

১০

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলা, বেশ কয়েকজন আহত

১১

নতুন নোটে যবিপ্রবির গ্রাফিতি

১২

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

১৩

০২ জুন : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৪

জিএম কাদেরের বাড়িতে হামলা : জড়িতরা সেনাক্যাম্পে এসে বললেন ‘আর হবে না’

১৫

রাস্তা থেকে আটা তুলে নিয়ে আল্লাহর কাছে বিচার দিলেন এক মা

১৬

নিবন্ধনের জন্য ইসিতে ‘কলম’ প্রতীকে জাগ্রত পার্টির আবেদন

১৭

ব্যবসায়ীর গোডাউনে মিলল সরকারি ২০৬ বস্তা চাল

১৮

বাংলাদেশের যেসব খাতে সহযোগিতা করবে চীন

১৯

ইতালিতে নাহিদ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন একজন গ্রেপ্তার

২০
X