সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

অসুস্থ কারারক্ষীর সঙ্গে জেলারের অমানবিক আচরণ

কারারক্ষী হাসিবুর রহমানকে স্ট্রেচারে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার শিশু সন্তান নিহাল শেখ। ছবি : কালবেলা
কারারক্ষী হাসিবুর রহমানকে স্ট্রেচারে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার শিশু সন্তান নিহাল শেখ। ছবি : কালবেলা

সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথীর বিরুদ্ধে কর্তব্যরত অসুস্থ কারারক্ষী হাসিবুর রহমানের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।

কারারক্ষী হাসিবুর ও তার পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসনা জাহান।

রোববার (৭ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কারারক্ষী হাসিবুর রহমান বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় হার্টের সমস্যা নিয়ে আমি শনিবার (৬ জুলাই) কারা হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে আমাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, সদর হাসপাতালে নেওয়ার আগে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে আনতে গেলে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন জেলার হাসনা জাহান বিথী। এমনকি সরকারি গাড়িটি পর্যন্ত দিয়ে আমাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। বাধ্য হয়ে আমাকে ভ্যানে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

জানা গেছে, সদর হাসপাতাল থেকে ইজিবাইকে হাসিবুরকে মেডিকেলে পাঠানো হয়। কারারক্ষীর বড় ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া নিহাল শেখ তার বাবাকে বাঁচাতে স্ট্রেচারে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যায় সদর হাসপাতালে।

এ সময় কারারক্ষীর শিশু সন্তান নিহাল শেখ সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য জেলখানার প্রধান কর্তকর্তা তাদের সরকারি গাড়িটা পর্যন্ত দেয়নি। এমনকি আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছেন। আমার বাবা মারা গেলে কোথায় পেতাম আমার বাবাকে?।

কারারক্ষী হাসিবুরের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার বলেন, আমার স্বামীর অসুস্থার খবর শুনে কারাফটকে গেলে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বের করে দেওয়া হয়। এমনকি আমার স্বামীর সারাদিনে কোনো খোঁজখবর পর্যন্ত নেননি জেলার।

কারারক্ষী হাসিবুরের ভাই সজিব শেখ বলেন, আমার ভাইয়ের অসুস্থতার খবর শুনে সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি জেলার আমার ভাইকে অপদার্থ, কুলাঙ্গারসহ বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালি দিচ্ছে। তিনি বলছেন, তুই এত দেনা দায় হয়েছিস কেন? এমনকি বাবা-মাকে নিয়েও খারাপ কথা বলেন। একপর্যায়ে সাসপেন্ড করানো ও চাকরি খাওয়ার ভয় দেখান।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথী বলেন, হাসিবুর আমাদের মাধ্যমে হাসপাতালে গিয়েছেন। তবে, যারা বাসা নিয়ে থাকেন তারা নিজেরা ডাক্তার দেখান। আমরা ওনাকে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, ওনার স্ত্রী যখন অসুস্থ ছিল তখন তার স্ত্রীকে আমি রক্ত দিয়েছিলাম। তাহলে আজকে তো মানবিক দিক দিয়ে হলেও উপকার করা উচিত ছিল, এমন প্রশ্নে জবাবে হাসনা জাহান বলেন, আজকেও তাকে হেল্প করেছি।

তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেলার বলেন, আজ পর্যন্ত আমি কোনো স্টাফের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছি তা তারা কেউ বলেনি। সে যখন আপনাকে বলেছে সেই জানে আমি তার সঙ্গে কি রকম খারাপ ব্যবহার করেছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভূমিকম্পের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ / ‘ম্যানার’ শেখানোর নামে থাপ্পড়, কানে শুনছে না নবীন শিক্ষার্থী

পাকিস্তানের সিন্ধু একদিন ভারতের হতে পারে : রাজনাথ সিং

আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপির ভিন্ন চিন্তা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দ

আ.লীগের অফিসের পাশে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ

সিন্ডিকেট রুখতে খুলনায় মোবাইল বিক্রি বন্ধ

কানের পর্দা ফাটে কেন? এমন হলে কী করবেন আর কী করবেন না

বাউল আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন ফারুকী

তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা

১০

ভারতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬, আহত ২৮

১১

আরও ১ নেতাকে ‘সুখবর’ দিল বিএনপি

১২

মঙ্গলবার থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ, যেভাবে করবেন

১৩

কবে ঢাকায় আসছেন আতিফ আসলাম?

১৪

নাসার নজরুলের প্লটসহ ৪৪ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

১৫

১৬ মাসে দৌলতপুরে ২৩ খুন, মামলা ৭ শতাধিক 

১৬

মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা

১৭

কম্বল গোডাউনের আগুন আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

১৮

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ

১৯

‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা পিস্তল উদ্ধার, পালিয়েছে মাসুদ

২০
X