টাঙ্গাইলের সখিপুরে রুনা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন করেছে নিহতের বাবা-মাসহ স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এর আগে ২৪ জুলাই রাতে উপজেলার কচুয়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনরা বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে সাব্বির ও রুনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ৬ মাসের মেয়েসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সাব্বির রুনার কাছে টাকা দাবি করতেন। বিশেষ করে সন্তান হওয়ার পর থেকে টাকা চাওয়ার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। টাকা না দিলে রুনাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হতো। কয়েক দফায় সাব্বিরকে ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত মাসেও ২ লাখ টাকা দাবি করেন সাব্বির।
নিহতের নানা মুকলেছুর রহমান বলেন, স্বামীর পরিবার থেকে সোমবার রাতে জানানো হয়, রুনা আক্তার আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি রুনা একটি খাটের মধ্যে শুয়ে রয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নিহত রুনার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, জা, ভাসুররা মিলে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
মন্তব্য করুন