শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান খাঁ। ছবি : সংগৃহীত
যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান খাঁ। ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুর সদরে প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় আব্দুল মান্নান খাঁ (৪২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের চর সোনামুখী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পালং থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল মান্নান খাঁ রুদ্রকর ইউনিয়নের মৃত হানিফ খাঁর ছেলে। তিনি রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তার স্বামী একজন ওমান প্রবাসী। স্বামীর কাছে বিদেশ যাওয়ার জন্য ওই নারী কিছুদিন পূর্বে শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের আমিন বাজার এলাকায় সরকারি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয়। সেখানে বসে পরিচয় হয় ইদ্রিস গাজী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। এরপর গত ২৫ জুন রাতে ৯টার দিকে তিনি মাদারীপুর থেকে শরীয়তপুর ট্রেনিং সেন্টারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওই নারীকে বহনকারী অটোরিকশাটি থামিয়ে তার মুখ বেঁধে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রুদ্রকর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁ, ইদ্রিস গাজী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আর ৩-৪ জন। এ সময় ওই নারী তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ওই নারীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ওই নারী স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় গত ৩০ জুন যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান খাঁ, ইদ্রিস গাজী, কালাচান খাঁসহ অজ্ঞাতনামা আর ৩-৪ জনকে আসামি করে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার সুবাদে ইদ্রিস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমি যখন ট্রেনিং সেন্টারে যাচ্ছিলাম ইদ্রিস গাজীসহ বেশ কয়েকজন আমার মুখ চেপে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং স্পর্শকাতর ভিডিও করে রাখে। আমাকে তারা মারধরও করেছে। আমি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। পরে তারা আমার স্পর্শকাতর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ঘটনার ৫ দিন পর আদালতে মামলা করি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। তিনি যদি সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুবিনের মৃত্যুরহস্য, ন্যায়বিচার চেয়ে যা বললেন গরিমা

নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ইসি কর্মকর্তা বরখাস্ত

তালাবদ্ধ দোকানে মিলল স্ত্রীর মরদেহ, পালিয়েছে স্বামী

ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর, বন্দিবিনিময় শুরু

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে ভারতীয় আগ্রাসন বাড়বে : এম এ মালিক

আজকে বিশ্ব ব্যর্থতা দিবস

ইলিশ নিয়ে নদীতে ঝাঁপ, ২৪ ঘণ্টা পরও যুবক নিখোঁজ

জয়ের ধারায় ফেরার লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি বাংলাদেশ

ফিক্সিংয়ে জড়িতরা কি আগামী বিপিএল খেলবেন, যা জানা গেল

ট্রেন থেকে যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

১০

সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু

১১

মোদিকে নিয়ে চাটুকারিতা, বিপাকে বিক্রান্ত ম্যাসি

১২

দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, যুবক নিহত

১৩

আমরা বাণিজ্যযুদ্ধ চাই না, তবে ভয়ও পাই না : চীন

১৪

বিয়ে করতে চান মালাইকা, আছেন প্রস্তাবের অপেক্ষায়

১৫

এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে কে পেলেন কত টাকার পুরস্কার

১৬

যশোরে কনকা, গ্রি ও হাইকো ব্র্যান্ডের ডিসপ্লে সেন্টার উদ্বোধন

১৭

ঘুম থেকে উঠেই কফি ডেকে আনছে যেসব বিপদ

১৮

কুয়াশা আর শিশিরে হেমন্তেই শীতের হাতছানি

১৯

আসছে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ

২০
X