কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভুয়া জন্ম সনদ দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বানাতে গিয়ে এক নারীসহ দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। আটককৃত রোহিঙ্গাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে ভৈরব উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজার জেলার হামিদাপাড়া পাহাড়তলী এলাকার মো. সালেহের স্ত্রী হামিদা বেগম (২৮) ও একই জেলার রামু এলাকার রফিক আহমেদ ছেলে মো. এরশাদ (২০)।
জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে ভুয়া ডকুমেন্টস নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করতে যান হামিদা বেগম। এ সময় তার সঙ্গে সহযোগী ছিল মো. এরশাদ। নির্বাচন অফিসার প্রলয় কুমার সাহা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রলয় কুমার সাহা বলেন, ভোটার নিবন্ধন করার সময় হামিদা বেগমেকে তার নাম, পিতা-মাতার নাম জিজ্ঞাসা করা হলে তার কথাবার্তায় আমার সন্দেহ হয় এবং ভৈরবেরও মনে হচ্ছিল না। পরে আমি অধিকতর তদন্ত করলে দেখি তার নিবন্ধন আবেদনে সে নিজের যে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করেছে তা গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে তোলা। আর তার পিতা-মাতার যে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করেছে তা ছয়সূতি এলাকার। পরে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি এর সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে কোনো সঠিক উওর না পাওয়ায় তখন আমার কাছে মনে হচ্ছিল তারা রোহিঙ্গা হবে। পরে আমি পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন