ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুর দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য মাহবুবুরের বিরুদ্ধে।
উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আহম্মদপুরে পুকুরটি অবস্থিত। অভিযোগ উঠেছে, পুকুরটি দখলে নিতে সহযোগিতা করছেন গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত জীবন মিয়া।
সূত্রে জানা যায়, আহম্মদপুর গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভূমিহীনদের স্বচ্ছল জীবনযাপনের উদ্দেশে ৮ একর চল্লিশ শতকের একটি পুকুর সুবিধাভোগী ৪০টি পরিবারের নামে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগকারীরা বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমরা সরসসরি গত ২৮ বছর এর সুবিধা পাচ্ছি না। জীবন মিয়া একাই স্থানীয় মেম্বার মাহাবুরসহ ওপর মহলের প্রভাব খাটিয়ে এর সুবিধা নিচ্ছেন। গত ২৭ জুন এসব বিষয়ে নবীনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রতিবন্ধী কামাল মিয়াসহ সাতজনকে মারামারি মামলার আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।পরে পাঁচ দিন জেল খাটার পর জামিনে আসেন তারা।
নবীনগর থানার এসআই কাসেম থানার ভেতরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত সাতজনকে আহম্মদপুর গুচ্ছগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছি। হাত না থাকলেও প্রতিবন্ধী কামাল মুখে উসকানি দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জীবন মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ সময় তিনি সরাসরি কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
সাবেক ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।
এদিকে গুচ্ছগ্রামের অসহায় প্রতিবন্ধী কামাল মিয়াসহ সাতজনকে থানার ভেতর থেকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মাহবুবুর মেম্বার। তিনি বলেন, আমি তাদের মামলা দিইনি। তাদের সঙ্গে আমার কথাকাটাকাটি হয়েছিল। মারামারি হয়েছে টানচাড়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে।
জানা যায়, ২৮ বছর আগে ভূমিহীন প্রতিবন্ধী কামালসহ ৪০ পরিবারের নামে আশ্রয়ণের ঘর ও পুকুর বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দের পর থেকে এ এলাকার মৃত নান্নু মিয়া ও পরে তার ছেলে জীবন মিয়া স্থানীয়দের প্রভাব খাটিয়ে পুকুর দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে ৩৭টি পরিবার বারবার অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লাউরফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাহবুর মেম্বার আধিপত্য বিস্তার করে ২৬ বছর ধরে গরিব-দুঃখীদের পুকুরটি দখল করে আছে। গুচ্ছগ্রামের অসহায় হতদরিদ্রদের হক যেন ফিরে পায় এ ব্যাপারে সংবাকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করছি।
মন্তব্য করুন