টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পারিবারিক কলহের জেরে আকলিমা নামে এক গৃহবধূকে মেরে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
রোববার (১৪ জুলাই) স্ত্রীর গলায় আঘাতের চিহ্ন নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্বামী নুরুল ইসলাম। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা করে আকলিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে স্বামী নুরুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, ৮ বছর আগে মির্জাপুর উত্তরপাড়া ইয়াকুব আলীর ছেলে নুরুল ইসলামের সঙ্গে নবগ্রাম উত্তর পাড়ার রফিকুল ইসলামের মেয়ে আকলিমার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে তানহা নামে ৫ বছরের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। সংসারের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ চলছিল। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, আকলিমার লাশ নিয়ে এসে তার স্বামী চিকিৎসককে জানান, তার স্ত্রী পড়ে গিয়ে স্ট্রোক করেছে। পরে চিকিৎসক তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পায়।
আকলিমার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। যদি সে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করতো তাহলে পুলিশের উপস্থিতিতে লাশ নামাত এবং আমাকে জানাত। হাসপাতালে মেয়ের লাশ রেখে পালাত না। আমি থানায় হত্যা মামলা করেছি।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চন্দন কুমার পাল বলেন, হাসপাতালে গিয়ে আকলিমার স্বামীকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাশ থানায় আনা হয়। নিহতের বাবা হত্যা মামলা করেছে।
গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মামুন ভূঞা কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে রহস্য উদঘাটন হবে।
মন্তব্য করুন