বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পঞ্চগড়ে সদ্যোজাত সন্তানের স্বীকৃতির আকুতি

হাসপাতালের বেডে মায়ের কোলে শিশু । ছবি : কালবেলা
হাসপাতালের বেডে মায়ের কোলে শিশু । ছবি : কালবেলা

দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর পরিবারের অমতে ২০২২ সালে এফিডেভিট করে এবং পরে ২০২৩ সালে কাজির মাধ্যমে বিয়ে করেন কলেজের দুই সহপাঠী। এরপর সন্তান গর্ভে আসায় হঠাৎ উধাও হয়ে যায় প্রেমিক। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নিলে শ্বশুরবাড়ির লোকদের নির্যাতনে সন্তানসহ অসুস্থ হয়ে ৯৯৯-এ কল করেন শিশুর মা।

পুলিশ ও স্থানীয় মেয়রের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। স্বামীর কাছে নিজের এবং সন্তানের স্বীকৃতির আকুতি নিয়ে দিশাহারা অবস্থায় দিন কাটছে তার।

একই কলেজের সহপাঠী থাকা অবস্থায় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের দুই সহপাঠী রহমান উদ্দিন রনি ও আনিকা জান্নাত।

রনি পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মীর হোসেনের ছেলে আর আনিকা পঞ্চগড় মীরগড়ের জাহের আলীর মেয়ে। বিয়ের পর আনিকা অন্তঃসত্ত্বা হলে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায় রনি। বন্ধ করে দেয় আনিকার সঙ্গে সব যোগাযোগ। গত ৭ জুলাই সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার স্বীকৃতির দাবি নিয়ে রনির খোঁজে তাদের বাড়িতে গিয়ে রনিকে না পেয়ে সেখানেই অবস্থান নেন আনিকা।

প্রভাবশালী রনির পরিবার সন্তানসহ তাকে বাসা থেকে বের করে দিতে চাইলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে সে সময় নিবৃত্ত হন। এরপর ২৪ ঘণ্টা পার হতে চললেও খাবার-পানি না দিয়ে, প্রচণ্ড গরমে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বাধ্য হয়ে বেলকনি দিয়ে আশপাশের মানুষের কাছে সাহায্য চান তিনি।

পরে সাংবাদিকরা খোঁজ নিতে গেলে তাদের ওপরেও চড়াও হন রনির পরিবারের লোকজন। এদিকে শিশুটিসহ আনিকা প্রচণ্ডভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংবাদিকদের দেওয়া পরামর্শে ৯৯৯-এ কল করে সাহায্য প্রার্থনা করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় পৌরসভার মেয়র এসে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শিশুসহ আনিকাকে সেখান থেকে বের করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।

আনিকা রনির প্রতারণা, তার এবং তার সদ্যোজাত শিশুসন্তানের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ তাদের অধিকার আদায়ে প্রশাসনের কাছে মিনতি জানান। ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকারের দাবি জানান স্থানীয়রাও।

আর বোদা পৌরসভার মেয়র আজাহার আলী কালবেলাকে জানান, মা ও সন্তানের চিকিৎসা জরুরি ছিল বিধায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসা শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে ‘কড়া হুঁশিয়ারি’ ভারতের

মে মাসে পুড়তে পারে দেশ

ভাঙা হলো ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ মঞ্চ

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময় 

সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট আর জয়, মিরাজের ধন্যবাদ পেলেন যারা

সূর্যের তাপে পুড়ছে পাকিস্তান

রাজনৈতিক মতৈক্যে করিডরের সিদ্ধান্ত নিন, সরকারকে সমমনা জোট

ঈদের আগেই বাজারে আসছে নতুন নোট, যা থাকছে নকশায়

মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে ঢাবি অ্যালামনাই

পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি

১০

সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া সেই অধ্যক্ষকে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি

১১

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া করিডর নয় : শেখ বাবলু

১২

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের নিন্দা

১৩

ইসরায়েলি গুপ্তচর সন্দেহে ইরানে এক জনের ফাঁসি কার্যকর

১৪

তীব্র তাপদাহের সঙ্গে মে মাসে কালবৈশাখী-ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

১৫

ফ্যাসিস্ট আমলে হাজার হাজার শ্রমিককে পথে বসানো হয়েছে : রিজভী

১৬

সীমান্তের বাসিন্দাদের যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ভারত

১৭

খুলনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের থানা ঘেরাও

১৮

ইয়েমেনের হামলায় যুদ্ধবিমান হারিয়ে পিছু হটল মার্কিন রণতরী

১৯

বাড়িতে ছাদবাগান থাকলে মিলবে ৫ শতাংশ ট্যাক্স রেয়াত

২০
X