ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ ঘিরে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী স্টেশন রোড, আব্দুল্লাহপুর, বিএনএস সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহী বাসেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এসময় সন্দেহভাজন প্রায় অর্ধশতজনকে পুলিশি হেফাজতে নিতেও দেখা যায়।
এই তল্লাশি কার্যক্রমে ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানির অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। এতে যাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতেও বিঘ্ন ঘটছে এবং তাদের সময় নষ্ট হচ্ছে বলেও জানান।
আরও পড়ুন : শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে ট্রেনে যুবলীগের যাত্রা
রাজধানীর বসুন্ধরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসা স্বাধীন নামের এক যাত্রীর দাবি, তিনি রাজনৈতিক কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তবু বাসে তল্লাশির সময় মুঠোফোন তল্লাশি করা হয়েছে। এসময় তার ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্নভাবে তাকে তল্লাশি করা হয়। তিনি বলেন, ‘সবারই ব্যক্তিগত কিছু বিষয় থাকে। তারা জোরপূর্বক আমার ফোন তল্লাশি করল, কিছু বলতে চাইলে পুলিশ আরও রাগান্বিত হন।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক এসে যুক্ত হয়েছে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর মোড়ে। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী গাড়িগুলো আশুলিয়া সড়ক হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুরে বের হয়। এই সড়কটি ঘিরেই বসেছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন : ঢাকার প্রবেশপথে তল্লাশি
সরেজমিন দেখা যায়, আবদুল্লাহপুর মোড়ে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসড়কের নিচে বসেছে তল্লাশি। এ সময় দূরপাল্লার বাসগুলো উড়ালসড়কের নিচেই গতিরোধ করে তল্লাশি চালানো হয়। বাসের যাত্রীদের নাম, পরিচয়, ঠিকানা জিজ্ঞাসা করছেন। সেই সঙ্গে তাদের গন্তব্যস্থলও জানতে চাচ্ছে পুলিশ। কাউকে অতিরিক্ত সন্দেহ হলে বাস থেকে নামিয়েও তল্লাশি করছেন। এর মধ্যে কারও কথাবার্তায় সন্দেহ প্রকাশ পেলে পুলিশি হেফাজতে নিতেও দেখা যায়।
এ বিষয়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা রাত থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছি। রাতে কিছু মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। তবে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের সন্দেহভাজন মনে হচ্ছে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন মনে হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো সহিংসতার প্রমাণ না পাওয়া যায় তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন