কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছে বলে জানা গেছে। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনার পর সেনা সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছে। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দিরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেরপুরে জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সেসময় জেলা কারাগারে আটক থাকা সব বন্দি পালিয়ে যায়। শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে শেরপুর শহরে আনন্দ মিছিল শুরু হয়। জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে কারাগারের প্রধান গেট ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করে এবং লুটপাট চালায়। এসময় কারাগারে থাকা ৫২৭ জন আসামি পালিয়ে যায়।
এ ছাড়া গত ১৯ জুলাই বিকেলে দুষ্কৃতকারীরা নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে জেলখানায় থাকা ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ কারাবন্দি পালিয়ে যায়। ওই সময় জেলখানার অস্ত্রাগার থেকে ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, আট সহস্রাধিক গুলি ও প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করা হয়। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সব নথি ও আসবাব পুড়িয়ে দেয়।